ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১২:২৫:৪৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

সান্টা বুড়োর করোনা হয় না, ‘আশ্বাস’ হু-র

ফিচার ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার

সান্টা বুড়োর করোনা হয় না, ‘আশ্বাস’ হু-র

সান্টা বুড়োর করোনা হয় না, ‘আশ্বাস’ হু-র

করোনা! অসুখটা বুড়ো মানুষদেরই বেশি কাবু করে ফেলে। তাই তাদের নিয়ে চিন্তা বেশি। কিন্তু বড়দিনের সময় আনন্দ-উদযাপন তো একজন বুড়োকে ছাড়া ফিকে। কিন্তু এবার কী করে উপহার নিয়ে আসবে সান্টা ক্লজ!

বড়দিন যত এগিয়ে আসছে বিশ্বের হাজারও শিশুর মনে এই ভয়টাই ভিড় জমিয়েছে। কেউ দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে— ‘সান্টাকে বলে দিও, ও যেন স্যানিটাইজার ব্যবহার করে।’ কেউ আবার সোজা সান্টাকেই চিঠি পাঠিয়েছে— ‘আমার দাদুকে বাড়ি থেকে বেরোতেই দেওয়া হয় না। তুমি কী করে অত দূর থেকে আসবে?’

এসবকল খুদেদের ভরসা জোগাতে এবার এগিয়ে এল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বুধবার হু-র অন্যতম শীর্ষকর্তা মারিয়া ভ্যান কারকোভ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সান্টা ক্লজের বয়স অনেক বেশি। তাই তাকে নিয়ে চিন্তা হবেই। তবে চিন্তার কিছু নেই। আমরা জানতে পেরেছি, করোনাভাইরাস সান্তাকে ছুঁতেই পারবে না।

সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যান বলছে, দশ বছরের নিচে পাঁচটি শিশুর মধ্যে একজন বিশ্বাস করে, সত্যিই সান্টা ক্লজ বলে এমন কেউ রয়েছে, যে ২৪ ডিসেম্বর মাঝরাতে এসে তার জন্য উপহার রেখে যায়। আমেরিকায় করা একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, আমেরিকায় চার বছরের নিচে ৮৫ শতাংশ, ছয় বছরের নিচে ৬৫ শতাংশ এবং আট বছরের নিচে ২৫ শতাংশ শিশু সান্টা ক্লজে বিশ্বাস করে।

স্কুলে যাওয়া বন্ধ, বাইরে খোলাধুলও করতে বা বন্ধুর বাড়িতে যাওয়াতে যাওয়াও হচ্ছে না। অন্য শহরে থাকা দাদু-নানুর সঙ্গেও দেখা হয় না আর নিয়মিত। গত প্রায় এক বছর ধরে মহামারির এই আবহে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো মানসিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছে শিশুরাও।

সামনেই বড়দিন। অন্য বছরের থেকে এবারের ক্রিসমাস যে আলাদা, তা টের পাচ্ছে খুদেরাও। কিন্তু বড়দিনের সব থেকে প্রিয় রেওয়াজ, সান্টা বুড়োর উপহার, তা-ও কি বাদ পড়বে এবার?

শিশুদের মনে এই ভয় যে দানা বাঁধছে, তা টের পাওয়া যাচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। আদ্যন্ত বৈজ্ঞানিক এক সংস্থার এই ‘মিথ্যাচারণ’কে তাই সাদরে গ্রহণ করছেন মনোবিদেরা। সবাই এক বাক্যে বলছেন, দুশ্চিন্তায় দীর্ণ এই সময়ে ভরসা জোগাক একটু রূপকথা, নতুন বছরে সব কিছু পাল্টে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মাঝরাতে এসে হাজির হোক সান্তা বুড়ো।    

(বিদেশী পত্রিকা অবলম্বনে)