ঈদ মার্কেট অনেকটাই ফাঁকা
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কমআপডেট: ০৪:১২ পিএম, ১৯ মে ২০১৮ শনিবার
ঈদের কেনাকাটা মানেই যেন নারীদের ব্যস্ততা। সংসারের অন্যান্য কাজের ফাঁকে ঈদের কেনাকাটাও তাদেরই শেষ করতে হয়। আজ প্রথম রোজায় শুক্রবার হওয়ায় কেনাকাটা করতে বের হওয়ার সুযোগ পেল তারা। তবে অনেকেরই এখনই কেনাকাটার যেন কোনো তাড়া নেই। কিন্তু এরই মধ্যে বেড়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতান ও দেশীয় বুটিক হাউসের কর্মব্যস্ততা। যদিও আকর্ষণীয় পোশাকের সবগুলো স্টাইল এখনও বাজারে আসেনি। নতুন যা এসেছে তা নিয়ে পশরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা। এখন শুধু ক্রেতা সমাগমের অপেক্ষা।
দোকানিদের বক্তব্য, রোজার প্রথম দিকে কখনোই কেনাকাটা জমে না। তার মধ্যে আবার রোজা মাসের মাঝামাঝি শুরু হওয়ায় অনেকের পকেট এখন ফাঁকা। ঈদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পোশাকটি মিলবে ১৫ রোজার পর থেকে। তখন থেকেই কেনাকাটার মাত্রাটা ক্রমেই বাড়তে শুরু করবে। চলবে ঈদের চাঁদ রাত পর্যন্ত।
ঈদবাজারে নতুন মাত্রা এনেছে এশিয়ার বৃহত্তম মার্কেট যমুনা ফিউচার পার্ক। আন্তর্জাতিক মানের এই বিশাল শপিংমল ঘুরে দেখা গেল ঈদের কেনাকাটার জন্য আস্তে আস্তে ভিড় করছেন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। তবে আজকে আসা ক্রেতাদের অনেকেই নতুন কাপড় কেনার চেয়ে দেখাদেখিতেই ব্যস্ত বেশি।
দোকানিরা বলছেন, রোজাই তো সবে শুরু, ক্রেতারা আসছেন-দেখছেন। আরও কয়েকদিন পার হওয়ার পর মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়বে ঈদ বাজারে। তখন এই দেখাদেখি বলতে গেলে একেবারেই শেষ হয়ে যাবে, দেখাদেখি পরিণত হবে কেনাকাটায়। তাই বিক্রেতারা ক্রেতার এ দেখাদেখিকে কেনাকাটারই পূর্ব মুহূর্ত বলে আখ্যায়িত করলেন।
দেশের প্রায় সব বড় বড় ফ্যাশন হাউস, কাপড়ের দোকান, জুতার দোকানসহ এ মার্কেটে রয়েছে বিদেশী নামিদামি ব্র্যান্ডের আউটলেট। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের ডিসপ্লে উইন্ডোতে তুলেছে নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক, জুতাসহ অন্যান্য সামগ্রী। মার্কেটের জেন্টল পার্ক, খান্নানি ব্রাদার্স, গো গ্রাসি, আড়ং, ইনফিটিনিটি, ক্যাটস আই, নবরূপা, সাদাকালো ইত্যাদি দোকানগুলোতে ক্রেতার হালকা ভীড় দেখা গেলেও বিক্রয়কর্মীদের ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায়।
আড়ংয়ের এক বিক্রয়কর্মী জানালেন, তাদের দোকানে কটনের তৈরি মেয়েদের জামা, থ্রি-পিস ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে সর্বনি¤œ ২০০০ থেকে সর্বোচ্চ ১১ হাজার টাকায়। ঈদের এক্সক্লুসিভ পোশাকগুলো বিক্রি হচ্ছে ৭০০০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। মেয়েরা এবার বেশিরভাগই সুতির সালোয়ার কামিজই বেশি পছন্দ করছে। দোকান ঘুরে দেখা গেছে , হ্যান্ড প্রিন্ট, ফ্লোরা প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি করা নানারকমের পোশাক শোভা পাচ্ছে সেখানকার আলনায়।
মার্কেটের দোতলার ইয়েলো, এক্সটেসি, রিচম্যান, স্টেশন ২১ ও মডসহ অন্যান্য পোশাকের দোকানগুলোতেও হালফ্যাশনের পোশাকের ছড়াছড়ি দেখা গেছে। মার্কেটের জুতার দোকানগুলোর মধ্যে বাটা, গ্যালারি এপেক্স, জিল’স, লট্টো ইত্যাদি দোকানের প্রতি ক্রেতাদের হালকা আনাগোনা চোখে পড়ল।
