ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৪২:১২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

আনুষ্ঠানিকতায় আটকে আছে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪৬ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের শেয়ারবাজার দীর্ঘদিন ধরেই এক অদ্ভুত বৈপরীত্যের মধ্য দিয়ে চলছে। লাখ লাখ মানুষ কিছু মুনাফার আশায় বিনিয়োগ করতে শেয়ারবাজারে আসছেন।  তাদের অধিকাংশই মুনাফা তো দূরের কথা, পুঁজি হারিয়ে বাড়ি ফিরছেন। ফলে না বেড়ে ফি বছর উল্টো কমছে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা। একজন অসফল বিনিয়োগকারী তাঁর তিক্ত অভিজ্ঞতা বিনিময় করলে পরিচিতরাও নিরুৎসাহিত হন। অন্য অনেক সমস্যার মধ্যে এটি কার্যকর পুঁজিবাজার গড়ার পথে বড় অন্তরায়। সমস্যাটির মূলে বিনিয়োগ শিক্ষার অভাব।

কেন্দ্রীয় ডিপোজিটরি প্রতিষ্ঠান সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত ৭৯ লাখ ৯৬ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশি-বিদেশি-প্রবাসী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সবার সক্রিয় ছিল মাত্র ১৬ লাখ ৪২ হাজার ৫৫২টি। এর মধ্যে ৩ লাখ ৬৮ হাজার অ্যাকাউন্টে এক টাকারও বিনিয়োগ ছিল না। অন্তত এক লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ ছিল–এমন বিনিয়োগকারী ৫ লাখেরও কম। অথচ ১৫ বছর আগে এ বাজারে সক্রিয় বিনিয়োগকারী ছিল ৩২ লাখের বেশি।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম

বিনিয়োগ শিক্ষা প্রদানে ২০১২ সালে পরিকল্পনা করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে ২০১৭ সালে। ঢাকায় বড় অনুষ্ঠান করার পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ে বিনিয়োগ শিক্ষা সম্মেলন করেছে সংস্থাটি। প্রতি সপ্তাহে দুটি অনলাইন বিনিয়োগ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হচ্ছে। শুরুতে পরিকল্পনা ছিল দেশের সব মানুষকে বিনিয়োগ শিক্ষা প্রশিক্ষণ দেওয়ার। শিক্ষার্থী থেকে চাকরিজীবী, অবসরপ্রাপ্ত ছাড়া গৃহিণীদেরও এর আওতায় আনার লক্ষ্য ছিল। লক্ষ্য অনুযায়ী অনেক প্রশিক্ষণ আয়োজন করেও কয়েক কোটি মানুষের মধ্যে কতজনকে গত আট বছরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে–তা বলতে পারছে না বিএসইসি। এ সংখ্যা কোটি তো নয়ই, এমনকি লাখের ঘরও ছুঁতে পারেনি। সংস্থার মুখপাত্র আবুল কালাম জানান, প্রতি বছর ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষকে বিনিয়োগ শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্য। আদতে কতজন প্রশিক্ষণ পান, তা জানা নেই। আগে ঢাকায় বিএসইসি কার্যালয়ে সশরীরে প্রশিক্ষণ হলেও প্রশিক্ষণার্থীর অভাবে এখন সপ্তাহে দু’দিন একশজন করে দুটি অনলাইন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়।

এর বাইরে ২০১৯ সালের মে মাসে বিনিয়োগ শিক্ষা দিতে বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম) নামে একটি শিক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে আগ্রহী ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ বিনিয়োগকারী, বিভিন্ন বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান যেমন ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংক, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তারও আগে শেয়ারবাজারে দক্ষ জনশক্তি গড়তে ২০০৮ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) নামে আনুষ্ঠানিক শিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) নিয়মিতভাবে বিনিয়োগকারী ও বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়। বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও মাঝে মধ্যে এ ধরনের আয়োজন করছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির এ কার্যক্রমের নাম ‘বিনিয়োগের অ আ ক খ’। এ কর্মসূচির আওতায় অনলাইন প্রশিক্ষণ আয়োজনে একটি ওয়েবসাইট আছে। এ ওয়েবসাইট ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখা গেছে, এ বিষয়ে ২২টি নিবন্ধ আছে, যার মধ্যে বাংলায় মাত্র ছয়টি। কোনো ভিডিও ফাইল নেই। নিবন্ধগুলোর ডাউনলোড করতে গেলে ‘নিরাপত্তা সতর্ক বার্তা’ আসে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থার পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, বিএসইসি মূলত বিনিয়োগের প্রাথমিক ধারণা দেয়। এ জন্যই বিএসইসির বিনিয়োগ শিক্ষা কর্মসূচির নাম ‘বিনিয়োগের অ আ ক খ’। একজন বিনিয়োগকারীর কেন বিনিয়োগ করা উচিত, কী কী জানা উচিত ইত্যাদি শেখানো হয়। এই বিনিয়োগ শিক্ষার কোনো প্রভাব আছে কিনা সে বিষয়ে কোনো মূল্যায়ন এখনও হয়নি। 

বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে আছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোশাররফ হোসেন। তিনি জানান, বিএসইসির বর্তমান অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এক ঘণ্টার। কমিশনের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষক। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের এ প্রশিক্ষণে পাঠায়। একই ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে বিআইসিএম, বিএএসএম, স্টক এক্সচেঞ্জসহ অন্যরা।

ফলাফল শূন্য

বিএসইসির বিনিয়োগ শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবে বিনিয়োগকারীদের আচরণে বা বাজারের মানোন্নয়নে তেমন কোনো দৃশ্যমান প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিনিয়োগ শিক্ষার নামে যারাই যে কর্মসূচি চালাচ্ছে, তার সবই ‘করতে হয়, তাই করা’–এমন আনুষ্ঠানিকতায় আটকে আছে–এ কথা অকপটে স্বীকার করেছেন বিএসইসির বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কয়েকজন কর্মকর্তা।

বিএসইসির উপপরিচালক পদমর্যাদার একাধিক প্রশিক্ষক স্বীকার করেছেন, প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য কী, কারা অংশ গ্রহণ করছেন, কেন করছেন–তারই ঠিক-ঠিকানা নেই। অনলাইনে ১০০ জনকে নিয়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন হয়। শুরুতে কিছু লোক অংশ নিলেও এক ঘণ্টার প্রশিক্ষণের শেষে পাঁচ-সাতজনও থাকেন না। কিছু প্রশিক্ষক আন্তরিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করলেও অনেকেই তা নন। ফলে এটা আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে, কাজের কাজ কিছুই হয় না। বার্ষিক প্রতিবেদনে কেবল নথিবন্ধ হয়–এ বছর বিনিয়োগ শিক্ষায় কতগুলো প্রশিক্ষণের আয়োজন হয়েছে।

বিএসইসিসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন এবং ঢাকার একটি ব্রোকারেজ হাউস থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করছেন এমন একজন বাসাবোর রুহুল আমীন নামের এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, কাকে কী শেখানো দরকার, তাই ঠিক করতে পারেন না তারা। সবার জন্য এক কথাই বলেন। যে এখন বিনিয়োগ করছেন, তাকে বলছেন, বিও অ্যাকাউন্ট কী, কোথায় খুলতে হয়। এটি শেখানো দরকার, যারা এখনও এ বাজারে আসেননি কিন্তু আসতে চান তাদের। তারও আগে কেন মানুষ বিনিয়োগ করা উচিত, তা শেখানো দরকার। যারা বিনিয়োগ করছেন তাদের জন্য অন্য শিক্ষা দরকার। কারণ কোথায় বিনিয়োগ করে ভালো মুনাফা মিলবে মানুষ এটা জানে না। তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণে যে কথা শেখানো হয় বাজার তার উল্টো পথে চলে। সমস্যাভিত্তিক প্রশিক্ষণ নেই। পরে টাকা দিয়েও এক জায়গা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। সবই ভুয়া, কী সব চার্ট শেখায়। তারা যা বলে বাজার চলে তার উল্টো পথে। বাজার চলে কারসাজি চক্রের ইচ্ছায়। ফলে দিনের শেষে সবাই আইটেম খোঁজে, বিনিয়োগ শিক্ষা নয়।’

বিনিয়োগকারী ছাড়া বিনিয়োগকারী সপ্তাহ

বিনিয়োগ শিক্ষা যে কতটা আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে, তার বাস্তব উদাহরণ সর্বশেষ বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উদযাপন। এ আয়োজনে বিএসইসি কোনো বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণের সুযোগই রাখেনি। গত ৮ অক্টোবর বিএসইসি কার্যালয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতা সবাই ছিলেন বিএসইসির কর্মকর্তা। এর বাইরে স্টক এক্সচেঞ্জসহ ১০ ব্রোকারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

