ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:০৪:৩৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতি গর্ব করবে : প্রধান উপদেষ্টা তলবের ১০ মিনিটেই হাজির জেডআই খান পান্না, চাইলেন নিঃশর্ত ক্ষমা ‘পরিবেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার’

রঙিন অ্যাকুরিয়াম ফিসে উদ্যোক্তা রিতির সফলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২১ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

হাবিবা আক্তার রিতি

হাবিবা আক্তার রিতি

হাবিবা আক্তার রিতি বয়সে একেবারে তরুণ। বিয়ের পরই পাশ করেছেন এইচএসসি। বয়সে তরুণ একজন নারীর জন্য সংসার সামলানো যেখানে অনেক কঠিন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়া রিতির জন্য ছিল আরো অনেক কঠিন এবং দুঃস্বপ্নের মতো। 

অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও কঠোর পরিশ্রম মানুষের সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি। রিতি যার অন্যান্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। ২০২২ সালে শখের বশে একটি অ্যাকুরিয়াম ও ৫ টি রঙিন অ্যাকুরিয়াম ফিস কিনে বাসায় লালন পালন শুরু করে। এরপর অ্যাকুরিয়ামের ওই মাছগুলো বাচ্চা দিলে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করার উদ্যোগ নেয় রিতি। 

মাত্র আড়াই বছরের ব্যবধানে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে আত্ম প্রকাশ করেন তিনি। রঙিন অ্যাকুরিয়াম ফিস ও কোয়েল পাখির বাচ্চা উৎপাদন করে রিতির মাসিক আয় এখন দেড় লাখ টাকা। 

হাবিবা আক্তার রিতি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে। স্বামী মেহেদী হাসান ঢাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাস্টার্স এ পড়ছেন। 

রিতি প্রথমেই তার বসতবাড়ির সাথেই একটি প্রিন্সেস অ্যাকুরিয়াম নামে একটি অ্যাকুরিয়াম এর দোকান দেয়। এর সাথে বসতবাড়ির পাশে প্রায় এক বিঘা জমির উপর রঙিন অ্যাকুরিয়াম ফিস উৎপাদন করার জন্য একটি উন্নত মানের হ্যাচারি তৈরি করেন।

হ্যাচারির মধ্যে বড় বড় সাইজের ১৩ টি ট্যাংকি (হাউজ) রয়েছে। প্রতিটি ট্যাংকিতে আলাদা আলাদা মাছের ব্রিডিং করানো হয়। মা মাছ এবং বাচ্চা মাছগুলো যাতে সুস্থ সবল থাকে এজন্য হ্যাচারিতে পানি পরিবর্তন এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। 

রিতি নিজেই প্রতিদিন মাছের যত্ন নেয় এবং খাবার দেয়। বর্তমানে হ্যাচারিতে ফেন্সি, গাপ্পি, মলি জেব্রা, ফাইটার, এঞ্জেল, টেটরা, গোল্ড ফিস, শর্টটেল, শ্রীম্প ও লবেষ্টার সহ বিভিন্ন প্রজাতির রঙিন অ্যাকুরিয়াম ফিস উৎপাদন হচ্ছে। 

উৎপাদিত রঙিন ফিস খামারে নিতে আসা ক্রেতাদের কাছে যেমন বিক্রি করে, তেমনি অনলাইনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। অ্যাকুরিয়াম এবং রঙিন অ্যাকুরিয়াম ফিস বিক্রি থেকে মাসিক আয় করছে এক লাখ টাকা।

পাশাপাশি তিনি উৎপাদন করছেন কোয়েল পাখির বাচ্চা। এলাকায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে কোয়েল পাখির বাচ্চার। কিন্তু বাচ্চা উৎপাদনকারী তেমন কেউ না থাকায় রিতির খামারে উৎপাদিত বাচ্চা এলাকার চাহিদা পূরণে একমাত্র ভরসা। কোয়েল পাখির বাচ্চা উৎপাদন করে মাসিক আয় করছেন ৫০ হাজার টাকা।

রিতির রঙিন অ্যাকুরিয়াম ফিস ও কোয়েল পাখির বাচ্চা উৎপাদন কার্যক্রম এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ তার এ কার্যক্রম দেখতে আসে। এ কাজ দেখে উদ্দোক্তা হওয়ার জন্য শিক্ষিত বেকার তরুণদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।  

হাবিবা আক্তার রিতি বলেন, আমার শুরুটা হয়েছে শখ থেকেই। শখের বশে একটি অ্যাকুরিয়াম এবং ৫ টি রঙিন মাছ দিয়ে শুরু করেছিলাম। মাছগুলো বাচ্চা দেওয়ার পর নিজের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়।

তিনি বলেন, এরপর বাণিজ্যিকভাবে পরিকল্পনা নিয়ে বড় পরিসরে শুরু করি। এলাকায় প্রচুর চাহিদা থাকায় রঙিন ফিসের জন্য হ্যাচারি নির্মাণ করি এবং কোয়েল পাখির বাচ্চা উৎপাদনের জন্য একটি মেশিন কিনি। সরাসরি খামার এবং অনলাইনের মাধ্যমে রঙিন মাছ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে প্রতিমাসে দেড় লাখ টাকা আয় হচ্ছে।