ঐতিহাসিক সিতারকোর্ট বিহার
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১২:৫৫ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ নানা কারণেই বিখ্যাত। এখানে রয়েছে একটি বিহার। কাগজে কলমে নাম সীতারকোর্ট বিহার। তবে স্থানীয়রা বলে সীতার কোর্ট।
এর গঠনপ্রণালী ও বিভিন্ন প্রাপ্ত বস্তু দেখে প্রত্নতাত্তি্বকরা মনে করেন, বিহারটি নির্মিত হয়েছিল সপ্তম থেকে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যে।
এই বিহারকে কেন্দ্র করে নানা গল্প, কাহিনীও কম নয়। স্থানীয় অধিবাসীদের মতে, সীতাকে যখন বনবাসে দেওয়া হয়, তখন এ স্থানটিতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি।
স্থানটির নিকটবর্তী আশুরিয়ার বিলের মাঝখানের এক উঁচু ঢিবিতেই বাস করতেন বাল্মীকি। সেখানে বসেই তিনি সাত কাণ্ডের রামায়ণ রচনা করেন। ধারণা স্থানীয়দের, সীতা বসবাস করতেন বলে এ স্থানের নামকরণ হয়েছে সীতার কোট বা সীতাকোট বিহার। জনশ্রুতি আছে, কোনো একসময় এখানে পাওয়া গিয়েছিল হীরার একটি কুড়াল। তবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের দেওয়া তথ্যে এর কোনো উল্লেখ নেই।
সিতাকোট বিহার আবিষ্কৃত হয় ১৯৬৮ সালে প্রথম খননের পর। এরপর ১৯৭২-৭৩ সালের দিকে আবারও খনন কাজ চলে। বর্গাকৃতির এ বিহারটির দৈর্ঘ্য ৬৫ মিটার এবং প্রস্থ ৬৫ মিটার। খননকালে বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে পাওয়া যায় বেশকিছু হস্তান্তরযোগ্য প্রত্নবস্তু। বিহারটির উত্তর বাহুতে রয়েছে ১.৮৩ মিটার প্রশস্ত প্রধান প্রবেশপথ। এ পথের অবস্থান আজও সুস্পষ্ট।
ভিক্ষুদের জন্য তৈরি ৪১টি কক্ষেরও চিহ্ন পাওয়া যায়। কক্ষগুলো সারিবদ্ধভাবে বর্গাকৃতির বিহারটিকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছিল। একেকটি কক্ষ দৈর্ঘ্যে ৩.৫ মিটার এবং প্রস্থে ৩.৩৫ মিটার। এগুলোর পেছনেই রয়েছে ২.৪৪ মিটার প্রশস্তের টানা দেয়াল।
প্রতিটি কক্ষের প্রবেশপথও আলাদা। প্রতিটি কক্ষের দেয়ালে রয়েছে কুলঙ্গি। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এতে রাখতেন নিবেদন মূর্তি, প্রদীপ, পুঁথিসহ নানা কিছু। বিহারের কেন্দ্রস্থলেও বারান্দা রয়েছে। এ বিহারের কেন্দ্রেই রয়েছে বিশাল আয়তনের আঙিনা। এটি দৈর্ঘ্যে ৪২.৩৮ মিটার এবং প্রস্থে ৪১.১৬ মিটার।
তবে এ বিহার শালবন বা পাহাড়পুর বিহার থেকে একটু পৃথক। কারণ, এতে কোনো কেন্দ্রীয় উপাসনালয় নেই। তবে পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম বাহুর কেন্দ্রে অবস্থিত ৩টি কক্ষ ভিক্ষুরা উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন। ভিক্ষুদের কক্ষ থেকে একটু দূরে দক্ষিণ-পূর্ব কোণের অদূরেই রয়েছে শৌচাগার।
বিহারটি খনন কাজ চালিয়ে প্রত্নতত্ত্ববিদরা মোট ৩টি নির্মাণ পর্যায় পর্যবেক্ষণ করেন। বিহার আজ পরিত্যক্ত। এখানে কোনো প্রত্নবস্তু নেই। যা আছে, তাও সংরক্ষণেরও কোনো উদ্যোগ নেই। ঐতিহাসিক স্থানটি দেখতে বছরের বিভিন্ন সময় অসংখ্য মানুষের আগমন ঘটে। এটি সংরক্ষণ করলে লোকসমাগম আরও বাড়ত।
- ছবির জন্য ওজন বাড়িয়ে বিপাকে পরিণীতি
- বসুন্ধরা গ্রুপে নিয়োগ, আবেদন ২ মে পর্যন্ত
- তিল চাষে ঝুঁকছেন সদরপুরের কৃষকরা
- কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন রিতু
- তীব্র গরমে শরীরে পানিশূন্যতারোধে উপকারী যেসব ফল
- অব্যাহত তাপপ্রবাহের মধ্যে শিলাবৃষ্টির আভাস
- আজ সেই ভয়াল ২৯ এপ্রিল
- মাত্র ১০ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড মৌলভীবাজার
- আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
- ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ‘ফিলস লাইক’ ৪৫ ডিগ্রি কেন?
- দেশের ইতিহাসে হিটস্ট্রোকে একদিনে ১৭ মৃত্যুর রেকর্ড
- রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধ করার নির্দেশ
- মাঠে সেদিন কি হয়েছিল, জানালেন মুশফিক, রিয়াদ ও সেই নারী আম্পায়ার
- ঢাকাসহ ৫ জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ আজ, প্রাথমিক খোলা
- বিপজ্জনক দাবদাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন
- কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার নেতৃত্বে সাজ্জাদ-মোশাররফ-শরীফ
- বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের
- রাজধানীতে বাসার ছাদে তরুণীকে ধর্ষণ, আসামি গ্রেপ্তার
- বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব