ঢাকা, শনিবার ২০, ডিসেম্বর ২০২৫ ১:৩৬:৩১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেছেন তারেক রহমান আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারো আগুন-ভাঙচুর প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন

বাতিল হলো বিচারক নিয়োগের নারী কোটা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪১ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিম্ন আদালতের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী কোটা বাতিল করে বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধিতে এখন বলা হয়েছে, সার্ভিসের প্রবেশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (সার্ভিস গঠন, সার্ভিস পদে নিয়োগ এবং সাময়িক বরখাস্তকরণ, বরখাস্তকরণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৭’ সংশোধন করে আদেশ জারি করেছে।

সরকারি চাকরিতে জাতীয় বেতন স্কেলের ৯ম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল ছিল। সম্পতি সরকারি কর্মকমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়, ৮ম গ্রড থেকে এর ওপরের অর্থাৎ ১ম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকবে না।

আগে জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালার বিধি-৫ এর উপবিধি-৮ এ বলা হয়েছিল- জুডিশিয়াল সার্ভিসের প্রবেশ পদে প্রার্থী মনোনয়ন ও নিয়োগদানের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। তবে শর্ত ছিল, শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে নারীদের মধ্য থেকে কমপক্ষে ২০ শতাংশ মনোনয়ন ও নিয়োগ দান করা সম্ভব হলে এ ক্ষেত্রে এ কোটা সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে না।

মেধার ভিত্তিতে নারীদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ শতাংশ প্রার্থী মনোনয়ন সম্ভব না হলে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ থেকে মেধার ভিত্তিতে ২০ শতাংশ পূরণের জন্য যে সংখ্যক প্রার্থী প্রয়োজন হবে সেই সংখ্যক প্রার্থীর জন্য কোটা সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছিল বিধিমালায়। তবে সংশোধন করে এখন বলা হয়েছে, সার্ভিসের প্রবেশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।

একই সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে- আগে বিধি-৫ এর উপবিধি-১ এর ক-দফায় বলা ছিল- কোনো ব্যক্তিকে সার্ভিসের প্রবেশ পদে নিয়োগ করা যাবে, যদি তিনি কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির এলএলএম ডিগ্রিধারী হন।

এখন সংশোধন করে বলা হয়েছে- কোনো ব্যক্তিকে সার্ভিসের প্রবেশ পদে নিয়োগ করা যাবে যদি তিনি কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) অথবা আইন বিষয়ে স্নাতক অথবা কোনো স্বীকৃত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ৩ বছর মেয়াদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হন।

শর্ত দেয়া হয়েছে- ওই ব্যক্তিকে আইন বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা ক্ষেত্রমত, আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ প্রাপ্ত হতে হবে।

-জেডসি