ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৪:৫৬:৪০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

একদফা দাবিতে উত্তাল ভিকারুননিসা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৪ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের হুমকি এবং দুর্নীতির অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

একই সঙ্গে স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের সিনিয়র শিক্ষক ফারহানা খানমসহ গভর্নিং বডির পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন তারা।

রোববার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজধানীর বেইলি রোডে স্কুলের মূল ক্যাম্পাসের সামনে এই বিক্ষোভ করছেন কয়েকশ শিক্ষার্থী। এসময় এক দফা এক দাবি এক, এক ঘণ্টায় পদত্যাগ; মানি না মানব না, দুর্নীতি সইব না-শিক্ষার্থীদের এসব স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের হুমকি দেন‌ অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

বিক্ষোভরত ছাত্রী মুহতামিম জারিন বলেন, আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের হুমকি এবং অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগে অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী, পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ফারহানা খানম এবং মূল শাখার বাংলা ভার্সন প্রভাতীর সহকারী প্রধান শিক্ষক সঙ্গীতা মাহজাবিন ইমামকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।

এ সময় গভর্নিং বডি বিলুপ্তির এক দফা দাবি জানান বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।

পরে অধ্যক্ষ নিজে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। হ্যান্ডমাইকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা যে দাবিতে আন্দোলন করছ এসব অভিযোগ কোনোটাই সত্য নয়।‌ তোমরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছো সেখানে আমি বাধা দিয়েছি, এর কোনো প্রমাণ নেই। যদি প্রমাণ করতে পারো তাহলে আমি এ পদ থেকে সরে যাব। আর তোমরা যদি আমাকে একেবারেই না চাও তাহলে আমি সর্বোচ্চটা বিসর্জন দিতে রাজি আছি। তিনি বলেন,‌ আমি আসার পরে এখানে কোন দুর্নীতি হয়নি, কোনো ভর্তি বাণিজ্য হয়নি। সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছি। ‌

অধ্যক্ষের বক্তব্যের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দেন এবং আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে তাকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন।

এসব বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ছাড়া, গত কয়েকদিন তিনি অফিসেও আসেননি বলে জানা গেছে।