এখানে শপিং করতে আসা ইষ্ট ওয়েষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নওশীন ইশরাত জানায়, এখানে সব ব্র্যান্ডের জিনিস কিনতে পাওয়া যায়। ফলে সঠিক জিনিস পাওয়া যায়, ডুপ্লিকেটের ভয় থাকে না। এক জায়গায় সব কিছু একসাথে পাওয়া যায়। আমি সামনে বাড়ি যাব। তাই আগে থেকেই দেখে শুনে কিনার চেষ্টা করছি।
রাজধানীর বিভিন্ন ফুটপাত , নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক, মিরপুর রোডের বিভিন্ন ছোটখাটো মার্কেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, এলিফ্যান্ট রোড, বেইলি রোড়, ইস্টার্ন প্লাজা, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি, পলওয়েল, নয়াপল্টনের গাজীভবন, মৌচাক, কর্ণফুলী সিটি গার্ডেন, পুরান ঢাকার ইসলামপুর, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট, সদরঘাট এলাকাসহ মিরপুর, ওয়ারি, রাজধানী সুপার মার্কেটসহ সায়াদাবাদ-যাত্রাবাড়ী এলাকার বিভিন্ন মার্কেট, ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, উত্তরার প্রায় সব ধরনের মার্কেটেই ক্রেতার আনাগোনায় এখনও সরব হয়নি।
এবারের ঈদ-মার্কেটে বরাবরের মতোই ফ্যাশনের বাড়তি আবহ সৃষ্টি করেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোর নিজস্ব সৃষ্টিকর্ম। এর বাইরে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, চীন এমনকি ইতালিসহ ইউরোপ ও আমেরিকার পণ্য। প্রায় সর্বত্রই ভারতীয় ডিজাইনের কাপড় ও শাড়ির সংগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। যেহেতু গরম সেহেতু ভারতীয় সুতির থ্রিপিসের কদর বেশি দেখা গেল।
ভারতীয় সুতির সালোয়ার কামিজের মধ্যে ডিজিটাল প্রিন্টের চল চলছে এখন। ভারতের ব্র্যান্ডের থ্রিপিসের মধ্যে গঙ্গা, জিনামের থ্রিপিস গুলো মেয়েদের বেশি পছন্দ। গঙ্গা ব্র্যান্ডের থ্রিপিস বেশিরভাগই সুতির মধ্যে হয়ে থাকে। পাশাপাশি জর্জেটের থ্রিপিস তো আছেই। দাম পড়ে ২৫০০ টাকা থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত। জিনাম ব্র্যান্ডেও জর্জেট, সুতির মধ্যে থ্রিপিস হয়ে থাকে। দাম পড়ছে ৩০০০ থেকে ৬৫০০ টাকা।
পাকিস্থানী সালোয়ার কামিজের বরাবরই চাহিদা থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে ব্রান্ডের মধ্যে ফেরদৌস, সানা সাফিনা, কারিযমা, মতিস ফ্যাশন বেশ জনপ্রিয়। ফেরদৌস ব্র্যান্ডের ভিতর সব ধরনের সুতির থ্রিপিস আছে। এগুলোর দাম পড়ে ৭০০০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৯০০০ টাকা পর্যন্ত। সানা সাফিনা ব্র্যান্ড এর ভাল সিল্কের থ্রিপিস পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো সিল্কের হলেও গরমের মধ্যে বেশি চলছে বলে জানান বিক্রেতারা। কারিযমা ব্র্যান্ডের সুতি, জর্জেট থ্রিপিস পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো ৪০০০ থেকে ৮০০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মতিস ফ্যাশনেরও ভাল মানের সুতি ও জর্জেটের থ্রিপিস ৩০০০ থেকে শুরু করে ৬০০০ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া গজ কাপড়ের মধ্যে জয়পুরি কটনই বেশি চলছে। এর দাম প্রতি গজ কাপড়ের মান ভেদে ৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়াও ভারতীয় হিন্দি ও বাংলা সিরিয়ালের নায়ক-নায়িকাদের নামে পোশাকে ছড়াছড়ি। বিক্রেতারা জানান, ক্রেতা আকৃষ্ট করতেই এসব নাম দেওয়া হচ্ছে। আদতে এসব পোশাক বাংলাদেশেই