ভাষাকন্যা হালিমা খাতুনের অনন্য অবদানের সাতকাহণ
নোরা নূর | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১০:২০ এএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

হালিমা খাতুন। পুরাতন ছবি।
মাতৃভাষা আন্দোলনে অধ্যাপক হালিমা খাতুনের অবদান অপরিসীম। মায়ের মুখের ভাষা রক্ষার আন্দোলনে তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।
হালিমা খাতুন বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নাম মাওলানা আব্দুর রহমান ও মায়ের নাম দৌলতুননেসা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে এবং পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ সম্পন্ন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি নর্দার্ন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষায় পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি দেশের একজন স্বনামধন্য শিশুসাহিত্যিক।
অধ্যাপক হালিমা খাতুন খুলনা করনেশন স্কুল এবং আর কে গার্লস কলেজে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগ দেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৯৭ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
পঞ্চাশের দশকের প্রথম দিকে পূর্ব পাকিস্তানে ভাষা আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি আন্দোলন কঠিন রূপ ধারণ করে। একুশে ফেব্রুয়ারি মুসলিম গার্লস স্কুল ও বাংলাবাজার গার্লস স্কুলের ছাত্রীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় নিয়ে আসার দায়িত্ব ছিলো হালিমা খাতুনের ওপর। ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে বক্তব্য দেয়ার পর পরই স্লোগানে স্লোগানে কেঁপে ওঠে আমতলা। ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’- স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় চারপাশ। সিদ্ধান্তানুযায়ী ১৪৪ ধারা ভেঙে প্রথম বের হয় ৪ জনের মেয়েদের দল। জুলেখা, নূরী, সেতারা এবং হালিমা খাতুন ছিলেন। পাকিস্তান আর্মি ও পুলিশের তাক করা বন্দুকের নলকে উপেক্ষা করে ভাষার দাবিতে মিছিলের সামনের কাতারে ছিলেন হালিমা খাতুনসহ অন্যান্য নারীরা। তাদের ওপর পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করতে থাকে। এ টিয়ার গ্যাসের যন্ত্রণা সহ্য করে স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যান তারা। কিন্তু বেশি দূর এগুতে না পেরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মধ্যে ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে। হতাহতদের মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়। হালিমা খাতুন তার সাথীদের নিয়ে বিভিন্ন রকম সেবা ও সহযোগিতার মাধ্যমে আহতদের সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেন।
তিনি ভাষা আন্দোলনে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৯ সালে মরনোত্তোর একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ভাষা আন্দোলনে সাহসী ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী কর্তৃক ভাষা সৈনিক সম্মাননা এবং সাহিত্যক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও লেখিকা সংঘ পুরস্কার লাভ করেন।
তার একমাত্র মেয়ে প্রজ্ঞা লাবনী একজন আবৃত্তি শিল্পী।
২০১৮ সালের ২৮ জুন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ৩০ জুন তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি হৃদরোগ, কিডনি জটিলতা, রক্তদূষণের মতো নানা জটিলতা নিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের সিসিইউতে ছিলেন। ৩ জুলাই এই ভাষাকন্যা সেখানে মৃত্যুবরণ করেন।
- সিরাজগঞ্জে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল ২ শিশুর
- জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কায় স্কুল ও অফিস বন্ধ
- কক্সবাজারে নিয়ে দুই তরুণীকে পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ
- বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডেই বিদায় দিয়া-রোমানদের
- টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দেশ
- বাংলায় ভয়েস-টু-টেক্সট ফিচার চালু করল ইমো
- আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে যা বললেন পরীমণি
- আইআরসিতে চাকরির সুযোগ, বেতন মাসিক ১১১২০০
- স্ত্রীর কবরের পাশে চিরশায়িত হবেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
- লিচু খাওয়ার উপকারিতা
- চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠীর ইতিহাসে একটি রক্তস্নাত দিন আজ
- আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে মহিলা পরিষদের শোক
- ফিফা বিশ্বকাপে প্রথমবার নারী রেফারি
- বেগুনের সম্ভাবনাময় জাত বারি-৪
- নারী টিভি উপস্থাপকদের মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ তালেবানের
- নাটোরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সবুজাভ সজনে গাছ
- বিশ্ব পানি দিবস আজ
- ‘গাজীপুর পথশিশু সেবা সংগঠন’ পথশিশুদের ঈদ উপহার দিল
- আজ বিশ্ব কবিতা দিবস
- কোন আইনে লেখা আছে টিপ পরা যাবে না: সুবর্ণা মুস্তাফা
- ফেসবুকে যে নিয়মে পোস্ট করলে লাইকের ঝড় বইবে
- সৌন্দর্যের লীলাভূমি নেপাল
- সেই দূরে দেখা হাটের পিছনের ইতিকথা: তপতী বসু
- ছোট্ট একটি ছাদেই ৩০০ জাতের গোলাপ
- গ্রাম্য শালিসে নারীকে লাঠিপেটা, ইউপি সদস্য গ্রেফতার
- ঈদ বাজারে সুনাম কুড়াচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ড
- আ.লীগ কখনও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি
- রোজা লুক্সেমবার্গের নির্বাচিত রচনা: অনুবাদ: অদিতি ফাল্গুনী
- রোজা লুক্সেমবার্গের নির্বাচিত রচনা: অনুবাদ: অদিতি ফাল্গুনী
- প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী বিচারপতি পাচ্ছে আমেরিকা