ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:২৭:১৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিমান ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় দেরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটকে ‘ভিভিআইপি মুভমেন্ট’ ঘোষণা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকার : প্রেস সচিব ভারতের পর্যটনরাজ্য গোয়ার নাইটক্লাবে বড় অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২৩ ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৯০০

৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দেশের রিজার্ভ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২৮ এএম, ৯ মে ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

কোনোভাবেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকানো যাচ্ছে না। চলতি সপ্তাহের সবশেষ কার্যদিবসে তা আরও কমেছে। সোমবার (৮ মে) বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে গেছে।

এদিন এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) মার্চ-এপ্রিলের দায় ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এরপর রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে। আগের কার্যদিবসে (রোববার) যা ছিল ৩০ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

আকুর বিল পরিশোধের পর গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে রিজার্ভ। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে সেটা ছিল ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। তবে গত বছরের একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চিত ছিল ৪২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে তা শুধুই কমছে।

আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা হলো আকু। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় নিষ্পত্তি করা হয়।

শ্রীলঙ্কাও আকুর সদস্য ছিল। তবে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে গত অক্টোবরে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় দ্বীপ দেশটি। বাকি দেশগুলো ২ মাস অন্তর নিজেদের মধ্যকার দায় মিটিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর থেকে রিজার্ভ কমছে। ২০২২ সালের এপ্রিল শেষে তা ছিল ৪৪ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে ১ বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১৪ বিলিয়ন ডলার। মূলত সঞ্চয় থেকে ডলার বিক্রির কারণে এ নিম্নমুখিতা সৃষ্টি হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত ৩ মে পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ১২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করে তারা।

সাধারণত, সরকারের কেনাকাটা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানি বিল পরিশোধে রিজার্ভ থেকে প্রধান মুদ্রাটি বিক্রি করা হয়। করোনা মহামারির মধ্যে আমদানি কম ছিল। পাশাপাশি উচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল। ফলে রিজার্ভে ঊর্ধ্বগতি ছিল। এরপর থেকেই কমছে।

আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রকৃত রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে। সেই সঙ্গে আগামী সেপ্টেম্বরে ২৫ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬ বিলিয়ন ডলার থাকতে হবে।