ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৪০:৩৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিমান ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় দেরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটকে ‘ভিভিআইপি মুভমেন্ট’ ঘোষণা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকার : প্রেস সচিব ভারতের পর্যটনরাজ্য গোয়ার নাইটক্লাবে বড় অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২৩ ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৯০০

মুরগির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে সবজির

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫১ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২৩ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ঈদের দুই দিন আগে থেকে রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছিল ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা কেজি দরে। ঈদের দু-তিন দিন পর পর্যন্ত রাজধানীর বাজারগুলোয় এই বাড়তি দামেই বিক্রি হয়েছে মুরগি। তবে বুধবার থেকে মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
বাজারে মুরগির চাহিদা কিছুটা কমায় এখন দাম কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। আর বাড়তিতে বিক্রি হওয়া চিনির দাম আরও বেড়েছে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ১৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে খোলা চিনি।
খুচরা মুরগি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ বাজারের পর বর্তমানে মুরগির দাম অনেকটা কমেছে। পাইকারিতে দাম কিছুটা কমায় খুচরায়ও মুরগির দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। ঈদের আগে দাম বেড়ে বাজারে  ব্রয়লার মুরগির কেজি হয়েছিল ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা আর সোনালি মুরগির কেজি হয়েছিল ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা।
ঈদ ঘিরে বাজারে চিনির দামও আরেক দফা বেড়েছিল। সেই বাড়তি দামেই এখনো বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ কম। খোলা চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। সরকার খোলা চিনির সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছে ১০৪ টাকা কেজি। কিন্তু প্রতি কেজি চিনি কিনতে ক্রেতাকে বাড়তি গুনতে হচ্ছে ১৬ টাকা। গত সাত মাসে সরকার পাঁচবার চিনির দাম বেঁধে দিয়েছে, কিন্তু কোনোবারই নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি হয়নি।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও চিনির দাম কিছুটা বেড়ে বিক্রি হলেও চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সয়াবিন তেলের দামে পরিবর্তন হয়নি। উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে এসব পণ্য। ফার্মের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি না হওয়ার বিষয়ে রামপুরা বাজারের ভ্যারাইটিজ স্টোরের আবুল খায়ের বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের চিনির বস্তা কিনতে প্রতি কেজিতে পড়ে ১১৬-১১৭ টাকা। বিক্রি করছি ১২০ টাকা কেজি দরে। সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে ১০৪ টাকা। নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে প্রতি কেজি চিনিতে আমাদের লোকসান হবে ১২-১৩ টাকা। এটা কোনো ব্যবসায়ীর পক্ষে সম্ভব নয়। ’
তিনি বলেন, পাইকারি পর্যায়ে চিনির দাম না কমলে খুচরা পর্যায়ে দাম কমার সুযোগ নেই। বেশি দামে কিনে কেউ লস দিয়ে বিক্রি করবে না।

সবজির বাজার-
ঈদের এক দিন আগে রাজধানীর বাজারে শসার চাহিদা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় দেশি শসার কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। ঈদের পর দেশি শসার দাম কমে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের আগের চেয়ে এখন বেশ কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, করলা (উস্তা) ৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা আম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
রামপুরা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বাজারে সবজির দাম বাড়তির দিকে। কারওয়ান বাজারে আমদানি কম। এ কারণে বাজারে সবজির দাম বাড়তি। ঈদের পর এখনো কারওয়ান বাজারে সেভাবে সবজি আসা শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহ থেকে আসা শুরু করলে দাম কমে যাবে।
নিত্যপণ্যের বাজার
পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ টাকা, রসুন দেশি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, আমদানি করা চীনা আদা ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, মসুর ডাল (ছোট) ১৪০ টাকা, বড় মসুর ডাল ১০০ টাকা, পোলাওর চাল খোলা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, প্যাকেটজাত পোলাওর চাল ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।