বানানো। ভারতীয় কোনো নায়ক-নায়িকা এ ধরনের পোশাক পরেন না। তবে মার্কেট অনুসারে দরদামের পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। আর পুরুষের ক্ষেত্রে দেশী ব্রান্ডের মধ্যে ক্যাটস আই, মনসুনরেইন, নেক্সট, শীতল, প্ল্যাস পয়েন্ট, রঙ, রেক্স, সপুরা সিল্ক, হ্যান্ডিবাজার, প্রভৃতির সঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের নানা ডিজাইনের পাঞ্জাবি, চীন-থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ডিজাইনের শার্ট-প্যান্ট ও টি-শার্টের সমাহার উল্লেখ করার মতো। এছাড়া পাঞ্জাবির জন্য আজিজ সুপার মার্কেট তো আছেই।
রাজধানীর নিন্ম মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সবশ্রেণীর মানুষের কেনাকাটার পছন্দের জায়গা নিউমার্কেট। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে সুঁই থেকে পরিধেয় বস্ত্রাদি, গৃহস্থালীর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, নারীদের সাজগোজের আইটেম, কাঁচাবাজার, উপহারসামগ্রী, স্বর্ণালংকার, ব্যাগ সবসময়ের মহামূল্যবান উপহার বইসহ এমন কোন জিনিস নেই- যা পাওয়া যায় না এই নিউমার্কেটে। ঈদের পোশাকের কথা বলতে গেলে মার্কেটে মূলত শাড়ি ও বাচ্চাদের পোশাক, শার্ট-প্যান্ট, থান কাপড় থেকে শুরু করে লুঙ্গি-গামছা সবই রয়েছে। মূলত দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় এসব দ্রব্য মেলে সহজ ও নিয়ন্ত্রিত দামেই। যে কারণে এই মার্কেটে প্রায় সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে। তবে ঈদকে সামনে রেখে ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা গেল। অনেক মৌসুমি ভাসমান দোকানের আবির্ভাব ঘটেছে।
নিউ মার্কেটের বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা দোকানে থরে থরে তৈরি পোশাকাদি, থান কাপড় ইত্যাদির সম্ভার গড়েছেন। এরপর তিন তলার মূল মার্কেট পর্যন্ত এই পোশাকাদির বাহারি পসরা। বিক্রেতারা জানান, বেচাকেনা বলতে যাকে বোঝায়, তা এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু রোজার প্রথম দিকে এমনি ভিড় অন্যান্য বছর তেমন একটা দেখা যেত না। মানুষজন আসছেন। আর ক্রেতা যা আসছেন তাদের বেশিরভাগই কেনাকাটার চেয়ে দেখাদেখি ও দরদামের প্রতি বেশি আগ্রহী। যে ক’জন কিনছেন, তারা শিশু-কিশোরদের পোশাকের প্রতি মনোযোগী বেশি। তবে মানুষ আসছে, এটাই আশার দিক।
দোতলায় মমতা গার্মেন্টেসের ম্যানেজার জালাল জানান, বিকিকিনি এখনও জমেনি। সবাই আসছে,দেখছে। এলিফ্যান্ট রোড এলাকার বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী ও তরুণদের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেল। একই অবস্থা নয়াপল্টনের গাজীভবন ও পলওয়েল মার্কেটের। নিউমার্কেটের ঠিক বিপরীতে রয়েছে গাউছিয়া ও চাঁদনী চক মার্কেট। তরুণী ও নারীদের সবচেয়ে প্রিয় এ দুই মার্কেট। এখানে ঈদ থাকুক আর না থাকুক ভিড় লেগেই থাকে। দুই মার্কেটেই মেয়েদের ভিড় দেখা গেল।
এখানে জামা কিনতে আসা বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রিয়াসা বলেন, গাউছিয়া ও চাঁদনী চক মার্কেটে মনের মত সব জিনিস পাওয়া যায়,তাও আবার কম দামে। বড় বড় মার্কেটে দাম নির্দিষ্ট থাকায় দরদাম করা যায়না। কিন্তু এখানে দরদাম করে ভাল জিনিস কেনা যায়। আমি একটা সানা সাফিনা ব্রান্ডের সিল্কের থ্রিপিস কিনেছি। দাম নিল ৫০০০ টাকা। এটাই বড় বড় শপিং মলে ৭০০০ থেকে ৮০০০ টাকা দাম নিত।
