ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:০৮:১১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো: প্রধান উপদেষ্টা সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন ইসির আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অ্যাপ ব্যবহার করবে ইসি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ঘিরে পরিকল্পিত গুজব ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সামরিক মর্যাদায় দাফন আজ

নারীর ক্ষমতায়নে ধর্মের অপব্যাখ্যা বড় বাধা : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০১:১১ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ধর্মের অপব্যাখ্যা বড় বাধা। নারী-পুরুষের সমঅধিকার, সমমর্যাদা রক্ষা ও নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।


আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।


আনিসুল হক বলেন, সর্বক্ষেত্রে নারী-পুরুষের অংশীদারিত্ব নিশ্চিতকরণ ব্যতিরেকে দেশের সার্বিক চিত্র পরিবর্তন করা সম্ভব নয় এবং নারীর উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।


তিনি বলেন, প্রথম জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষিত করেন বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি নারীর ক্ষমতায়নের পদক্ষেপ নেন। যার ফলে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে প্রথম সংসদেই নারীরা প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান।স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠন করেন এবং এর মাধ্যমে দেশে নারী উন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।


আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এই বিপুল সংখ্যক নারীকে উন্নয়ন প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন রেখে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই অনুধাবন থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে নারী উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠন করলে নারী উন্নয়ন থমকে দাঁড়ায়। ২০০৯ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করলে দেশের নারী সমাজ আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।

 

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।