তিন দিবস ঘিরে ২০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির টার্গেট
জাবেদ চৌধুরী | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০৩:৩৯ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার
ছবি: সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তবরণে তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ আনন্দে মেতে উঠবে। বাসন্তী রঙের শাড়ির সঙ্গে তরুণীরা সাজবে বাহারি রঙের ফুল দিয়ে। একই সাথে এদিন ভালোবাসার বার্তা নিয়ে হাজির হবে ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।শুধু ফাগুন হাওয়ায় ভালোবাসায়ই নয়, আসছে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রতিবছর এই তিন দিবসে ফুল অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঙালির জীবনে। এই সময় ফুলের চাহিদা সারা বছরের চেয়ে বেশি থাকে। আর এই দিবসগুলো ঘিরে রমরমা হয়ে ওঠে ফুলের বাণিজ্য। এই সময় ফুলের ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুযোগ বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। মাঠপর্যায়ে চাষী থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা ফুলের বাজার এখন পুরোদমে প্রস্তুত।
দেশের অভ্যন্তরীণ এই ফুলের সিংহভাগের যোগান আসে সাভারের বিরুলিয়া, ফুলের রাজ্য খ্যাত যশোরের গদখালি ও শার্শা এলাকা থেকেই। এজন্যই এই মৌসুম ঘিরে ফুলের ভালো ফলন পেতে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। অধিক লাভের আশায় এই তিন দিবসে মৌসুমের অপেক্ষায় প্রহর গোনেন তারা। ফুল ব্যবসায়ীদের কাছে পুরো ফ্রেরুয়ারি মাসটি ব্যবসার উৎসব হিসেবে বিবেচিত। এবার ফেব্রুয়ারি মাসকে ঘিরে কৃষক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দেশে মোট ২০০ কোটি টাকা বা তারও বেশি ফুল বাণিজ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির তথ্য মতে, এবার যশোরে পাইকারি পর্যায়ে ৭০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যশোরে প্রায় ছয় হাজার ফুল চাষি দেড় হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার ফুল চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার ভেতর সবচেয়ে বেশি চাষ হয় গ্যালোরিয়াস শতকরা ৪০% চাষ করেন এখানকার ফুল চাষিরা। তার পরই ২০% চাষ হয় রজনীগন্ধা। গোলাপ ১৫% চাষ হয়। তাদের উৎপাদিত জারবেরা, গাঁদা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্র মলি-কাসহ ১১ ধরনের ফুল সারাদেশের মানুষের মন রাঙাচ্ছে।
সরেজমিনে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি, পানিসারা, নাভারণ, নির্বাসখোলা শার্শার উলাশী এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, জমিতে সেচ দেয়া, গোলাপের কুঁড়িতে ক্যাপ পরানো, সার-কীটনাশক, আগাছা পরিষ্কার করাসহ ফুলের আনুসাঙ্গিক পরিচর্যা করছেন চাষিরা।
অন্যদিকে, সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর, শ্যামপুর, আক্রান, মোস্তাপাড়া, সাদুল্লাপুর, বাগ্নিবাড়িসহ প্রায় বিশটি গ্রামে চাষ হয় বিভিন্ন প্রজাতির ফুল। ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে গোলাপ, রজনীগন্ধ্যা, গ্লাডিওলাস ও জারবেরা প্রজাতির ফুল। তবে শুধুমাত্র আড়াই শ হেক্টর জমিতেই চাষ হয় গোলাপ।
এছাড়া বিরুলিয়া, আইঠর ও আকরানসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৮ হেক্টর জমিতে জারবেরা ফুলের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে। তবে বিদেশি প্রজাতির এই ফুল চাষ ব্যয় বহুল হওয়ায় শুধুমাত্র বড় ফুল ব্যবসায়ীরাই এর চাষ করছেন। সব মিলিয়ে এই অঞ্চলের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ এই বিভিন্ন প্রজাতির ফুলচাষ পেশার সঙ্গে পুরোপুরি জড়িত। দিবস ঘিরে ফুল বিক্রির এই মৌসুমে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন ফুল চাষিরা।
শ্যামপুর এলাকার ফুল চাষি মনির হোসেন জানান, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসসহ অন্যান্য দিবস গুলোর দিন যত ঘনিয়ে আসছে বাজারে ফুলের চাহিদা বাড়ছে। সাথে বাড়ছে ফুলের বাজার মূল্য। ভালোবাসা দিবসে প্রতিটি ফুল পাইকারি ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি করবো।
ফুল চাষিরা জানান, এখন গোলাপ প্রতি পিস বিক্রি হয় পাঁচ টাকা। গাঁদা ফুলের মালা ১২০ টাকা। তবে ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে গোলাপের পিস বিক্রি হবে ১৫-২০ টাকা। গাদা ফুলের মালা বিক্রি হবে ২৫০-৩০০ টাকা।
