ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৬:৫৩:৪৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

আজ বিশ্ব স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪৩ এএম, ১০ অক্টোবর ২০২১ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

১০ অক্টোবর, আজ দেশে ৯ম বারের মতো পালিত হচ্ছে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস। স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে ২০১৩ সাল থেকে বেসরকারিভাবে এই দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্ক্রিনিং জীবন বাঁচায়’।
বিশ্বে প্রতি ৮ জনে ১ জন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে স্তন ক্যান্সার। দেশের স্তন ক্যান্সারের রোগীর মধ্যে ৯৮ শতাংশই নারী। প্রতি বছর এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ২০ হাজার নারী। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশই নিরাময়যোগ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি বয়সে প্রথম সন্তান ধারণ করা অথবা নিঃসন্তান থাকা, সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো, বয়স ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলে, পরিবারের কারো স্তন ক্যান্সার থাকলে, দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল বা বড়ি খেলে, ১২ বছর বয়সের আগে প্রথম ঋতুস্রাব হলে অথবা ৫০ বছর পরে গিয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ হলে, অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার খেলে, ধূমপান, মদ্যপান এবং তামাকজাতীয় দ্রব্যে আসক্ত থাকলে, দীর্ঘদিন তেজস্ক্রিয় পদার্থের সংস্পর্শে থাকা নারীরা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, সচেতন হলে স্তন ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব। ঝুঁকিতে থাকা নারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, ২০ বছর বয়স থেকেই নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করা এবং ৩৫ বছররের ওপরের নারীরা ম্যারেনাগ্রাফিক স্ক্রিনিং করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

স্তন ক্যান্সার হয়েছে কী করে বুঝবেন
স্তন ক্যান্সার হলে সাধারণত: নিচের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয়:

>> স্তনে একটি পিন্ডের মত অনুভব হয়। 

>> স্তনের বোঁটা থেকে রক্ত বের হয়। 

>> স্তনের আকার ও আকৃতির পরিবর্তন হয়। 

>> স্তনের ত্বকে পরিবর্তন দেখা দেয়, যেমন-টোল পড়া। 

>> স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে যায়। 

>> স্তনের বোঁটার চামড়া উঠতে থাকে। 

>> স্তনের ত্বক লালচে যেমন-কমলার খোসার মতো এবং গর্ত-গর্ত হয়ে যায়। 

কখন ডাক্তার দেখাবেন
নিচের কারণগুলো দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে:

>> স্তনে নতুন এবং অস্বাভাবিক পিন্ড অনুভব করলে। 

>> পরবর্তী মাসিক পার হয়ে গেলেও পিন্ড না গেলে। 

>> স্তনের পিন্ড আরও বড় এবং শক্ত হলে।

>> স্তনের বোঁটা থেকে অনবরত রক্ত নির্গত হলে।

>> স্তনের ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিলে। 

>> স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে গেলে।