ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ৮:২৬:০০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো: প্রধান উপদেষ্টা সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন ইসির আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অ্যাপ ব্যবহার করবে ইসি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ঘিরে পরিকল্পিত গুজব ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সামরিক মর্যাদায় দাফন আজ

রুপা হত্যা ॥ চারজনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১২:২৭ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার

টাঙ্গাইলের মধুপুরে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। পাঁচ পরিবহন শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনা মামলাটি টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে সোমবার সকালে স্বাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত তৃতীয় দিনে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবুল মনসুর মিয়া মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

 

টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিশেষ পিপি একেএম নাসিমুল আক্তার ও মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এস আকবর খান জানান, সোমবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামী ছোঁয়া পরিবহনের সহকারি শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) আদালতে উপস্থিত করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। স্বাক্ষ্য গ্রহণের তৃতীয় দিনে চারজন স্বাক্ষ্য দেন আদালতে। এরা হলো- এম এ রৌফ, হাসমত আলী, লাল মিয়া, ইমাম হোসেন। পরে আদালত মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ দেন আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি)।

 

এর আগে গত রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনে চারজন স্বাক্ষ্য দেয় আদালতে। এরা হলো- রশীদ মিয়া, প্রবীর এম কুমার, আবুল হোসেন ও রহিজ উদ্দিন। গত বুধবার (৩ জানুয়ারি) মামলার বাদী মধুপুর অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষ্য গ্রহণ নেয়া হয়। এ নিয়ে মোট নয়জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।

 

আদালত সূত্র জানায়, আসামীদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত ২০০৩) ৯ এর তিন ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগ এবং দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ, ২০১ ধারায় লাশ গুমের অভিযোগ এবং ৩৪ ধারায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশীটে। চার্জশীটে ৩২জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশ, চিকিৎসকসহ পাঁচ/ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।

 

গত (২৫ আগস্ট) বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষন করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

রুপার ভাই গত (২৮ আগস্ট) মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারি শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। গত (২৯ আগস্ট) বাসের তিন সহকারি শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং গত (৩০ আগস্ট) চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে আসামীরা সবাই টাঙ্গাইল কারাগারে আছে।

 

গত (৩১ আগস্ট) রুপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তারাস উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়। গত (১২ সেপ্টেম্বর) ময়নাতদন্তকারি চিকিৎসক সাইফুর রহমান খান ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন মাথায় আঘাত জনিত কারনে রুপার মৃত্যু হয় এবং মৃত্যু আগে রুপাকে ধর্ষণ করা হয়।