ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ২:১৮:১৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

মঙ্গলবার থেকে খুলছে ঢাকা সিটি কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫১ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ছাত্রদের আন্দোলন ঠেকাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা ঢাকা সিটি কলেজ অবশেষে খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সব ঠিক থাকলে আগামী মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) থেকে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর দ্বিতীয়দিন (২০ নভেম্বর) দ্বাদশ শ্রেণির এবং তৃতীয়দিন (২১ নভেম্বর) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।

গতকাল শনিবার কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক কাজী নেয়ামুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, সকল শিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে কলেজ খোলা হবে এবং প্রথমদিন একাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে। তবে প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে না। এর পরদিন (২০ নভেম্বর) দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে। তবে দ্বাদশ শ্রেণিরও প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্নাতক (অনার্স) ও স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ২১ নভেম্বর থেকে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের অপসারণ, বৈধ অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনাসহ কয়েক দফা দাবিতে প্রতিষ্ঠানের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। পরদিনও ক্লাস পরীক্ষায় অংশ না দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে নেন তারা। গভর্নিং বডি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। তবে তারা ক্লাসে ফেরেননি এবং পরীক্ষায়ও অংশ নেননি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না এবং পরীক্ষাতেও অংশ নেবে না বলে জানান।

এভাবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত গড়ালে ঢাকা সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ ওইদিনই নোটিশ দিয়ে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। নোটিশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা জানানো হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৈধ অধ্যক্ষকে জোর করে সরিয়ে দিয়ে কাজী নিয়ামুল হক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে বসে গেছেন। এরপর অবৈধভাবে একই দিন ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন মো. মোখলেছুর রহমানকে। জোর করে পদে বসে যাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ নানা স্বেচ্ছাচারিতা, বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। এসব কারণে তারা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।