ঢাকা, মঙ্গলবার ৩০, এপ্রিল ২০২৪ ৯:৪৪:২৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন রিতু আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে হিটস্ট্রোকে একদিনে ১৭ মৃত্যুর রেকর্ড ঢাকাসহ ৫ জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ আজ, প্রাথমিক খোলা বিপজ্জনক দাবদাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে ফিলিপিন্সে সরকারি স্কুলে সশরীরে পাঠদান স্থগিত

নতুন ঠিকাদারদের কাজে সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৩৭ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, নতুন ঠিকাদারদের কাজে সুযোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইনটা এমন যে, বড় বড় ঠিকাদার ছাড়া নতুন, ছোট ঠিকাদাররা সুযোগ বেশি পায় না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই যেন উন্নয়ন কাজে অংশ নিতে পারে, তবে মান ঠিক রেখে। কাজ জানে না এমন কাউকে কাজ দেয়া যাবে না।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে একনেক বর্তমান সরকারের ১৯তম একনেক সভার সভাপতিত্ব করার সময় তিনি এই নির্দেশ দেন।

পরে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন সহজ করার কাজ চলছে। এটা হয়ে গেলে নতুন নতুন প্রতিযোগিতা হবে এবং নতুন ঠিকাদাররা ঢোকার সুযোগ পাবে। খুব আগ্রহ নিয়ে প্রায়ই প্রকল্প পাস করা হয়, দালান-কোঠা নির্মাণ করা হয়। এগুলো হওয়ার পর পরবর্তীতে যেসব কাজ থেকে জনগণ সরাসরি এসবের সুবিধা ভোগ করবে, তখন আর আগ্রহ দেখা যায় না সংশ্লিষ্টদের। তাই যে আগ্রহ নিয়ে প্রকল্প পাস ও দালান-কোঠা নির্মাণ করা হয়, একই আগ্রহ নিয়ে পরবর্তী কাজও করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর বরাতে এম এ মান্নান বলেন, আগ্রহ নিয়ে প্রায়ই প্রকল্প পাস করা হয়, দালান-কোঠা নির্মাণ করা হয়। তারপরে আর বাকি কাজ হয় না। হয় জনবল নাই, নয় যন্ত্রবল নাই। যে আগ্রহ নিয়ে আপনারা প্রকল্পের কাজ শেষ করেন, একই আগ্রহ নিয়ে আপনারা (সংশ্লিষ্টরা) দয়া করে বাকি কাজগুলো করবেন। যাতে জনগণ যে সেবা পাওয়ার কথা, সেখান থেকে সেটা তারা পায়।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ। এটার সঙ্গে আমি শতভাগ একমত। আমার নিজ এলাকায় এ রকম কিছু স্থাপনা আছে। তড়িঘড়ি করে স্থাপনা কাজ শেষ করা হয়েছে, তারপরে আর কাজ হয় না।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, নতুন সড়ক নির্মাণের চেয়ে সড়ক মেরামত, মান-উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এখন থেকে সাবধানতার সঙ্গে সড়ক করতে হবে। কারণ, প্রচুর সড়ক হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, নতুন সড়ক নেয়ার আগে আমাদের চিন্তা করতে হবে। যেসব সড়ক আমাদের আছে বিশেষ করে আন্তঃজেলা সড়ক, এগুলোকে আমরা বিশ্বমানের না হলেও আঞ্চলিক মানের করতে চাই। চার লেন করতে চাই, পুরু করতে চাই, যাতে সামান্য বৃষ্টিতে না ভেঙে যায়। এজন্য এখন থেকে আমাদের মনোযোগ থাকবে সড়কের উন্নয়ন ও মেইনটেন্যান্সের দিকে। নতুন সড়ক নেব না, তা বলছি না। খুব সাবধানতার সঙ্গে নেয়া হবে। আর বর্তমানগুলোকে আমরা উন্নত করব। এটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত।’

খুলনা-যশোর সড়ক নিয়ে বিরক্তি: খুলনা-যশোর সড়ক নির্মাণ নিয়ে একনেক সভায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের কাজটি দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘খুলনা-যশোর সড়কটা তার কাছে খুবই বিরক্তিকর একটা সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বললেন যে, ওবায়দুল কাদেরসহ এটার সঙ্গে যারা যারা আছেন, সবাই এটার কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করেন। মানুষের অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে।’

-জেডসি