ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ৩:৫২:৫৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

বেগম রোকেয়া দিবস

বাসস | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৫৫ এএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আজ বেগম রোকেয়া দিবস। নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের অবদানকে স্মরণ করে তার জন্ম ও মৃত্যুদিন ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৮৮০ সালের এই দিনে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দের এক নিভৃত পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এই মহীয়সী নারী ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

দিবসটি উদযাপনের লক্ষে দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। এ উপলক্ষে প্রকাশ করা হচ্ছে বিশেষ ক্রোড়পত্র, পোস্টার, বুকলেট ও স্যুভেনির।
নারীদের উন্নয়নে অবদান রাখায় এবার বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন পাঁচ নারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তাদের হাতে পদক তুলে দেবেন।

এ বছর রোকেয়া পদকপ্রাপ্তরা হলেন, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য চট্রগ্রাম জেলার প্রফেসর কামরুন নাহার বেগম (এ্যাডভোকেট), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সাতক্ষীরা জেলার ফরিদা ইয়াসমিন (জন্মস্থান খুলনা), সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় নড়াইল জেলার ড. আফরোজা পারভীন, পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ঝিনাইদহ জেলার নাছিমা বেগম, নারী শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ফরিদপুরের জেলার রহিমা খাতুন।

উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালে ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মুসলিম সমাজে তখন মেয়েদের লেখাপড়ার কোনো প্রচলন ছিল না। তাই তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও পরিবারের অগোচরে বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় উর্দু, বাংলা, আরবি ও ফারসি লিখতে ও পড়তে শেখেন। তার জীবনে শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে তার ভাই ও বড় বোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। পরে বিহারের ভাগলপুরে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামীর উৎসাহে ও নিজের আগ্রহে তিনি লেখাপড়ার প্রসার ঘটান। বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মারা যান।

বেগম রোকেয়া ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’ জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো-মতিচূর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধ-বাসিনী।