ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৪০:২৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিমান ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় দেরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটকে ‘ভিভিআইপি মুভমেন্ট’ ঘোষণা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকার : প্রেস সচিব ভারতের পর্যটনরাজ্য গোয়ার নাইটক্লাবে বড় অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২৩ ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৯০০

দেশের তরুণীদের ভারতে পাচার করে তানিয়া ও বিথি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৪০ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২১ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর শাহ আলী ও মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান এলাকা থেকে দুজন নারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। তারা হলো তানিয়া আক্তার ওরফে কাজল (৩০) ও বিথি আক্তার (২৫)। তারা সংঘবদ্ধ নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য।

র‌্যাব-৪-এর অপারেশন অফিসার জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি দাবি করেন, ওই দুজন সংঘবদ্ধ নারী পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য।

র‌্যাবের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাজধানীর শাহআলী এবং মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাসপোর্ট, ভিসা কার্ড এবং দুটি মোবাইলসহ সংঘবদ্ধ নারী পাচারকারী চক্রের দুজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকারীরা পাচারকারী চক্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে তথ্য দিয়েছেন। এই চক্রটি বিভিন্ন প্রতারণামূলকভাবে ফাঁদে ফেলে এবং প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে নারী ও তরুণীদের পাচার করে।
 
তারা পাশের দেশের বিভিন্ন মার্কেট, সুপারশপ, বিউটি পার্লারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সেখানে নারীদের পাচার করে থাকে। তাদের মূল টার্গেট দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির তরুণী। দেশে ২০ থেকে ২৫ জন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।

র‍্যাব আরও জানায়, এই চক্রটি প্রথমে দেশের বিভিন্ন দরিদ্র ও অসহায় তরুণীদের টার্গেট করে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তরুণীদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে তাদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে। শেষে সেই তরুণীদের দেশের বাইরে সহজে অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখায়। এরপর প্রথমে আসামিরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরুণীদের একত্র করে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের সহযোগীদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে ভুক্তভোগী তরুণীদের নগদ অর্থের বিনিময়ে ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করা হয়। পরে সুবিধাজনক সময়ে স্থলপথে অরক্ষিত অঞ্চল দিয়ে তাদের সীমানার ওপারে পাচার করে দেয়। 

পরবর্তীতে ওই নারীদের ভারতের পশ্চিমাঞ্চলসহ অন্য এলাকার নিষিদ্ধ পল্লীতে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়। বাধ্যতামূলকভাবে অনৈতিক কাজে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যেই তাদের পাচার করা হয় বলে গ্রেপ্তার হওয়া নারীরা জানায়। চক্রটি রাজধানী ও মুন্সিগঞ্জ জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় সক্রিয় রয়েছে।