ঢাকা, শুক্রবার ১০, মে ২০২৪ ৪:১৩:৫৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আগামী ৬ জুন বাজেট ঘোষণা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা ব্রাজিলে বন্যায় নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ১২৬ জুলাইয়ে বেইজিং যাবেন প্রধানমন্ত্রী ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হজের প্রথম ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়লেন ৪১৯ যাত্রী

এনবিআরের নারী কর্মকর্তাকে অপহরণে গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২১ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যুগ্ম কমিশনার একজন নারী কর কর্মকর্তাকে (৪৯) অপহরণের পর নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি মাসুদসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে তাদেরকে গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে মাইক্রোবাসে করে মগবাজার থেকে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ফিরছিলেন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার ওই নারী কর কর্মকর্তা।

কয়েকজন ব্যক্তি মাইক্রোবাস থামিয়ে চালককে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে চালককে নামিয়ে মাইক্রোবাসসহ ওই নারীকে অপহরণ করেন তারা।

প্রকাশ্যে উচ্চপদস্থ একজন সরকারি কর্মকর্তাকে অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ ছিল না। পরদিন বেলা ২টার দিকে ওই নারী কৌশলে একটি গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার শুরু করলে ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ও তিন অপহরণকারীকে আটক করে।

যখন ওই নারী কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়, তখন তার একটি পা ভাঙা, চোখে ও মাথায় মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি এখন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ঢাকার রমনা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে মো. মাসুদ নামের এক ব্যক্তিকে, যিনি জুলাই মাসে ওই নারীর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন। আগস্ট মাসের ১ তারিখে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

ওই নারী কর কর্মকর্তা বলেন, অপহরণকারীরা তার কাছে কোনো মুক্তিপণ চাননি। অপহরণকারীদের মধ্যে শুধু মাসুদকে তিনি চিনতে পেরেছেন। ২০-২৫ দিন কাজ করার পর তাকে চাকরিচ্যুত করেছিলেন। অপহরণের পর নির্মম নির্যাতনের সময় মাসুদ বারবার তাকে চাকরিচ্যুত করার কারণে ক্ষোভের কথাই বলছিলেন।