কেন বিনিয়োগ শিক্ষা প্রয়োজন

দেশের অন্তত কোটি মানুষ সঞ্চয় করার ক্ষমতা রাখেন। তাদের বড় অংশই ব্যাংকে সঞ্চয় রাখেন। কিছু মানুষ সঞ্চয়পত্র কেনেন। কেউ বীমা পলিসি করেন। এতে মুনাফা কম হওয়ায় শহুরে ছাড়াও গ্রাম-মফস্বলের মানুষের টাকা চলে যায় ফড়িয়া এবং মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ বা এমন কিছু ভুয়া লগ্নিকারীদের হাতে।
সঞ্চয়কারীদের মধ্যে যারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগ নিয়ে শেয়ারবাজারে আসেন, তারাও এ বাজারে এসে লোকসান করে হতাশ হন। কারণ, কারসাজিভিত্তিক লেনদেন ব্যবস্থায় প্রলুব্ধ হয়ে রাতারাতি বড় মুনাফার পেছনে ছোটা, যেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাছাড়া বেশির ভাগই জানে না যে, শেয়ারে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত কীভাবে নিতে হয়, শেয়ারের দরবৃদ্ধি বা লভ্যাংশ থেকে কখন কীভাবে বিনিয়োগ করে মুনাফা নিতে হয়, কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা নিরাপদ, লাভের প্রত্যাশা ও ঝুঁকির ভারসাম্য কীভাবে বজায় রাখতে হয় এবং বাজারে জল্পনা ও বাস্তব প্রবৃদ্ধির পার্থক্য কোথায়। 

ফলে দেখা যায়, তারা গুজব, ‘টিপস’ বা সামাজিক মাধ্যমের অন্ধ অনুসরণে বিনিয়োগ করে। এই অজ্ঞতাই বাজারে আতঙ্ক, কৃত্রিম উত্থান, মিথ্যা প্রত্যাশা এবং শেষ পর্যন্ত ক্ষতির অন্যতম কারণ। একজন শিক্ষিত বিনিয়োগকারীই বাজারের স্থিতিশীলতার গ্যারান্টি। কারণ, সে শুধু লোভ নয়, বিশ্লেষণ ও তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়। বিনিয়োগ শিক্ষা মূলত বিনিয়োগকারীর আচরণে যুক্তি, শৃঙ্খলা এবং দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে; যা উন্নত বাজারগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য।

বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগ শিক্ষা মানুষকে নিজের অর্থ সঠিকভাবে বিনিয়োগ করার যোগ্যতা দেয়। বিনিয়োগের ঝুঁকি ও লাভের সম্পর্ক বোঝাপড়া হলে মানুষ অস্থিরতা ও ভুল সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকতে পারে। বিনিয়োগ শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত এটিই। তাছাড়া প্রশিক্ষিত বিনিয়োগকারী বাজারে থাকলে প্রতারণামূলক কার্যক্রম কমে যায় এবং সুস্থ প্রতিযোগিতা বাড়ে, যা বাজারকে শক্তিশালী করে। 

বিএসইসির বর্তমান উদ্যোগের দুর্বলতা

গত কয়েক বছর ধরে বিএসইসির বিনিয়োগ শিক্ষা উদ্যোগ মূলত কিছু নির্দিষ্ট শহরকেন্দ্রিক অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ থাকতে দেখা গেছে। বিএসইসির শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যয় করা অর্থের কোনো ফলাফল বিশ্লেষণ বা ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট হয় না। ফলে জানা যায় না যে, এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিনিয়োগকারীরা আদৌ জ্ঞানের উন্নতি লাভ করছে কিনা। বেশির ভাগ প্রশিক্ষণ এখনও বক্তৃতানির্ভর ও তাত্ত্বিক। এতে বাজারের বাস্তব সমস্যা বা প্রয়োগভিত্তিক উদাহরণ কম থাকে। অংশগ্রহণকারীরা উৎসাহী হন না।

অনলাইনে বিনিয়োগ শিক্ষা এখন বৈশ্বিক ধারা। কিন্তু বিএসইসির ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আধুনিক ইন্টারঅ্যাকটিভ কনটেন্ট নেই। শিক্ষার্থীরা শেখার জন্য মোবাইল অ্যাপ বা গেমিফাইড টুলের সুবিধাও পান না। যদিও সম্প্রতি ভিডিও কনটেন্ট তৈরির জন্য প্রতিযোগিতা আহ্বান করা হয়েছে। তবে নিজেরা বানাচ্ছেন না। বেশির ভাগ শিক্ষাসামগ্রী ইংরেজিতে, যা প্রান্তিক বিনিয়োগকারীর কাছে দুর্বোধ্য। গ্রামীণ ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীকে আকৃষ্ট করতে হলে বাংলা ভাষায় সহজবোধ্য ও আকর্ষণীয় উপস্থাপনা প্রয়োজন। বিএসইসির শিক্ষা কার্যক্রম অনেক সময় বাজারের প্রকৃত আচরণ, যেমন- ইনসাইডার ট্রেডিং, প্রাইস ম্যানিপুলেশন ইত্যাদি নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা করে না। ফলে শিক্ষার সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি উদ্যোগ নিচ্ছে ঠিকই, তাতে বাস্তব প্রভাব নেই।