ফেডারাল হল ও প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের অভিষেক
আইরীন নিয়াজী মান্না, নিউইয়র্ক থেকে | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০৯:২৪ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার
নিউ ইয়র্ক শহরের ২৬ ওয়াল স্ট্রিটে ফেডারাল হলের সামনে লেখক আইরীন নিয়াজী মান্না।
আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন৷ প্রেসিডেন্ট পদে তার অভিষেক মার্কিন ইতিহাসে এক চিরস্মরণীয় অধ্যায়৷ তার শপথগ্রহণের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটনের অভিষেককে অনেকেই নবযুগের সূচনা বলে মনে করেন৷
জর্জ ওয়াশিংটনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান কিন্তু ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হয়নি৷ এমনকী রাজধানী ওয়াশিংটনেও নয়৷ ১৭৮৯ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন নিউ ইয়র্কে৷ উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছিল তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান৷
এদিন ম্যানহাটনের ফেডেরাল হলের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মার্কিন নাগরিকদের সাক্ষী রেখে শপথ নেন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন৷ নিউ ইয়র্ক শহরের ২৬ ওয়াল স্ট্রিটের এই ফেডারাল হলের সঙ্গে বহু ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে৷
স্মৃতিবিজড়িত এই ভবনটিকে এখন ‘ফেডারাল হল ন্যাশনাল মেমোরিয়াল’ হিসেবে সাধারণ জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। যে কেউ অফিসিয়াল টাইমে সপ্তাহে পাঁচ দিন বিনা টিকিটে ঘুরে দেখতে পারেন এই অবিন্মরণীয় দুই তলা ভবনটি। ভবনের সামনে দাঁড়াতেই দূর থেকে চোখে পড়বে প্রথম প্রেসিডেন্টের মার্বেল পাথরে তৈরি বিশাল সাইজের কালো মূর্তিটি। রাস্তা থেকে প্রায় দশটি বিশাল পাথুরে সিঁড়ি ভেঙে ঢুকে যেতে হবে ভবনের ভেতরে। ভেতরে জর্জ ওয়াশিংটনের অফিস রুম, তার ব্যবহারিত চেয়ার-টেবিল, যে বাইবেল ছুয়ে সেদিন তিনি শপথ নিয়েছিলেন সেটি, সিনেটরদের মিটিং রুম, কোষাগার চোখে পড়বে। ভবনের ঠিক মাঝ বরাবর গোলাকৃতির বিশার খালি স্থানটিতে প্রতিদিন আয়োজন করা হয় নানা রকম প্রদর্শনীর। একতলা এবং দোতলার অন্যান্য রুমগুলোতে জাদুঘরের আদলে ওয়াশিংটনসহ অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের তৈলচিত্র, ওয়াশিংটেন প্রথম ভাষণের কপির মুদ্রিত কপি, যে অশ্বারোহী বাহিনী প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার দিয়েছিলো তার মিনিয়েচার, যে ঘোড়ার গাড়িতে করে তিনি শপথ নিতে এসেছিলেন তার মিনিয়েচার প্রদর্শন করা হয়েছে। রয়েছে ওয়াশিংটনের শপথগ্রহণের বিশাল তৈলচিত্র, তার স্ত্রী ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের বিরল সব ছবি। ভবনে ঢুকতেই হাতের ডান দিকে একটি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এখান থেকে বিভিন্ন বই ও স্যুভেনির কেনা যায়।
ইতিহাস বলছে, আজ থেকে তিন শথ বছরের অধিক সময় আগে আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গোটা নিউ ইয়র্ক শহর জুড়ে ছিল সাজো সাজো রব৷ এদিন সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জর্জ ফোর্ট থেকে স্যালুট জানিয়ে কামানের তোপধ্বনি করা হয়৷ সারা নিউ ইয়র্ক শহরজুড়ে ৩০ মিনিট ধরে বাজানো হয় গির্জার ঘণ্টা৷
ইতিহাস মতে, আমেরিকার স্বাধীনতা বিপ্লবের পর, কয়েক বছর ধরেই দেশটি আর্টিকেল অব কনফেডারেশন নিয়ে বেশ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছিল। তাই সে সময়ে দেশটির জন্যে কার্যকরী একটি রাষ্ট্রীয় সরকার গঠন করা অপরিহার্য হয়ে উঠে। তারই সূত্র ধরে, ১৭৮৭ সালের গ্রীষ্মে, ফিলাডেলফিয়া সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিচালনার জন্য একটি সংবিধান তৈরি করা হয়। ‘রাষ্ট্রপ্রধান সংসদ ব্যবস্থা’ পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
