ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:২৮:৫৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

স্তন ক্যান্সারের পর গর্ভধারণ কতটা নিরাপদ?

হেলথ ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৪০ এএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

স্তন ক্যান্সার ভালো হওয়ার পর কি আবারও মা হওয়া সম্ভব? ক্যান্সার চিকিৎসা শেষে শরীর ও মন যখন ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে, তখন অনেক নারীর মনে জাগে একটাই প্রশ্ন– এই অবস্থায় গর্ভধারণ কি আদৌ ঝুঁকিপূর্ণ? সম্প্রতি অঙ্কোলজি (ক্যান্সার চিকিৎসা) ও প্রজনন চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে সেই প্রশ্নের উত্তর এখন অনেকটাই আশাব্যঞ্জক। একসময় যা ছিল একরকম অসম্ভব কল্পনা, ক্যান্সার জয় করার পর মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখা– এখন তা পরিণত হয়েছে সম্ভাবনায়।

এখন এমন বহু নারী আছেন, যারা স্তন ক্যান্সারকে পরাজিত করে জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রাখছেন; গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন। তবে, এই যাত্রাকে নিরাপদ ও সফল করতে হলে সঠিক সময় নির্বাচন, হরমোনের প্রভাব এবং প্রজনন চিকিৎসা পদ্ধতিকে ব্যক্তিগত শারীরিক অবস্থার সঙ্গে মিল করে সাজানোর বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।

আভা সার্জি সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক বাণীকুমার মিত্র বলেন, সাধারণত চিকিৎসকেরা ক্যান্সার চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর অন্তত দুই থেকে তিন বছর অপেক্ষা করে গর্ভধারণের চেষ্টা শুরু করার পরামর্শ দেন। এতে শরীর আরোগ্যের সুযোগ পায় এবং ক্যান্সার পুনরায় ফিরে আসার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময় পার হয়ে গেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়।

তবে হরমোন রিসেপ্টর–পজিটিভ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের ক্ষেত্রে এই অপেক্ষার সময় আরও দীর্ঘ হতে পারে। কারণ, তাদের অনেক সময় ট্যামোক্সিফেন বা অ্যারোমাটেজ ইনহিবিটরের মতো ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করতে হয়। এই ওষুধগুলো ক্যান্সার পনঃরায় হওয়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ হলেও গর্ভাবস্থায় সেগুলো খাওয়া নিরাপদ নয়।

স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা– কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন বা হরমোন থেরাপি প্রজনন ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে কেমোথেরাপি ডিম্বাশয়ের রিজার্ভ কমিয়ে দিতে পারে, যার অর্থ হলো গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণমান কমে যাওয়া।

চিকিৎসা শেষে কিছু নারীর মাসিক (পিরিয়ড) চক্র ফিরে এলেও তা সব সময় প্রজনন ক্ষমতা পুরোপুরি ফিরে আসে– এমন নিশ্চয়তা তা দেয় না। তাই, গর্ভধারণের পরিকল্পনার আগে চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ প্রজনন মূল্যায়ন করা অত্যন্ত জরুরি।