ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৭:৪৫:২৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

ভোলায় বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৫৮ পিএম, ২৪ মে ২০২৩ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ভোলা জেলায় বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ ও উৎপাদন  বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর ২১৮ হেক্টর জমিতে প্রায় পৌনে ২ লাখ গাছে ব্যাপক আমের ফলন হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকই রয়েছে আম রুপালী। ২০ ভাগ দেশি ও বাকি ৩০ ভাগ হীম সাগর, ল্যাংরা, হাড়ি-ভাঙ্গা, পালমাল, বারি-৪, বারি-১১সহ বিভিন্ন জাত । এছাড়া কৃষি বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে ৫০ শতাংশ জমির প্রায় ৩’শ আম বাগানে প্রায় ৩০ হাজার আম গাছ রয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৮ হাজার ২৮৪ মেট্রিকটন আম উৎপাদন হবে বলে কৃষি বিভাগ প্রত্যাশা করছে।
কৃষি অফিস জানায়, জেলায় মূলত ২০১৫ সালের পর থেকেই ক্ষুদ্র পরিষরে বাণিজ্যিকভাবে আম বাগান গড়ে উঠা শুরু করে। কৃষি বিভাগের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চাষিদের প্রেচেষ্টায় সম্প্রসারণ হচ্ছে এ লাভজনক ফল চাষ। ২০১৫ সালে জেলায় আমের চাষ হয়েছে ১৩৫ হেক্টর জমিতে। পরের বছর হয় ১৪৫ হেক্টর। পর্যায়ক্রমে বাণিজ্যিক চাষ বাড়তে থাকে দক্ষিণের এ জেলায়।  যার ফলে অনেকেই আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত কলম পদ্ধতিতে আম চারা রোপণ করা হয়। রোপণের পরের বছর থেকেই ফলন আসতে শুরু করে। পূর্ণ ফলন পেতে দুুবছর অপেক্ষা করতে হয়। একবার চারা রোপণের পর গাছ বেড়ে উঠলে আর কোন পরিশ্রম নেই বল্লেই চলে। এখানে  উৎপাদিত আম বলে দিচ্ছে এখানকার আবহাওয়া আম চাষে কতটা অনুকূলে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: হাসান ওয়ারীসুল কবীরকে জানান, একটা সময় ধারনা করা হতো শুধু রাজশাহী অঞ্চলেই ভালো আম হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে আমের কিছু কিছু জাত সারা দেশেই ভালো হয়। বিশেষ করে ভোলায় আম রুপালী, বারি আম-৩, বারি আম-৪, বারি আম-১১সহ বিভিন্ন জাত হচ্ছে। গত কয়েক বছর যাবত বাণিজ্যিকভাবে আম উৎপাদন বাড়ছে। কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে আম চাষে।
সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের আম চাষি মো: ইয়ানুর রহমান  বলেন, গত তিন বছর যাবত তিনি ৫ একর জমিতে আম চাষ করছেন। দ্বিতীয় বছর থেকেই তার আমের ফলন আসতে শুরু করে। বর্তমানে তার এখানে উচ্চফলনশীল আড়াই হাজার আম গাছ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এসব আমের। অধিকাংশ আমই অনলাইনে বিক্রি হয়ে যায়। এ মৌসুমে ২০ টনের অধিক আম উৎপাদন হবে বলে আশা তার।
অপর কৃষক ইলিশা ইউনিয়নের আকতার হোসেন বলেন, তার বাগানে ৬ প্রজাতির ২ হাজার আমের গাছ রেয়েছে। ইতোমধ্যে প্রত্যেক গাছেই ব্যাপক ফলন এসেছে। আমের মানও অনেক ভালো রয়েছে। সরাসরি তার বাগান থেকেই পইকাররা আম কিনে নিয়ে যায়। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিনি প্রথম ধাপের আম বিক্রি করবেন। চারা রোপণের প্রথম বছর একটু পরিচর্যা ছাড়া তেমন কোন পরিশ্রম নেই বলে জানান এ আম চাষি।
হাসান ওয়ারীসুল কবীর আরো জানান, আগামীতে এ জেলায় ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি ফল আম। পানি জমেনা এমন উচু জমি হলেই আমের চাষ করা যায়। তুলনামুলক শ্রমও তেমন দিতে হয়না। তবে ভোলায় লাভজনক হলো বারি আম-৪। এটি সিজনের শেষ সময় আসে, তখন অন্য কোন আম না থাকায় ভালো দাম পাওয়া যায়। সবকিছু মিলিয়ে কৃষি বিভাগের প্রচার প্রচারণা ও ভালো চারার সহজলভ্যতায় ফলে আম চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণ্যিজ্যিক খাতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ভোলায়।