সাংবিধানিক অধিবেশন পরিচালনার জন্য জর্জ ওয়াশিংটনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবার পর থেকেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নায়ক হয়ে উঠতে শুরু করেন।
১৭৮৮ সালের শেষ দিকে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে খুব সহজেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিজয়ী হন জর্জ ওয়াশিংটন। তার কয়েক মাস পরই ১৭৮৯ সালের ৩০ এপ্রিল ম্যানহাটনের ফেডারাল হলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
ফেডারাল হলের বারান্দায় এসে, দেশের জনগণের দিকে হাত উঁচিয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। অবাক ব্যাপার, তার আশ্বাস দেয়ার সেই রীতি আজও বর্তমান৷ আজও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শপথ গ্রহণের পর একই ভাবে বারান্দায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে পাশে থাকার বার্তা দেন৷
এর আগে ১৭৮৯ সালের ১৪ এপ্রিল জর্জ ওয়াশিংটনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, তিনি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। কংগ্রেস সেক্রেটারি এই খবর দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনের বাসভবন মাউন্ট ভার্ননে গিয়েছিলেন। সেদিনই যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য জর্জ ওয়াশিংটন সম্মতি জানান।
এর দু'দিন পর তিনি নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করেন। মাউন্ট ভার্নন থেকে নিউ ইয়র্কের এই যাত্রা বেশ দীর্ঘ ছিল। যাত্রাপথে বিভিন্ন স্থানে তাকে এক পলক দেখার জন্য ভিড় করে ছিলো উৎসাহী জনতা।
১৭৮৯ সালের ২৩ এপ্রিল, জর্জ ওয়াশিংটন বিলাসবহুল একটি বজরা নৌকায় করে নিউ জার্সির এলিজাবেথ থেকে ম্যানহাটনে গিয়ে পৌঁছান। সেদিন নিউ ইয়র্কে তার আগমন পরিণত হয়েছিল জাতীয় উৎসবে। জাতীয় পত্রিকাগুলো এই উৎসবমুখর পরিবেশের বর্ণনা করে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছিলো।
তিনি যখন নিউ ইয়র্কে পা রাখেন, তখন সুসজ্জিত অশ্বারোহী বাহিনীর একটি প্যারেড আয়োজন করা হয়েছিল। অশ্বারোহী বাহিনীর সাথে এই প্যারেডে সামরিক কর্মকর্তা, প্রথম পদাতিক বাহিনীর মাধ্যমে গঠিত ‘প্রেসিডেন্ট গার্ড ইউনিট’-এর সদস্যরাও অংশ নিয়েছিলেন।
নগর এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে, জর্জ ওয়াশিংটন প্রথমবারের তার জন্য নির্ধারিত ‘রাষ্ট্রপতি ভবনে’ প্রবেশ করেছিলেন।
শপথ গ্রহণের দিন বোস্টন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্রোনিকলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘নিউ ইয়র্ক শহরের দেয়ালে দেয়ালে পতাকা এবং ব্যানার প্রদর্শনের হিড়িক লেগে গিয়েছিল। কোনো কোনো ভবন থেকে ঘণ্টাও বাজানো হয়েছিল। নারীরা তাদের ঘর থেকে হাত নেড়ে জর্জ ওয়াশিংটনকে স্বাগত জানিয়েছিল’।
এর পরের সপ্তাহে জর্জ ওয়াশিংটন তার চেরি স্ট্রিটের বাসভবনে পারিবারিক এবং রাষ্ট্রীয় সভা নিয়ে বেশ ব্যস্ত ছিলেন। এর কিছুদিন পরেই তার স্ত্রী মার্থা ওয়াশিংটন নিউ ইয়র্কে এসে পৌঁছান। মিসেস ওয়াশিংটনের সাথে মাউন্ট ভার্ননের ভার্জিনিয়া এস্টেটের বাসভবনে থাকা কয়েকজন গৃহপরিচারিকাও নিউ ইয়র্কে এসেছিলো।
আগেই বলেছি, ১৭৮৯ সালের ৩০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেদিন দুপুরে চেরি স্ট্রিটের রাষ্ট্রপতির বাসভবন থেকে একটি র্যাণলি বের হয়েছিল। র্যা লিতে সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে জর্জ ওয়াশিংটন এবং অন্যান্য নেতারা রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে ফেডারেল হলের দিকে অগ্রসর হন।
