ঢাকা, মঙ্গলবার ১৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:০৭:৩৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ মহান বিজয় দিবস দেশজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : রাষ্ট্রপতি সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেবে সরকার ‘হয়তো জানতেও পারবো না, মা কবে মারা গেছেন’

সাতদিনে বন্ধ ৩২ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মন্দা বাজারে নবায়ন ফি পরিশোধ না করায় নতুন (২০২২-২৩) অর্থবছরের প্রথম সাত কর্মদিবসে ৩১ হাজার ৮১৪টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও) হিসাব বন্ধ হয়েছে।

নিয়ম অনুসারে প্রতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বিও হিসাবের নির্ধারিত বার্ষিক নবায়ন ফি পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু পরিশোধ না করার কারণে বিওগুলো বন্ধ করা হয়েছে বলে বিও হিসাব সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে জানা গেছে।

সিডিবিএলের তথ্য মতে, জুলাই ২০২১ থেকে ৩০ জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ে চার লাখ ৮৩ হাজার ৯টি বিও হিসাব বন্ধ হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিল নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর পুঁজিবাজার চাঙ্গা হবে। সেই প্রত্যাশার ছিটেফোঁটাও পূরণ হয়নি। বরং প্রতিনিয়ত শেয়ারের দাম কমছে। বিনিয়োগকারীরা তাদের মূলধন হারাচ্ছেন বলে মনে করে বাজার সংশ্লিষ্টরা।

সিডিবিএলের তথ্য মতে, ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত সময়ে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৫৩ হাজার ৪২২টি। এর মধ্যে দেশি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৫৭টি। আর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ছিল ৭৫ হাজার ১৮০টি।

মাত্র সাত কর্মদিবসে সেখান থেকে বিও হিসাব ৩১ হাজার ৮১৪টি কমে ১৩ জুলাই দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২১ হাজার ৬০৮টিতে। এর মধ্যে দেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৩০ হাজার ২১৩টি কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৪টি। আর বিদেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৭২টি কমে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৬০৮টিতে।  

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী  বলেন, প্রতি বছর নবায়ন ফি পরিশোধ না করার কারণে একটা বড় সংখ্যার বিও বন্ধ করে দেয় বিএসইসি। তবে এক মাস পর থেকে আবার বিও অ্যাকাউন্ট বাড়তে থাকে।

তিনি বলেন, এবারও বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়েছে নবায়ন ফি পরিশোধ না করায়। আর কিছু বিনিয়োগকারী নিজে থেকে বিও বন্ধ করে পুঁজিবাজার ছেড়েছেন।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, আইপিওর শেয়ার পেতে এখন বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে-এমন নিয়মের কারণে আইপিওতে আবেদনকারীদের সংখ্যা কমেছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, প্রকৃত বিনিয়োগকারীরাই যাতে আইপিওর শেয়ার পায় সেই সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে যারা এতোদিন শুধু আইপিওর সঙ্গে জড়িত ছিল; একাই ১০০,২০০ কিংবা ৫০০ বিও হিসাব ম্যানটেইন করত, তারা বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, এখন আর কেউ আত্মীয় স্বজন-বন্ধু-বান্ধবের নামে বিও খুলছে না। বিও অ্যাকাউন্টে স্বচ্ছতা বেড়েছে। প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার কারণে বিও হিসাব কমে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে নতুন করে প্রতিনিয়তই বিও বাড়ছে বলে জানান তিনি।  

উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তি তার জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ফোন নম্বর ব্যবহার করে শুধুমাত্র একটি বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার লেনদেনের জন্য ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর মাধ্যমে সিডিবিএলের সঙ্গে একটি বিও অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক। বিএসইসি ২০১৬ সালে প্রতিটি বিও অ্যাকাউন্টের জন্য ৫০০ টাকা থেকে নবায়ন ফি কমিয়ে ৪৫০ টাকা করেছে।