ঢাকা, শুক্রবার ২৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৫৫:৪১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ার বার্তা তারেক রহমানের কোথায়, কোন কর্মসূচি গণভোটের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালাবে সরকার কারাবন্দিদের ভোট দেওয়ার নির্দেশিকা জারি ইসির পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র অধরা নির্বাচন ঘিরে আতঙ্ক

রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের অবরোধ : গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের লাঠিচার্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৩:৫১ পিএম, ১ আগস্ট ২০১৮ বুধবার

রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় জাবালে নূর বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এ সময়  শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর,বাসে আগুন দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের লাঠিচার্জেরও ঘটনা ঘটে। অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

 

    

আজ সকালের দিকে নয়টি দাবি নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট মোড়ে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। অবরোধ থেকে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ, নিরাপদ সড়ক ও ঘাতক বাসের চালকের দ্রুত বিচার ও ফাঁসি দাবি ছাড়াও বেশ কয়েকটি দাবি করা হয়।  একই সাথে  শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ শুরু করেন। এরপর একে এক ফার্মগেট, মিরপুর, তেজগাঁও, ধানমণ্ডি, নাবিস্কো, কাকরাইল, শাহবাগ, সাইন্সল্যাব, মতিঝিল মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

 


দুপুরের দিকে উত্তরার কয়েকটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উত্তরার জসীমউদ্দীন মোড়ে অবরোধ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অবরোধের ফলে উত্তরা-বিমানবন্দর সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উত্তরার জসীম উদ্দীন রোডে এনা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। হাউস বিল্ডিংয়ে বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাঁচটি বাস এবং একটি পিকআপ ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।




দুপুরেই নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ ও ঘাতক বাসচালকের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেয়। সড়ক অবরোধের কারণে শাপলা চত্বরে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা একটি বাস ভাঙচুর করেন।

 



অন্যদিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে শিক্ষার্থীরা অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হন মিরপুর শহিদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের এক শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও গুরুতর আহত হয় আরো দুইজন। আহতদের মিরপুর গ্যালাক্সি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।



সাইন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন সিটি কলেজ এবং ধানমন্ডি আইডিয়ালসহ বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে মিরপুর রোড, নীলক্ষেত এবং শাহবাগ থেকে সাইন্সল্যাব এলাকার যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় একটি বাস সাইন্সল্যাব মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

 


বাড্ডায় বিক্ষোভে রাস্তায় নামেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফলে সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

 


কাকরাইলে স্কুল শিক্ষার্থীরা সড়ক আবরোধ করে। কাকারাইল মোড়ে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়।

 


রাজধানীর বেশিরভাগ রাস্তা অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় ‘আমরা বিচার চাই’ (উই ওয়ান্ট জাস্টিস) স্লোগান দেয়। এ সময় তারা ওই চালকের ফাঁসি, নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ, দুর্ঘটনাস্থলে স্পিডব্রেকার তৈরি, নিহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণসহ কয়েকটি দাবি করে।