কিশোরী মুক্তিযোদ্ধা তারামনের গল্প
অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:৫১ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার

মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি। ফাইল ছবি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এক বীর নারী মুক্তিযোদ্ধার নাম তারামন বেগম। কিশোরী এই মুক্তিযোদ্ধা সকলের কাছে তারামন বিবি নামে পরিচিত। একাত্তরের সেই উত্তাল সময়ে কিশোরী তারামন অত্যন্ত সাহসীকতার সঙ্গে সমরযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। ১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী তার বীরত্বভূষণ নম্বর ৩৯৪। গেজেটে নাম মোছাম্মৎ তারামন বেগম।
তারামন বিবি ১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুস সোহবান এবং মায়ের নাম কুলসুম বিবি।
যুদ্ধচলাকালে তারামন বিবি ১১ নং সেক্টরে নিজ গ্রাম কুড়িগ্রামের শংকর মাধবপুরে ছিলেন। তখন ১১ নং সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের। মুহিব হাবিলদার নামে এক মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। যিনি তারামনের গ্রামের পাশের একটি ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি তারামনকে ক্যাম্পে রান্নাবান্নার জন্য নিয়ে আসেন। তখন তারামনের বয়স ছিলো মাত্র ১৩ কিংবা ১৪ বছর। কিন্তু পরে তারামনের সাহস ও শক্তির পরিচয় পেয়ে মুহিব হাবিলদার তাকে অস্ত্র চালনা শেখান।
প্রখম দিকে সহযোদ্ধাদের জন্য রান্নাবান্নার পাশিাপাশি তিনি ছদ্মবেশে খবর সংগ্রহ করতেন। কখনো ভিখেরি, কখনো পঙ্গু সেজে তিনি পাকসেনাদের নানা গোপন তথ্য এনে দিতেন মুক্তিযোদ্ধাদের। গোপনে অস্র পৌঁছে দিতের তাদের।
পরে তিনি সহকর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র চালনোর প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের সাথে অনেক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার মুক্তিযুদ্ধে তারামন বিবিকে তার সাহসীকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক বিমল কান্তি দে প্রথম তার সন্ধান পান। এ কাজে বিমল কান্তিকে সহায়তা করেন কুড়িগ্রামের রাজীবপুর কলেজের অধ্যাপক আবদুস সবুর ফারুকী।
এরপর নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েকটি সংগঠন তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। সেই সময় তাকে নিয়ে পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হয়। অবশেষে ১৯৯৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার এক অনাড়ম্বর পরিবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তারামন বিবিকে বীরত্বের পুরস্কার তার হাতে তুলে দেন।
তারামন বিবির স্বামীর নাম আবদুল মজিদ। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ২০১৮ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। তারামন বিবি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থায় ভুগছিলেন। ১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে তিনি নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে রাজিবপুর উপজেলার কাচারীপাড়া তালতলা কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়।
- আজ দ্বিতীয় ধাপে ৬০ পৌরসভায় ভোট
- ভুলেও কান খোঁচাতে কটনবাড ব্যবহার করবেন না
- কবিতা# সময়
- শহীদজায়া মুশতারী শফী, জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি
- দ্বিতীয় ধাপে কাল ৬০ পৌরসভায় ভোট
- গার্লস ফাদার্স ক্লাবে কোহলি, নারী ক্রিকেট দল ঘোষণা বিগবি’র
- লকডাউেন সংসার চালাতে বাসের স্টিয়ারিং হাতে এক মা
- আবারও বাড়লো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি
- দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় আরও ১৩ মৃত্যু, শনাক্ত ৭৬২
- করোনা: নিয়ন্ত্রণে ভারতের দৈনিক সংক্রমণের হার
- ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প: নিহত বেড়ে ৩৪, আহত ৬৩৭
- কিশোরীর আত্মহত্যার মামলায় ধর্ষকের ৪০ বছরের কারাদণ্ড
- মুন্সীগঞ্জের পাটি শিল্প রক্ষায় টঙ্গীবাড়ির নারী কারিগররা
- যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মোট মৃত্যু ৪ লাখ ছুঁই ছুঁই
- বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু ২০ লাখ ছাড়াল
- ভ্রমণকাহিনি: চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গলে একদিন
- ছড়া : ছোট্ট পাখি টুনাটুনি
- আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
- কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই
- শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নে কমিটি গঠন
- বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী দেশের অধিকাংশই এশিয়ায়
- করোনা আক্রান্ত নজরুল ইসলাম খান
- রাজধানীতে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম
- মর্গে রাখা মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না!
- স্কুলে ভর্তির বিষয়ে কাল শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
- কবি সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী কাল
- চার বছর পর পিবিআইতে তনু হত্যা মামলা
- নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
- উত্তরাঞ্চলের চার জেলায় জেঁকে বসেছে শীত
- আনুশকা হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি জানাল মহিলা পরিষদ