ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:১০:১৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

বাজারে আগুন, ভালো নেই নিম্ন আয়ের মানুষ

অনু সরকার | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২১ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

ছবি: সংগ্রহিত।

ছবি: সংগ্রহিত।

কাঁচা বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।

সবজি, মাছ ও মাংসের বাজারে যেন 'আগুন' লেগেছে। বেড়েছে মসলার দামও। কদিন আগেই পেঁপের কেজি ছিল ৪০ টাকা, বতর্মানে তা ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। দাম বেড়েছে করলা, লাউ, ধুন্দুল, বরবটিসহ আরও অনেক সবজির। ফলে সবজি কেনা এখন সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য।

আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর পরীবাগ, সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, রামপুরা ও শান্তিনগর এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীর বাজারে দিন দিন মাছ- মাংসের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রতিদিনই বাজার করতে গিয়ে খেটে-খাওয়া মানুষ পড়ছেন বিপাকে। গরু ও মুরগির মাংসের দাম সহসাই কমার কোনো ইঙ্গিত নেই, আবার মাছের বাজারেও যেন লেগেছে আগুন। 

এদিকে গরু ও খাসির দাম স্থির থাকলেও তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার অনেক বাইরে। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের পকেটে চাপ বাড়ছে।একমাসে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়ার পর ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগিও ২৬০ টাকা থেকে বেড়ে ২৮০ টাকায় উঠেছে। দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে নতুন বাজারের বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে চাহিদা বেড়েছে, সরবরাহ তুলনামূলক কম। দুর্গাপূজা সামনে, তাই দাম আরও বাড়তে পারে।

বাজারঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি ধুন্দল ৪০-৫০ টাকা, শসা ৫০-৮০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, ঝিঙে ৬০-৮০ টাকা, কহি বা চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, আমড়া ৬০ টাকা ও কচুর মুখি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

এছাড়া প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মূলা ৮০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা ও কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।

আর প্রতি পিস লাউ ৬০-৭০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।

গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৬০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস এক হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের দামও। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০ টাকা ও সাদা ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ডজন হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম যথাক্রমে ২২০-২৩০ ও ২৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বর্তমানে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ২১০০ টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৭৫০-১৮৫০ টাকা, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৫০০ টাকা ও দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য মাছের দাম রয়েছে আগের মতোই চড়া। প্রতিকেজি বোয়াল ৭৫০-৯০০, কোরাল ৮০০-৮৫০, আইড় ৭০০-৮০০, চাষের রুই ৩৮০-৪৫০, কাতল ৪৫০, তেলাপিয়া ১৮০-২২০, পাঙাশ ১৮০-২৩৫ এবং পাবদা ও শিং ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চাষের ট্যাংরা ৭৫০-৮০০, কাঁচকি ৬৫০-৭০০ এবং মলা ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।