ঢাকা, শুক্রবার ১৭, মে ২০২৪ ৮:০৬:৩৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
৫৮ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, আরও বিস্তারের শঙ্কা এখনো ভিসা হয়নি ৬ হাজার হজযাত্রীর ফের দেশে ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রাফায় ইসরায়েলি হামলা, বাস্তুচ্যুত ৬ লাখ মানুষ নারী উদ্যোক্তাদের ছয়শ কোটি টাকা ঋণ দেবে বৃটেন ২৫ মে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

অসময়ে তরমুজ চাষ করে সফল হচ্ছেন শরণখোলার চাষীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৯ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বাগেরহাটের শরণখোলায় লবণাক্ত জমিতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অপসিজন তরমুজ চাষ। ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে অপসিজন তরমুজ চাষ করে সফল হচ্ছেন সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার চাষীরা। তাদের ক্ষেতজুড়ে ঝুলছে এখন  বাহারী জাতের শত শত তরমুজ। যা অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাজারজাত করার স্বপ্ন দেখছেন তারা।
সরেজমিন গিয়ে জানাযায়, লবণাক্ত জমিতে ইরি, বোরো, আমন ধান চাষ করে যখন আশানুরুপ ফলন পাচ্ছিলেননা তখন বাড়ির পাশের এক একর জমিতে ধান চাষের পাশাপাশি মাছ চাষ শুরু করেন শরণখোলার রতিয়া রাজাপুর গ্রামের দরিদ্র চাষী বিপুল মাঝি। মৎস্য ঘেরের পাড়ে চাষ করেন লাউ, মিষ্টি কুমড়া, শসা সহ বিভিন্ন শাক-সবজি। বিপুল মাঝি গত বছর ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় স্থাণীয় উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে অফ সিজনে তরমুজ চাষের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রথম বছর ১৭ শতক জমিতে সুগার কিং জাতের তরমুজ চাষ করে সফল হন  তিনি। আট হাজার টাকা খরচ করে তার আয় হয় ৩০ হাজার টাকা। 
বিপুল মাঝি জানান, এব ছর ২ একর ৩২ শতক জমিতে সুগার কিং,ইয়োলো কিং ও কালাচাঁদ জাতের তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। গাছে ফল ধরেছে প্রায় দুই হাজার। অল্প কিছুদিনের মধ্যে তরমুজ বাজারজাত করা সম্ভব হবে। প্রতি তরমুজের গর ওজন ধরা হয়েছে ৪ থেকে সারে চার কেজি। দুই  হাজার তরমুজ বিক্রি করে তার আয় হবে প্রায় ৫ লাখ টাকা। বিপুল মাঝির গত বছরের  তরমুজ চাষ দেখে একই গ্রামের অসীম কুমার, বিমল চন্দ্র, রাজু সহ অনেকেই এ বছর অফসিজন তরমুজ চাষ করেছেন। তাদের সবারই ক্ষেতে এখন ঝুলছে নানা রঙের বাহারী তরমুজ। দূর দূরান্তের লোকেরাও এসে অসময়ের তরমুজ দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
তরমুজ চাষীরা জানান, স্থাণীয় কৃষি অফিস থেকে আর্থিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন। অফসিজন তরমুজ চাষে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায় যা অন্য ফসল থেকে সম্ভব নয়। এ তরমুজ চাষ অব্যাহত থাকলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। 
শরণখোলা উপজেলা কৃষি অফিসার দেবব্রত সরকার জানান, প্রশিক্ষন সহ সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়ে চাষীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ বছর অনেক কৃষকই অপসিজন তরমুজ চাষ করেছেন।  ফলনও হয়েছে আশানুরুপ। বাজারে এ তরমুজের চাহিদা থাকায় দামও ভাল  পাবেন চাষীরা। লবনাক্ত এলাকার চাষীরা অপ সিজন তরমুজ চাষে এগিয়ে আসলে তাদের বেকারত্ব দূর সহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।