ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:০৮:১০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো: প্রধান উপদেষ্টা সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন ইসির আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অ্যাপ ব্যবহার করবে ইসি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ঘিরে পরিকল্পিত গুজব ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সামরিক মর্যাদায় দাফন আজ

গণধর্ষণের পর সন্তানসহ দীপুকে হত্যা করে ৪ ঘাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ১০:২৮ এএম, ৪ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার

সিলেটে অপহরণের পর দীপু মালাকারকে (৩৫) গণধর্ষণ করে চার ঘাতক। পরে ভোর রাতে ৭ বছরের শিশু বিকাশ মালাকারসহ তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

হত্যার পর মরদেহ দু’টি সিলেটের ওসমানী নগরের একরাই হাওরে ফেলে রেখে যায় তারা। পরদিন রাতে চারজন গিয়ে মরদেহের ওপর লবণ ছিটিয়ে আসে-যাতে শনাক্ত করা না যায়।

মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে তিন ঘাতক। তারা হচ্ছে- জখলু মিয়া (২২), নজরুল ইসলাম (২৭) ও জয়নাল মিয়া (২৭)।

জবানবন্দি গ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ৯টায় আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।

গত ২৪ মার্চ ওসমানীনগর উপজেলার একরাই হাওর থেকে শিশুসহ দুই সন্তানের জনক ওই নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দিপু মালাকার হবিগঞ্জের মাধবপুর মালাকার পাড়ার মৃত দেবেন্দ্র মালাকারের স্ত্রী।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, গত ১৭ মার্চ রাতে মাধবপুর থেকে বাসে করে শিশু সন্তানসহ ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে এসে নামেন দীপু মালাকার। রাত ১০টায় সেখান থেকে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ইজিবাইকে ওঠেন। পথিমধ্যে চালক ও গ্রেফতার তিন ঘাতক মিলে ওই নারীকে অপহরণ করে। তারা শিশুসহ ওই নারীকে উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের পূর্বে একরাই হাওরে নিয়ে যায়।

‘পরে সেখানে তাকে প্রথমে জখলু মিয়া ধর্ষণ করে, এরপর ইজিবাইক চালক সিরাজ, তারপর নজরুল ও জয়নাল পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে গলায় ওড়না পেচিয়ে দিপু মালাকারকে হত্যা করা হয়। এরপর শিশু বিকাশ মালাকারকে (৭) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এই চারজন।’

মরদেহ উদ্ধারের পর ২৬ মার্চ নিহতের বড় ছেলে বিজয় মালাকার বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার গদিয়ারচর থেকে জখলু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার গুল্মকাপন এলাকার জবেদ আলীর ছেলে।

 

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় গদিয়ারচর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে নজরুল ইসলাম এবং একই গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে জয়নাল মিয়া। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইজিবাইক চালক সিরাজুল এখনও পলাতক রয়েছে।