সাভার উপজেলা কৃষি অফিসার নাজিয়াত আহমেদ বলেন, এখানকার লাল মাটি ফুল চাষের জন্য উপযোগী হওয়া ব্যাপক হারে ফুল উৎপাদন হয়ে থাকে। তাই চারা রোপন, বাগান পরিচর্যা ও কীটনাশক প্রয়োগসহ যাবতীয় বিষয়ে আমরা চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করেন তারা।সাভারে ফুল চাষকে কেন্দ্র করে বছরে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে ২৫-৩০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়ে থাকে। আর এই মৌসুমেই কেবল প্রায় ৩ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এদিকে সারা দেশের খুচরা বিক্রেতারা রাজধানীর শাহবাগ, ফার্মগেট ও আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ফুলের পাইকারি মার্কেট থেকে ফুল কিনে থাকেন। রাজধানীর এসব বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্য দিনের চেয়ে শুক্রবার ও শনিবার বিক্রি অনেক বেশি হয়। প্রতিদিন শুধু রাজধানীর পাইকারি বাজারে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ফুল কেনাবেচা হয়। আর বিশেষ দিবস যেমন পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়। এছাড়া রাজধানীর শাহবাগে সবচেয়ে বড় ফুলের বাজার। এখানে ফুলের দোকান ১২০টি এবং খুচরা বিক্রেতা আছে শতাধিক। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এবারের ভালোবাসা দিবসে রাজধানী ঢাকায় যে কয়েক কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে তার সিংহভাগই হবে শাহবাগে।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, যশোরের ঝিকরগাছা, শার্শা উপজেলারসহ এ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ হচ্ছে। ১৯৮৩ সালে গদখালীতে মাত্র ৩০ শতক জমিতে ফুল চাষ শুরু হয়। এখন চাষ হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। দেশে ফুলের মোট চাহিদার ৭০ ভাগই যশোরের গদখালী ও শার্শা থেকে সরবরাহ করা হয়। দেশের গন্ডি পেরিয়ে এই ফুল এখন যাচ্ছে দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়াতেও।
তিনি আরো বলেন, বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কৃষক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দেশে মোট ২০০ কোটি টাকা বা তারও বেশি ফুল বাণিজ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।এর মধ্যে মাঠপর্যায়ে যশোরের গদখালি ও সাভারের সাদুল্লাহপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এ দিবসগুলোকে কেন্দ্র করে প্রায় ৬০-৭০ কোটি টাকার ফুল বাণিজ্য হবে। বাকিটা রাজধানীর শাহাবাগ ফুলের বাজারসহ দেশের অন্যান্য স্থান পূরণ করবে।
বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে ৩০ লাখ মানুষের জীবিকা এই চাষ বা ফুলকে কেন্দ্র করে। প্রায় ২০ হাজার কৃষক ফুলচাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর মধ্যে কেবল যশোরেই প্রায় ৬ হাজার ফুলচাষি রয়েছেন।
-জেডসি
- যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
- ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা
- বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হলো দেশ
- কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু
- পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : রওশন এরশাদ
- বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ
- আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- গরমে শিশু ও নবজাতকের যত্ন কীভাবে নিবেন
- যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস
- ঈশ্বরদীতে আজ তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি
- তীব্র গরমে তাপের সাথে সাপও বাড়ে যে কারণে
- শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরে কী কী হবে?
- ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের কমল স্বর্ণের দাম
- মক্কা ও মদিনায় তুমুল বৃষ্টির শঙ্কা
- প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌসের স্বর্ণজয়
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- ২৯ ফেব্রুয়ারি বা লিপ ইয়ার নিয়ে ১০টি মজার তথ্য
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- এবার বাংলা একাডেমি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
- গুলবদন বেগম: এক মুঘল শাহজাদির সাহসী সমুদ্রযাত্রার গল্প
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন
- শবে বরাত যেভাবে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে উৎসবে পরিণত হলো