শপথ গ্রহণের দিন পরিধানের জন্য তিনি নিজের পোশাক নিজেই নির্বাচন করেছিলেন। যদিও সে সময়ে জর্জ ওয়াশিংটন একজন সামরিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন, তবুও তিনি তার পোশাকের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েচিলেন, একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সেই দেশের সাধারণ জনগণের মতোই একজন সাধারণ মানুষ। তাই তিনি সামরিক ইউনিফর্ম বা ইউরোপীয় পোশাক না পরে নিজ দেশে তৈরি সাধারণ পোশাকই গায়ে জড়িয়েছিলেন।
তিনি আমেরিকান সুতোয় বোনা একটি স্যুট, কানেকটিকাটের বাদামি ভেলভেটে তৈরি একটি গলাবন্ধনী পরেছিলেন। তার সামরিক মর্যাদা রক্ষার্থে শুধুমাত্র একটি তলোয়ার সাথে রেখেছিলেন।
নাসাউ স্ট্রিট এবং ওয়াল স্ট্রিটের ঠিক কোণায় অবস্থিত ফেডারেল হল বিল্ডিঙের সামনে এসে দাঁড়ালে এক দল সামরিক সৈন্য তাকে অভ্যর্থনা জানায়। তারপর সামরিক সেনাদের পাহারায় তিনি ভবনে প্রবেশ করেন।
ভবনে প্রবেশের পর তার সাথে কংগ্রেসের উভয় দলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। আসলে পরিচয় পর্বটি শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা ছিলো। কারণ জর্জ ওয়াশিংটন কংগ্রেস হাউজ এবং সিনেটের সদস্যদের আগে থেকেই চিনতেন।
নিউ ইয়র্কের কাউন্সিলর রবার্ট বাল্টিমোর, জর্জ ওয়াশিংটনকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন। শপথ গ্রহণের সময় একটি হাত বাইবেলের উপর রেখেছিলেন ওয়াশিংটন৷ সেই ধারা আজও অব্যাহত৷ জর্জ ওয়াশিংটন ওয়াল স্ট্রিটের সেই ভবনের সামনের একটি খোলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। সংবিধান মেনে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের জন্মের এই শুভ মুহুর্তে সমাবেশে উপস্থিত প্রতিনিধি এবং সেনেটরদের মুখোমুখি হয়ে কাঁপছিলেন গ্রেট ওয়াশিংটন৷ এ বিষয়টি পেনসিলভ্যানিয়ার সেনেটর উইলিয়াম ম্যাক্লের নজরে আসে৷
শপথ গ্রহণ শেষে ১৩ বার কামানের তোপধ্বনি হবার পর আমেরিকার চ্যান্সেলর জর্জ ওয়াশিংটনকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। এ সময় লিভিংস্টোন বলেছিলেন, ‘জর্জ ওয়াশিংটন দীর্ঘজীবী হোক৷’ এর পরপরই বাতাসে ‘দি প্রেসিডেন্ট, দি প্রেসিডেন্ট’ ধ্বনি উচ্চারিত হতে থাকে।
সকলের ভূয়সী প্রশংসা সাথে নিয়ে জর্জ ওয়াশিংটন কংগ্রেসের দুই হাউজের সদস্য ও সিনেটদের সাথে অন্দরমহলে প্রবেশ করেন। সিনেট চেম্বারে বসে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি তার প্রথম ভাষণ দেন। দীর্ঘ ভাষণটি লিখিত আকারে নিয়ে এসেছিলেন তিনি।
ভাষণ দানের পর, জর্জ ওয়াশিংটন নবনিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামসসহ, কংগ্রেসের সদস্যদের সাথে ফেডারেল হলের পাশেই ব্রডওয়েতে অবস্থিত সেন্ট পলস চ্যাপেল চার্চে প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন। চার্চে প্রার্থনা পর্ব শেষ করে তিনি তার জন্য নির্ধারিত রাষ্ট্রপতির বাসভবনে ফিসে আসেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলেও নিউ ইয়র্কের জনগণ তখনও তাদের আনন্দ উদযাপন চালিয়ে যাচ্ছিল। রাতের নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন ভবন-বাসা-বাড়ি থেকে আলোকসজ্জার আলো চারদিকে ছিটকে পড়ছিল। সেদিন সন্ধ্যার উৎসব ছিল খুবই মনোরম এবং স্বতঃস্ফূর্ত। হাজার হাজার মানুষ এই ঘটনার সাক্ষী হবার জন্য জড়ো হয়েছিল নিউ ইয়র্কের রাস্তায় রাস্তায়।
