ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:০৩:২৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

ছবির মতো গ্রাম ‘ইচ্ছেগাঁও’

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৪ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৩ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ঘুরে বেড়ানো যাদের নেশা, কোনও মৌসুমের তোয়াক্কা তারা করেন না। বারো মাসই তাদের মন পালাই পালাই করে। শীতকাল এলে বেড়াতে যাওয়ার উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। শীতে সোয়েটার পরে আইসক্রিম খাওয়ার যেমন আলাদা মজা রয়েছে, তেমনই শীতে ঠান্ডার জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার আলাদা অনুভূতি। খুব শীতকাতুরে না হলে, এই ঠান্ডায় ঘুরে আসতে পারেন ভারতের ইচ্ছেগাঁও থেকে।

ভারতের কালিম্পং থেকে এই জায়গার দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। খুবই ছোট্ট গ্রাম। হাতেগোনা কয়েকটি কাঠের বাড়ি। রঙিন অর্কিড আর পাহাড়ি জংলা ফুলে রঙে রঙে ভরে উঠেছে চারদিক। দূর থেকে দেখলে মনে হবে গ্রাম নয়, যেন খুব যত্ন নিয়ে ক্যানভাসে একটি ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী। পাকদণ্ডী পথ বেয়ে যখন এই গ্রামে পৌঁছবেন, মনে হবে যেন স্বপ্ন দেখছেন। এই গ্রামের উপর মাঝেমাঝেই নেমে আসে পেঁজা তুলোর হালকা মেঘ। লেপচা ভাষায় ‘ইচেগাঁও’ কথাটির অর্থ হল উঁচু গ্রাম। পাহাড়ের কোলে এই গ্রামের কোনও টিলার উপর দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্য আপনার মন কেড়ে নিতে বাধ্য।

সাজানো-গোছানো এই গ্রাম ঘুরে ফেলতে পারেন পায়ে হেঁটে। এখানে কোনও ক্লান্তি নেই, কোলাহল নেই, শুধু আছে এক অপার শান্তি। আর বিস্ময়ে ভরে থাকা। রাত নামলে যেন আরও বেশি সুন্দরী হয়ে ওঠে ইচ্ছেগাঁও। নিকষ কালো অন্ধকারে ইচ্ছেগাঁওয়ের বাতাস আদিম নির্জনতার কথা বলে। গ্রাম ঢলে পড়ে ঘুমে, কিন্তু ইচ্ছেগাঁওয়ের আকাশে জেগে উজ্জ্বল কিছু তারা। সেই নক্ষত্রের আলো জোনাকির মতো ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। ইচ্ছেগাঁওয়ের ঘুম ভাঙায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। জানলার পর্দা সারালেই দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার শ্বেতশুভ্র রূপ। সূর্যের আলো পাহাড়ের গায়ে বিচ্ছুরিত হয়ে গোটা গ্রামে আনাচ-কানাচে ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেক করার ইচ্ছা থাকলে এখান থেকেই বেরিয়ে পড়তে পারেন। এই গ্রামের পূর্ব দিকে রয়েছে সিলারিগাঁও। উঁচু উঁচু পাইনের বন আর পাখিদের কলকাকলিতে পাহাড়ের কোলে হারিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

কী ভাবে যাবেন?

ভারতের হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ থেকে দূরপাল্লার ট্রেন ধরে নিউ জলপাইগুড়ি যেতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোজা কালিম্পং। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে ইচ্ছেগাঁও।

কোথায় থাকবেন?

এখানে প্রচুর হোমস্টে রয়েছে। পছন্দমতো কোনও একটিতে থাকলেই হল। তবে সব সময়ে ফাঁকা পাওয়া যায় না। তাই আগে থেকে বুক করে যেতে হবে। নয়তো জায়গা পাওয়া মুশকিল হতে পারে।