অন্যদিকে নতুন উদ্যমে প্রস্তুতি শুরু করেছেন রাজধানীর মিরপুর বেনারসি পল্লীর ব্যবসায়ীরা। এবারের রোজার ঈদে প্রায় ১৫ কোটি টাকার শাড়ি বিক্রির প্রত্যাশা করছেন তারা। এর মধ্যেই নতুন নতুন ডিজাইনের শাড়ি তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে দোকানে তোলার পালা। ঈদ সামনে রেখে পল্লীজুড়েই চলছে সাজ সাজ রব। তাছাড়া ক্রেতাদের মধ্যেও দেশীয় শাড়ির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এ পল্লীতে কাতান পাওয়া যাচ্ছে ১৫ থেকে ৫০ হাজার টাকায়। এছাড়া অপেরা কাতান ৬-৭ হাজার টাকা, কাঞ্জিভরন (পিয়র) ১৫ থেকে ৬৫ হাজার টাকা, মিরপুরের খাদি ৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা, বিল্লু রানী ৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা, বিয়ের বেনারসি ৩ থেকে ৪০ হাজার টাকা, ভারতীয় পাটি লেহেঙ্গা ৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা, ঢাকাই জামদানি ৩ থেকে ৩০ হাজার টাকা, টাঙ্গাইলের সুতি শাড়ি ৮শ’ থেকে ৪ হাজার টাকা, টাঙ্গাইলের সফট সিল্ক আড়াই হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা, ইন্ডিয়ান গাদোয়াল ৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
এছাড়া বেনারসি পল্লীর বিগবাজার, রূপ সিঙ্গার, এশিয়া বাজার, পাবনা এম্পেরিয়াম, জারাসহ বিভিন্ন দোকানে রয়েছে বিশাল শাড়ির সমাহার। নারীদের কেনাকাটার আরেক স্থান মালিবাগের মৌচাক মার্কেট। সেখানে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, থান কাপড় ইত্যাদির পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। একই এলাকার আনারকলি, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি এবং টুইন টাওয়ারেও বিক্রেতারা প্রস্তুত হয়ে আছেন ক্রেতা সমাগমের জন্য। এসব এলাকায় সাধারণত থান কাপড় কিনে দর্জি দিয়ে কাপড় বানানো ক্রেতার সংখ্যাই বেশি।মৌচাক মার্কেটে ছেলেদের শার্ট ৭০০-১২০০ টাকা, প্যান্ট ৭০০-২৮০০ টাকা, মেয়েদের থ্রিপিস ১০০০-৫০০০ টাকা এবং শাড়ি ন্যূনতম ১০০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এবার ক্রেতারা ঝুঁকেছেন দেশী ডিজাইনের পোশাকের দিকে।
ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে ভেসে আসা ফ্যাশনের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ তুলনামূলক কম। আজ মৌচাক মার্কেটে শপিংয়ে গিয়েছিলেন খিলগাঁওয়ের লাভলি মোস্তফা। তিনি বলেন, এখনও সেভাবে কেনাকাটা শুরু করিনি। শুধু ঘুরে ঘুরে দেখছি। পছন্দ হলে আজই কিনতে পারি। কর্ণফুলী শপিং কমপ্লেক্সের বিক্রেতারা জানান, এখনও বেচা-বিক্রি সেভাবে শুরু হয়নি এ মার্কেটে। তবে ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন এবং কাপড়ের মান যাচাই করছেন। এর বাইরে গুলশান, বনানী, উত্তরা, বারিধারার বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে ইতিমধ্যে পশ্চিমা বিশ্বের হাল ফ্যাশনের তৈরি পোশাক থরে থরে সাজানো হয়েছে।
শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের কেনাকাটার আরেক স্থান নয়াপল্টন এলাকার গাজী ভবন। এই মার্কেটের খুচরার চেয়ে পাইকারি বিক্রি বেশি হয়। এই মার্কেটে বিকিং জিন্সপ্যান্ট ২ হাজার থেকে ২৩০০ টাকা, টিস্যু জিন্স প্যান্ট ১২০০-১৫০০ টাকা, জেএসটি জিন্স প্যান্ট ১৩০০-১৬০০ টাকা, লুচিং কটনপ্যান্ট ১৭০০-১৯০০ টাকা, কিউ এ্যান্ড জি কটন প্যান্ট ১৪০০-১৬০০ টাকা, গিফিনি হাফ গেঞ্জি ১৮০০-২০০০ টাকা, কিউ অ্যান্ড জি হাফ গেঞ্জি ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকা, বিভিন্ন ডিজাইনের হাফ গেঞ্জি ৯০০-১২০০ টাকায়, বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের হাফ গেঞ্জি ৬০০-৮০০ টাকা, জিন্সপ্যান্ট ৯০০ থেকে ১০৫০ টাকা, শিশুদের ফ্রক ও টপস ৭০০-৯০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুতি ভালো। শবেবরাতের পর থেকে মার্কেটে পাইকাররা আসছেন।
তবে সেই তুলনায় রাজধানীর ফুটপাতগুলো এখনই জমে উঠেনি। ক্রেতারা বলেছেন, ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিন্মমধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতাদের জিনিসপত্র বেশি পাওয়া যাচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেক ভালো ভালো শার্ট, প্যান্ট, ছোটদের ড্রেস, সালোয়ার কামিজ, থ্রিপিসও পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতে। রাজধানীর বিভিন্ন মেগাশপে যেসব জামাকাপড় ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে- হুবহু একই মানের জামাকাপড় অর্ধেক দামে পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
- কেরানীগঞ্জে ভবনে আগুন
- ব্যাচেলর পয়েন্টে যে চরিত্রে দেখা দিলেন স্পর্শিয়া
- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ইউএনওকে প্রকাশ্য হুমকি
- লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর
- এমিনেমের অশালীন প্রস্তাব ফাঁস করলেন টাইটানিকের নায়িকা
- ‘ডাক্তার ও নার্সদের রুমকে ‘পার্টি অফিস’ বানাবেন না’
- পাকিস্তানের কাছে শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজও হারল বাংলাদেশ
- ফের নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদীকে গ্রেফতার করল ইরান
- হাসপাতালে ভিড় না করার আহ্বান তাসনিম জারার
- মেট্রোরেল চলাচল শুরু
- রাউটার যেখানে লাগালে ওয়াই-ফাইয়ের সেরা স্পিড পাবেন
- শীতে পিরিয়ডের সময় যে ফলগুলো খাবেন না
- নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা
- বিশ্বে প্রতি ২০ নারীর মধ্যে একজন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত
- ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না পলাতক ব্যক্তিরা
- ত্বকে বয়সের ছাপ? দূর করবে এই ৪ পানীয়
- মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার
- খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি: মেডিকেল বোর্ড
- ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি
- আপেল নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন জয়া আহসান
- পার্লামেন্ট ভেঙে দিল থাইল্যান্ড
- ৯ দিনের ব্যবধানে বাড়ল সোনার দাম
- ওপেনএআই`র অ্যাপ সাজেশন নিয়ে বিতর্ক
- গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে
- তফসিল ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
- নারী সাংবাদিককে চোখ মেরে বিতর্কে পাক আইএসপিআর প্রধান
- ছবি নামিয়ে ফেলায় অপমানিত বোধ করেছি: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
- ‘প্রতারক পুরুষ’ নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী ভাবনা
- সচিবালয় থেকে ৪ জনকে নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে
- ফিফা র্যাংকিং: চার হারে আট ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