ব্যক্তিজীবন: জর্জ ওয়াশিংটন উপনিবেশিক ভার্জিনিয়ার এক ধনাট্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। তার পরিবার তামাক চাষ এবং দাস ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। তিনি পরবর্তীতে উত্তরাধিকার সূত্রে তা লাভ করেন।
ওয়াশিংটন ১৯৫৯ সালের ৬ জানুয়ারি ধনী বিধবা মার্থা ডানড্রিজ কাস্টিসকে বিয়ে করেন। তখন মার্থার বয়স ছিল ২৮। মার্থা ওয়াশিংটনই (জন্ম ২, ১৭৩১; মৃত্যু: মে ২২, ১৮০২) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ফার্স্ট লেডি। তিনি লেডি ওয়াশিংটন নামে বেশি পরিচিত।
তরুণ বয়সে জর্জ ওয়াশিংটনকে উপনিবেশিক মিলিশিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়৷ ফরাসি ও ভারতীয় যুদ্ধের প্রথম ভাগ পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। ১৭৭৫ সালে দ্বিতীয় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস মার্কিন বিপ্লবের সময় কন্টিনেন্টাল আর্মির সর্বাধিনায়ক পদে পদোন্নতি হয় তার৷ তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গঠনের প্রধান বলে মনে করা হয়। তিনি তার জীবদ্দশায় এবং এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতির জনক হিসেবে পরিচিত।
১৭৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর (বয়স ৬৭) তার মৃত্যুর পর ভার্জিনিয়ার তৃতীয় হেনরি লি ওয়াশিংটনের প্রশংসা করে বলেন, ‘যুদ্ধে প্রথম, শান্তিতে প্রথম এবং তার জনগণের হৃদয়ে প্রথম’। তিনি জীবিত অবস্থায় এবং মৃত্যুর পরও পরম পূজনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সেরা তিন রাষ্ট্রপতির অন্যতম জর্জ ওয়াশিংটন।
আইরীন নিয়াজী মান্না
জামাইকা, নিউ ইয়র্ক
২৫.১১.২০২১
- মিরপুর চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে বেরিয়ে গেল সিংহ
- খালেদা জিয়া জন্য জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
- ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২০০
- পিঠা খেতে ঢাকা ছাড়লেন পরীমণি
- এআই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করলেন রোনালদো
- কনার নতুন ছবি ঘিরে বিয়ের গুঞ্জন
- নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকার ৫০ থানার ওসি বদলি
- ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট
- ইউএনও হলেন লাক্স সুন্দরী সোহানিয়া
- পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে যোগ দিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার
- বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত
- বিশৃঙ্খলায় ডুবছে গ্রোকিপিডিয়া
- লিভার ভালো রাখতে যে ৩ খাবার খাবেন
- আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল
- পুতিনকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানালেন মোদি
- খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা
- নাসরিনের অধিনায়ক সানজিদা, সাবিনা-মাসুরারা অন্য ক্যাম্পে
- বিয়ে নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন রাশমিকা
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায়
- হেলিকপ্টারে বিমানবন্দর যাবেন খালেদা
- বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে
- আজ মধ্যরাতে লন্ডনে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে
- লিভার ভালো রাখতে যে ৩ খাবার খাবেন
- ‘পরিবেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার’
- পিঠা খেতে ঢাকা ছাড়লেন পরীমণি
- আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতি গর্ব করবে : প্রধান উপদেষ্টা
- খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে সম্মতি কাতারের
- তলবের ১০ মিনিটেই হাজির জেডআই খান পান্না, চাইলেন নিঃশর্ত ক্ষমা
- ইউএনও হলেন লাক্স সুন্দরী সোহানিয়া

