ঢাকা, বুধবার ০৮, মে ২০২৪ ১:৩৪:১৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ জিম্মি মুক্তিতে হামাসের সম্মতির পরও গাজায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস শুরু আজ হজের ফ্লাইট শুরু ৯ মে পুলিৎজার পেল রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস

সিরাজগঞ্জে শীত মৌসুমে খেঁজুর রসের সুস্বাদু গুড় তৈরি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৪ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

শীত মৌসুমে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে খেজুর রস সংগ্রহে সুস্বাদু গুড় তৈরি হচ্ছে। এ নতুন গুড় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন  হাট-বাজারে উঠছে। এ গুড়ের দাম ভালো থাকায় এখন গাছিরা খুশি। সেইসাথে গ্রামঞ্চল ঘুরে রসও বিক্রি করছে গাছিরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ও বাড়ির আঙ্গিনায় প্রায় ৫ হাজার খেঁজুর গাছ রয়েছে। 
এর মধ্যে তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই খেঁজুর গাছের সংখ্যা বেশি। শীতের আগমনে এসব এলাকার খেঁজুর গাছের সাদা অংশে পরিস্কার করে হাঁড়ি বেঁধে রাতভর রস সংগ্রহ করে গাছিরা। এ রস দিয়ে সুস্বাদুু গুড় তৈরীর পাশাপাশি গ্রামঞ্চলেও ঘুরেও এ রস বিক্রি করে তারা। এ মৌসুমে খেজুর রস সংগ্রহ ও গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকে তারা। এছাড়া এ মৌসুমে রাজশাহী, জয়পুরহাট ও নাটোরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা স্বল্পপুজিঁর ব্যবসায়ীরা এসব এলাকার খেজুর গাছ লিজ নিয়ে থাকে এবং তারা গুড় তৈরী ও গ্রামঞ্চলেও রস বিক্রি করছে।  বিশেষ করে পাটালি ও কোটা গুড় নামসহ বিভিন্ন নামের এই খেঁজুরে গুড় হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ১৬০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি এই গুড় বিক্রি হচ্ছে। এ মুখোরচক গুড়ে পিঠা, পায়েস, গুড়ের মুড়ি-মুড়কি ও নানা ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরির এখন ধুম পড়ে। তবে অভিযোগ রয়েছে, এ খেঁজুরের রসে চিনি গুড় মিশিয়ে এই খেঁজুর গুড় বাজারজাত করা হচ্ছে। এ গুড় কিনতে গেলে ক্রেতাকে বলা হয়ে থাকে ১ নম্বর না ২ নম্বর খেঁজুর গুড় নিবেন। এ গুড় সম্পর্কে চিকিৎসকরা বলছেন, বাদুড় থেকে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়। খেজুরের  রস মানুষের শরীরে এ ভাইরাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য খেজুরের রস না খাওয়াই ভালো। 

জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে খেঁজুরের গাছ রয়েছে। তবে চলনবিল ঘেষা তাড়াশ, উল্লাপাড়া রায়গঞ্জ ও শাহজাদপুরে এই খেঁজুর গাছের সংখ্যা বেশি। এ শীত মৌসূমে খেঁজুরের রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরী হচ্ছে। হাট-বাজারে দাম ভালো থাকায় গাছিরা লাভবান হচ্ছে এবং গ্রাম অঞ্চল ঘুরেও এই খেঁজুর রস বিক্রি হচ্ছে। এতে কর্মসংস্থানেও সহযোগীতা রয়েছে এই খেজুর গাছ। এজন্য রাস্তাঘাট ও বাড়ির আঙ্গিনায় খেঁজুর গাছ রোপণ করা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।