ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৯:৩৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

সফল হতে রাতে করুন এই কাজগুলো 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৩১ এএম, ১০ অক্টোবর ২০২৫ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সকালের অভ্যাস আপনার দিনটিকে ইতিবাচকভাবে শুরু করতে এবং সঠিক উপায়ে রূপ দিতে সাহায্য করে, বিছানায় যাওয়ার ঠিক আগে আপনার সন্ধ্যার অভ্যাসও গুরুত্বপূর্ণ। দিনের শেষটা আপনি কীভাবে করছেন, সেটি কিন্তু পরের দিনটির ওপর প্রভাব ফেলে। বেশিরভাগ মানুষ তাদের ফোন স্ক্রোল করে বা অনবরত শো দেখে সময় কাটান, অত্যন্ত সফল ব্যক্তিরা তাদের সন্ধ্যাকে আগামীকালের জন্য প্রস্তুতি নিতে ব্যবহার করেন। তাদের রাতের রুটিন জটিল নয়। কিছু সহজ কিন্তু কার্যকরী সন্ধ্যার অভ্যাস সম্পর্কে জেনে নিন, যা সবচেয়ে সফল ব্যক্তিরা অনুসরণ করেন-

পরের দিনের জন্য পরিকল্পনা

ঘুমানোর আগে ফোনে স্ক্রলিং করার পরিবর্তে, সফল ব্যক্তিরা পরের দিনের অগ্রাধিকারগুলো সাজানো জন্য প্রতি রাতে ১০-১৫ মিনিট সময় বের করেন। হতে পারে তা তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা, গুরুত্বপূর্ণ কাজ নির্ধারণ করা, কী পরবেন তা নির্ধারণ করা বা খাবার প্রস্তুত করা। এই অভ্যাস তাদের মনকে বিশৃঙ্খলা এবং উদ্বেগ থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করে। তারা ঠিক কী করা দরকার তা জেনে ঘুম থেকে ওঠে। এটি তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধকল এড়াতে সাহায্য করে। ফলে সকালের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হয় না।

দিনটি নিয়ে চিন্তা করে এবং ভুল থেকে শিক্ষা নেয়

দিন শেষ করার আগে সফল ব্যক্তিরা কী ভালো হয়েছে এবং কী হয়নি তা নিয়ে চিন্তা করার জন্য কিছু সময় নেয়। তারা ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য দিনটি পর্যালোচনা করে, ফলে ভবিষ্যতে সেগুলো এড়াতে পারে। এই আত্ম-সচেতনতা তাদের সামান্য অগ্রগতি উদযাপন করতে এবং ভুল থেকে শিখতে সাহায্য করে, এইভাবে ক্রমাগত উন্নতি করে এবং আরও ভালো মানুষ হয়ে ওঠে।

প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়

ঘুমানোর ঠিক আগে ইমেল বা সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করার অভ্যাস মস্তিষ্ককে অতিরিক্ত উদ্দীপিত করতে পারে এবং ঘুমের চক্রকে ব্যাহত করে। এই কারণেই সফল ব্যক্তিরা ঘুমানোর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে তাদের ফোন বা অন্যান্য গ্যাজেট ব্যবহার এড়িয়ে চলার অভ্যাস করে। তারা এই সময়টিকে নিজেকে প্রশান্ত করার জন্য ব্যবহার করে। এসময় তারা বই পড়া, মেডিটেশন করা, জার্নাল লেখা বা পরিবারের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটানোর মতো অভ্যাস বজায় রাখে।

ঘুমকে অগ্রাধিকার দেয়

মনোযোগী এবং প্রোডাক্টিভ হওয়া কেবল কঠোর পরিশ্রমের ওপর নির্ভর করে না। বরং সফল ব্যক্তিরা জানেন যে রাতের ভালো ঘুম সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সাফল্য অর্জনকারীরা বোঝেন যে প্রোডাক্টিভিটির জন্য নিজের সুস্থতা ও সতেজতা সমান জরুরি। তাই তারা ধারাবাহিক ঘুমের সময়সূচী অনুসরণ করে, ঘুমের রুটিন তৈরি করে এবং ঘুমানোর ঠিক আগে ক্যাফেইন বা ভারী খাবার এড়িয়ে চলে। এটি তাদের মানসম্পন্ন ঘুম পেতে সাহায্য করে যা পরের দিন তাদের মনোযোগ, সৃজনশীলতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

সাফল্যের কল্পনা করে

ঘুমানোর আগে সফল ব্যক্তিরা তাদের লক্ষ্য এবং সেগুলো অর্জনের পদক্ষেপগুলো কল্পনা করে। মানসিক মহড়ার এই অনুশীলন প্রেরণা এবং আত্মবিশ্বাসকে শক্তিশালী করে, অবচেতন মনকে কাজের জন্য প্রস্তুত করে। কল্পনা স্বপ্নকে পরিকল্পনায় রূপান্তরিত করতে এবং তাদের প্রতিটি দিন স্পষ্টতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু করতে সাহায্য করে। এই ইতিবাচক মানসিকতা তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখায়। সাফল্য-কেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা দিয়ে দিন শেষ করার অভ্যাস কেবল আশাবাদ বৃদ্ধি করে না বরং এই বিশ্বাসকেও শক্তিশালী করে যে আগামীকাল অর্জনের জন্য অফুরন্ত সুযোগ নিয়ে আসছে।