শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হেলেনা : একাত্তরের আকাশে তারকা
শিহাব শাহীন | উইমেননিউজ২৪.কমআপডেট: ০৮:০৮ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
স্বাধীনতার জন্য কত মানুষকে যে জীবন দিতে হয়েছে, কত পরিবারকে যে কতভাবে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে, যার রেস এখনো সে সব পরিবারে চলছে, তার কতুটুকুই বা আমরা জানি! ১৯৭১ সালে পবিত্র শবে বরাতের রাতে পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতনের বীভৎসতায় নিহত মাগুড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লুৎফুন নাহার হেলেনা তেমনি একজন।
একাত্তরের ৫ অক্টোবর দিনে রাজাকাররা হেলেনাকে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার এক গ্রাম থেকে শিশুপুত্রসহ আটক করে। পরে তাকে মাগুরা শহরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। পাকিস্তানি সেনারা তাকে হত্যার পর তার মৃতদেহ জিপের পেছনে বেঁধে টেনে নিয়ে শহরের অদূরে নবগঙ্গা নদীর ডাইভারশন ক্যানেলে। পরে তার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ সেখানে ফেলে দেয়।
বীভৎস এ ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায় তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা আলী কদরের লেখায়। তিনি লিখেছেন, ‘হেলেনের মৃত্যুঘটনা ছিল করুণ ও মর্মান্তিক। মহম্মদপুর থানার এক গ্রামে অবস্থানকালে রাজাকার ও ঘাতক দালালদের গুপ্তচরের সহায়তায় হেলেন ২ বছর ৫ মাস বয়সের শিশু পুত্র দিলীরসহ রাজাকারদের হাতে ধরা পড়ে। তাকে তারা সরাসরি নিয়ে যায় মাগুরা শহরে। এরপর পাকিস্থান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে তাকে সোপর্দ করা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
হেলেনের এ অবস্থায় তার বৃদ্ধ বাবা ও কয়েকজন আত্মীয় দুধের শিশুর মা হেলেনের মুক্তির জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু শত অনুরোধ সত্ত্বেও জামাতপন্থি ঘাতক দালালরা তার মুক্তির ব্যাপারে সব চাইতে বেশি বাধা সৃষ্টি করে। তারা পাকবাহিনীর কর্মকর্তাকে জানায়, হেলেনা মাগুরার বামপন্থি নেতা মাহফুজুল হকের বোন এবং মহম্মদপুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের বাহিনী প্রধান বামপন্থি নেতা আলী কদরের স্ত্রী। সুতরাং তার মুক্তির প্রশ্নই ওঠে না।
লুৎফুন নাহার হেলেনা ’হেলেন’ নামেও পরিচিত ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের মাগুরার আঞ্চলিক শাখার নেত্রী এবং মাগুরা কলেজের ছাত্রী সংসদের মহিলা কমনরুম সম্পাদিকা ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাগুরা শহর থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের কর্মসূচির সংবাদ জেনে তার স্বামীর কাছে পাঠাতেন। সেপ্টেম্বরে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের কাজ করার জন্য মহম্মদপুর এলাকায় যান তিনি। সেখানে নারীদের বিশেষত ভূমিহীন গরিব কৃষক পরিবারের নারীদের অনুপ্রাণিত করেন। পাশাপাশি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের খাওয়া-দাওয়া, দেখাশোনা ও অসুস্থদের সেবাযত্নে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন।
লুৎফুন নাহার হেলেনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মাগুরা শহরে। বাবা মুহাম্মদ ফজলুল হক। মা মোসাম্মৎ ছফুরা খাতুন। তারা ছিলেন পাঁচ ভাই ও নয় বোন। বোনদের মধ্যে তিনি ছিলেন ষষ্ঠ। মেধাবী ছাত্রী হেলেন বাবার হাত ধরে বই পড়ার অভ্যেস পান। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি নানা ধরনের বই পড়ে তার জ্ঞান ও চেতনার বিকাশ ঘটে। ১৯৬৮ সালে বিএ পাস করে মাগুরা গার্লস হাইস্কুলে (বর্তমানে সরকারি গার্লস হাইস্কুল) সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি মাগুরার বাম রাজনীতিতেও তিনি সক্রিয় ছিলেন।
স্যালুট ও ভালবাসা অফুরান।
তথ্য সংগ্রহ : স্মৃতিঃ ১৯৭১, অষ্টম খণ্ড, প্রথম প্রকাশ ১৯৯৫, সম্পাদনা রশীদ হায়দার।
- চলে গেলেন ১৯৭৮ বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনার কোচ মেনোত্তি
- হজের ভিসায় সৌদি সরকারের নতুন নিয়ম
- নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ বছরের শিশু নিহত
- ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামলকে শপথবাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী
- প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস শুরু আগামীকাল
- কাঁচা আমের মজার ৩ আচার
- একসঙ্গে ৫ কন্যা সন্তানের জন্ম!
- বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ সৌদি : রোনালদোর বোন
- ঢাকা-সিলেটে হবে নারী টি২০ বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যারা
- রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট
- রাজধানীতে ঝড়ে নারীর মৃত্যু, আহত ৭
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- সহকারী জজ নিয়োগে প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬০৩
- আল জাজিরার অফিসে ইসরাইলের পুলিশের অভিযান
- সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন আজ
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের
- ‘এক মাসে ৫৩ নারীর আত্মহত্যা’
- ঈদের কেনাকাটায় ফুটপাতই ভরসা নিম্ন আয়ের মানুষের
- বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব
- সনজীদা খাতুনের জন্মদিন আজ
- শহরের চেয়ে গ্রামে বিয়ে-তালাক বেশি
- ঢাকার বিপণিবিতানগুলোতে জমে উঠেছে ঈদ কেনাকাটা