ঢাকা, শুক্রবার ০৩, মে ২০২৪ ৯:৪৯:১৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করুক: প্রধানমন্ত্রী সবজির বাজারে স্বস্তি নেই যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি ভারী বর্ষণে মহাসড়কে ধস, চীনে ২৪ প্রাণহানি রাজবাড়ীতে ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ

বিশ্বের শিক্ষকদের আইকন রিফাত আরিফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২১ এএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নিজের বাড়ির উঠোনে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাকিস্তানের রিফাত আরিফ। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে লেখাপড়া করানোই ছিল তার প্রধান উদ্দেশ্য। ছিল না স্কুল চালানোর মতো ভবন কিংবা শিক্ষক। এই অল্প বয়সে স্কুল চালানোর টাকা না থাকলেও ছিল শক্ত মনোবল। সেই মনোবলকে সম্বল করেই এগিয়ে ছিলেন সামনে। আর তাইতো রিফাত আজ সারা বিশ্বের শিক্ষকদের আইকন। তিনি এখন কোটিপতি!

রিফাতের এই মহানুভবতার জন্য গত মাসে তিনি পেয়েছেন ইউনেস্কোর ‘গ্লোবাল টিচার’ অ্যাওয়ার্ড। যার মুল্যমান ১০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। পুরস্কারের এই পুরো অর্থই তিনি শিক্ষাখাতে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, রিফাত আরিফ ‘সিস্টার জেফ’ নামেও পরিচিত। এই নারী শিক্ষকের জন্ম পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায়। স্কুল চালানোর অর্থ জোগাড়ে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করার পর সন্ধ্যায় স্কুলে ফিরে এসে চার ঘণ্টা ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। তার এই পরিশ্রম বৃথা যায়নি। দীর্ঘ ২৬ বছর পর তার স্কুলে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জন। এরা সবাই পড়ছে বিনা খরচে।

ফ্রান্সের প্যারিসে পুরস্কার গ্রহণের মঞ্চে দাড়িয়ে রিফাত বলেন, শিক্ষকতা নিছক কোনো পেশা নয়। এটি এমন এক পেশা, যা পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করে। আসুন, প্রতিটি শিশুকে শেখার সুযোগ দেই, স্বপ্ন দেখার সুযোগ দেই এবং তাদেরকে ইতিবাচকভাবে বেড়ে উঠতে দেই।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের অনেক ছোট শহরে পর্যাপ্ত স্কুল নেই, শিক্ষক নেই। অনেক শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাদের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।

রিফাত আরিফ বলেছেন, পুরস্কারের এই অর্থ দিয়ে তিনি অনাথ শিশুদের জন্য একটি স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এসে শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে তার।