ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩০:২৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তীব্র তাপপ্রবাহ, সতর্ক থাকতে মাইকিং ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপ আজ শুরু জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া

২১ আগস্ট আর কিছু জানতে চাননি স্তব্ধ শেখ রেহানা

ফিচার ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:০০ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২০ শনিবার

‘হাসিনা : আ ডটার’স টেল’ প্রামাণ্যচিত্রে বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মায়ের ছবি হাতে শেখ রেহানা।

‘হাসিনা : আ ডটার’স টেল’ প্রামাণ্যচিত্রে বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মায়ের ছবি হাতে শেখ রেহানা।

২১ আগস্ট, ২০০৪!  সেদিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বর্বর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল, সেই সমাবেশে যোগ দিতে চেয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও। কিন্তু বড় বোন শেখ হাসিনা সেদিন তাকে বাসাতেই রেখে যান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিজীবনের অজানা-অদেখা গল্প নিয়ে নির্মিত “হাসিনা : আ ডটার’স টেল” প্রামাণ্যচিত্রে সেই দিনটির কথা স্মরণ করেছেন শেখ রেহানা। শোকের মাস উপলক্ষে সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ আটটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এ প্রামাণ্যচিত্রটি প্রচার করা হয়।

স্মৃতিচারণে শেখ রেহানা জানান, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার পর ধানমন্ডির সুধা সদনে বসে তিনি নানা খারাপ খবর পাচ্ছিলেন। এর মধ্যে বড় বোন শেখ হাসিনা যখন প্রাণে বেঁচে ফিরলেন, তাতেই তিনি যেন সব ফিরে পেয়েছিলেন। সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই সেদিন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের শিকার হন; আর সেই হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ছোট বোনকে বাসায় রেখেই সেই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। প্রামাণ্যচিত্রে শেখ রেহানা বলেন, ‘‘আমি খুব অনুরোধ করলাম আপাকে, ‘আপা আমি যাই তোমার সাথে আজকে।’ তো উনি বললেন, ‘না, তুমি বাসায় থাকো, তোমার যেতে হবে না।’ ‘না, আমি যাই তোমার সাথে, আজকে যাব আমি।’ আপা বললেন, ‘না তুমি যাবা না’। আমি তখন অভিমান করে, খুব রাগ করে ছোটবেলার মতোই ধামধুম করে ঘরের ভেতর চলে গেলাম।’’

এর মধ্যে বাসায় কয়েকজন মেহমান আসেন জানিয়ে শেখ রেহানা বলেন, “আপা বললেন, ‘ওনাদের তুমি চা-নাস্তা খাওয়াও, গল্প করো, আমি এখনই আসব।”

মেহমানদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই টেলিভিশনে সমাবেশে হামলার খবর পান শেখ রেহানা। ‘ওই ঘটনা দেখে আমি (বাসার) নিচে চলে আসি। ওর মধ্যে খবর আসছে যে আপা (শেখ হাসিনা) নাই।’

শেখ রেহানা বলেন, ‘এর মধ্যে আপার গাড়িটা সুধা সদনে এলো, এসে দাঁড়াল। আমি সেখানে দাঁড়ানো। দেখলাম আপার সমস্ত শরীরে, শাড়িতে, মুখে, চোখে রক্ত ভরা। আমি আস্তে আমার আঁচলটা দিয়ে এগুলো মুছে আপাকে ধরে ভেতরে আনলাম।’