ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৭:৪৪:৫২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

গুপ্তচর হেলেন ২য় বিশ্বযুদ্ধের গোপন খবর রক্ষা করছেন আজও

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৯:২৭ এএম, ৮ মে ২০১৮ মঙ্গলবার

ব্রিটিশ গুপ্তচর হেলেন টেইলর থম্পসন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময় দখলকৃত ফ্রান্স থেকে কোড করা গোপন বার্তা পাঠাতেন হেলেন। এ কাজে ছোটখাটো কোন ভুল হলেই হয়তো সেটা কারো জীবনকে বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারতো।


যুদ্ধের এতকাল পরও সে সময়ের সব কথাই এখনো গোপনে নিজের মধ্যে বয়ে বেড়াচ্ছেন এক সময়ের গুপ্তচর ৯৩ বছরের এই ব্রিটিশ নারী। সম্প্রতি বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন সেই সময়ের অভিজ্ঞতা। 

``আপনি যা দেখেছেন বা যা করেছেন, সেটা নিয়ে যদি কখনো কারো কাছে কিছু বলেন, সেটা দেশদ্রোহিতা বলে বিবেচিত হবে, হয়তো আপনাকে তার জীবন দিয়েই তার মূল্য দিতে হবে``, বলেছেন হেলেন টেইলর।


১৯ বছর বয়সে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে তিনি সাক্ষর করেন। সে সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের `গোপন আর্মি` বলে পরিচিত বাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন হেলেন টেইলর।


``সত্যি কথা বলতে কি, আমি তাদের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আমি তাদের পোশাকও পছন্দ করতাম না। আমি জানতাম না, ফ্রান্সে তারা কি ধরণের স্যাবোটাজের কাজকর্ম করছে।``


স্পেশাল অপারেশন এক্সিকিউটিভ নামের একটি গোপন বাহিনী তৈরি করেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল, যাদের কাজ ছিল গোপনে জার্মান বাহিনীর বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করা আর ধ্বংসাত্মক অভিযান চালানো।


তিনি বলছেন, ``আমার কাজ ঠিক বিপদজনক ছিল না। কিন্তু আমাকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হতো। কারণ আমার সামান্য একটি ভুলে কারো জীবন বিপদে পড়তে পারতো।``


হেলেন চান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নারীরা যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, তা যেন স্মরণীয় করে রাখা হয়।


তিনি বলেন, ``যারা সেখানে গিয়েছে, তাদের অনেককে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, অনেকে আর কখনো ফিরে আসেনি।``
সাহসিকতার জন্য নুর ইনায়েত খান আর ওডেট্টা স্যানসশ সাহসিকতার জন্য জর্জ ক্রস পদক পেয়েছেন।

এখন একটি দাতব্য হাসপাতাল পরিচালনা করেন হেলেন টেইলর

জার্মান দখলকৃত ফ্রান্স গুপ্তচরদের কাছে গোপন বার্তা পাঠাতেন হেলেন। এদের মধ্যে অন্তত ৩০জন ছিলেন নারী, যারা শত্রু এলাকায় গোপনে কাজ করতেন।


হেলেন বলেন, ``তারা চাইতেন, আমরা জার্মান লাইন অতিক্রম করে ভেতরে ঢুকি। আমরা রাজি হয়েছিলাম। এরপর আমরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছি, কিন্তু কিছুই ঘটেনি। পরে শুধু পুরুষদেরই সম্মুখযুদ্ধে পাঠানো হয়, কিন্তু আমরাও লড়াই করতে চেয়েছিলাম।`` 


যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পূর্ব লন্ডনে একটি ছোট হাসপাতাল চালাতেন হেলেন টেইলর। কিন্তু সরকারের ব্যয় সংকোচনে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।


এরপর জীবনের প্রান্তসীমায় থাকা মানুষজনের জীবন আরেকটু আরামদায়ক করতে ইউরোপের প্রথম দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি তিনি চালু করেন। এখনো তিনি সেখানেই কাজ করছেন।