ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:২৭:২১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

সেলিনা পারভীন সাংবাদিকতা পদক পেলেন দুই নারী সাংবাদিক

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২৩ এএম, ৩ জুন ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

‘শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সাংবাদিকতা পদক’ পেয়েছেন দেশের দুই নারী সাংবাদিক। বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) পক্ষ থেকে এ পদক দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত এক আয়োজনের মাধ্যমে এই পদক তুলে দেয়া হয়।

পদকপ্রাপ্ত দুই সাংবাদিক হলেন, দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ সংবাদদাতা রোজিনা ইসলাম ও একাত্তর টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কাবেরী মৈত্রেয়।

রোজিনা ইসলাম ‘শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সাহসী সাংবাদিকতা পদক ২০২১’ পেয়েছেন। অন্যদিকে ‘শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সাংবাদিকতা পদক ২০২০’ পেয়েছেন একাত্তর কাবেরী মৈত্রেয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন ও সাবেক ডাকসু সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাহফুজা খানম ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি লেখক মফিদুল হক।

বিএনএসকে সভাপতি নাসিমুন আরা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অধ্যাপক গোলাম রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

পদক বিতরণের আগে নাসিমুন আরা হক মিডিয়া হাউজগুলাতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়ানোর কথা বলেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারীদের স্বার্থে আলাদা আচরণ বিধি ও নীতিমালা নির্ধারণের তাগিদ দেন। যৌন হয়রানি সংক্রান্ত ঘটনা রোধে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি মিডিয়া হাউজে যৌন নিপীড়ন নিরোধ কমিটি থাকতে হবে। যাতে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে সুষ্ঠুভাবে তা বের করে আনা সম্ভব হয়।

অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ মাহফুজা খানম বলেন, নারীরা এখনও পুরুষের কয়েক পা পেছনে বা তাদের অধস্তন রয়ে গেছে। তারা এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে প্রতিদিনই সংগ্রাম করছে। এটা যুগে যুগে, শতাব্দীতে শতাব্দীতে হয়েছে। আজকের আধুনিক বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায়, নারীদের একটা অবস্থান তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের নারী সমাজও সেই জায়গাটি পেতে তার শ্রম, মেধা, মনন দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পাওয়া একমাত্র নারী ছিলেন সেলিনা পারভীন। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে কোনোভাবে স্বীকৃতির কথা দেওয়া হয়নি। তার নাম উচ্চারিত হয় কিনা আমার জানা নেই। রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল, তাকে আগামী প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা। কিন্তু সরকারিভাবে সেটা করা হয়নি। এজন্য নারী সাংবাদিক কেন্দ্র যে পদক দিচ্ছে, সেটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।

অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, আমাদের সমাজে শতকরা প্রায় ৫০ জন নারী হওয়ার পরও সর্বস্তরে তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে দেখতে পাই না। তাদের শ্রমের বিনিময়ে সমাজ-সংসার গড়ে তোলার স্বীকৃতি দেখি না। তাদের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন হয় না। সাংবাদিকতায় নারীরা এগিয়ে আসছেন, তারপরও সংখ্যায় খুব বেশি নয়। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও নারীদের প্রতিনিধিত্ব নেই। এটা যুগ যুগ ধরে মেনে আসছি।

শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন ১৯৩১ সালের ৩১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাপ্তাহিক বেগম, ললনা, শিলালিপিসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কাজ সাংবাদিকতা করেছেন। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী তাকে হত্যা করে। এর আগের দিন পাকিস্তানিদের দোসর আলবদর বাহিনী সেলিনা পারভীনকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৭ ডিসেম্বর মিরপুর বধ্যভূমিতে তার মরদেহ শনাক্ত করে,১৮ ডিসেম্বর আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।