ঢাকা, রবিবার ২১, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৭:৪২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো: প্রধান উপদেষ্টা সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন ইসির আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অ্যাপ ব্যবহার করবে ইসি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ঘিরে পরিকল্পিত গুজব ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সামরিক মর্যাদায় দাফন আজ

ছাত্রীদের যৌন হয়রানি: শিক্ষক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৪৬ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার মামলায় বেসরকারি আহসানউল্লাহর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

মঙ্গলবার মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি। এজন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক খাদেমুল কায়েশ আগামী ১০ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

মামলাটিতে এখন পর্যন্ত চার্জশিটভুক্ত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়। পরে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কর্তৃপক্ষের ঘোষণাকে প্রত্যাখান করে চার দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বেশ কয়েক বছর ধরে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করে আসছিলেন নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীরা। ওই অভিযোগে ৪ মে রাতে আসাদদৌলাহ আল সায়েম নামে এক শিক্ষার্থী নারী ও শিশু নির্যাতন মদন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা করেন।

ওই বছরের ৩০ জুলাই নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগে কর্মরত পুলিশের এসআই আফরোজ আইরিন কলি আসামি মাহফুজুর রশিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ৩ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।

২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ৪(খ) ধারায় শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের চেষ্টা এবং ১০ ধারায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এবং ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ৯ (খ) ধারায় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়।

২০১৬ সালের ৪ মে রাতে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষককে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে দুই দিনের দিনের রিমান্ডে দেয় আদালত। রিমান্ড শেষে ৭ মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেত অভিযুক্ত শিক্ষক মাহফুজুর ফেরদৌস রশিদ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে মামলাটিতে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন তিনি। এরপর ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

-জেডসি