ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:১৮:২৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

শীত শুরু, কীভাবে রাখবেন আপনার শিশুকে নিরাপদ

লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৩০ এএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ভোরবেলা শিশিরে ভিজে উঠছে উঠোন, আর সকালের বাতাসে এসে গেছে কনকনে সতেজতা। শীতের আগমনী সুর যতই রোমান্টিক হোক, এই সময়টা সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়ায় শিশুদের জন্য। তাদের নরম ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়, সর্দি-কাশি বেড়ে ওঠে। আবার তাপমাত্রার তারতম্যে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এ কারণে শীতের শুরুতেই শিশুদের জন্য বাড়তি যত্ন নিশ্চিত করা জরুরি।

শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় শিশুদের ত্বক দ্রুত ফেটে যায়। অনেক সময় গাল লাল হয়ে ব্যথা করে, হাত-পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে। শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, গোসলের পানিতে অতিরিক্ত গরম ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুকিয়ে যায়। তাই হালকা গরম পানি ব্যবহার করা উচিত। গোসলের পরপরই শিশুদের জন্য মানানসই ময়েশ্চারাইজার লাগানো অত্যন্ত জরুরি।

শিশুর ত্বক প্রাকৃতিকভাবে সংবেদনশীল। শীতে তাদের ত্বকের স্বাভাবিক তেল দ্রুত কমে যায়। তাই নিয়মিত লোশন, ক্রিম বা বেবি অয়েল ব্যবহার খুবই প্রয়োজন।

শীতে অনেক শিশু কাপড়ের অ্যালার্জি বা ধুলার সংস্পর্শে এসে র‍্যাশে আক্রান্ত হয়। তাই তাদের পোশাকে সিনথেটিক কাপড়ের ব্যবহার কমাতে হবে। প্রাকৃতিক সুতি কাপড়ের ভেতর পরানোর পর তার ওপর শীতের পোশাক ব্যবহার করা ভালো। এতে ত্বক শ্বাস নিতে পারে এবং অ্যালার্জির ঝুঁকি কমে।

শীতে ঠান্ডা-গরমের পরিবর্তনে শিশুদের সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট বাড়ে। বাইরে থেকে এসে হঠাৎ গরম ঘরে প্রবেশ করলে বা সকালে খুব ঠান্ডা পরিবেশে বের হলে শিশুর শরীর দ্রুত ঠান্ডা লেগে যায়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ: ঘর-ঘরোয়া উষ্ণতা বজায় রাখতে হবে, শিশুকে মাথা-গলা ঢাকা রাখার অভ্যাস তৈরি করা, হালকা গরম পানি পান করানো, ভিড় এড়িয়ে চলা

শীতকালীন ইনফ্লুয়েঞ্জার ঝুঁকি শিশুদের বেশি। তাই নাক-কান-গলা সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

বাংলাদেশে অনেক অভিভাবক শীতে শিশুকে খুব কম গোসল করান, আবার কেউ কেউ অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করিয়ে দেন। উভয়টিই শিশুর জন্য ক্ষতিকর। সপ্তাহে ২-৩ বার হালকা গরম পানিতে গোসল যথেষ্ট। গোসলের সময় সাবান কম ব্যবহার করতে হবে। গোসল শেষে শিশুর শরীর পুরোপুরি শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর ত্বকে তেল বা লোশন ব্যবহার করলে আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়

শীতকালে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাই খাদ্য তালিকা সমৃদ্ধ করা জরুরি। শিশুর বয়স অনুযায়ী ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল (কমলা, মাল্টা, পেয়ারা), শাকসবজি, ডিম, দুধ, চিকেন স্যুপ বা নিরামিষ স্যুপ দেওয়া জরুরি। এসব খাবার শিশুকে উষ্ণ রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

যে শিশু নিয়মিত মৌসুমি ফল ও পুষ্টিকর খাবার খায়, শীতে তার অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে।

শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, ঠোঁট বা নখ নীলাভ হয়ে গেলে, ২৪ ঘণ্টার বেশি জ্বর, কান ব্যথা, ত্বকে ফুসকুড়ি বা অস্বাভাবিক র‍্যাশ হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।