ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১:২১:১৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

স্কুলে বিচ্ছেদ, প্রায় ৭ দশক পর ফের দেখা এবং বিয়ে

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:৪৮ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

ফ্রেড পল এবং ফ্লোরেন্স হার্ভে।

ফ্রেড পল এবং ফ্লোরেন্স হার্ভে।

জীবনে প্রথম প্রেম হয়েছিল তাদের। তারা একে-অপরের ছিলেন। সে কত স্মৃতি, কত কথা! স্কুলে পড়ার সময় একসঙ্গে জীবন কাটানোর স্বপ্নও দেখতেন বার বার। কিন্তু সেই স্বপ্নে ইতি পড়ে গিয়েছিল মাঝপথেই।

৭ দশক আগে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন তারা। নিজেদের মধ্যে দূরত্ব এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে যোগাযোগ প্রায় ছিলই না। কিন্তু চোখের আড়াল মানেই তো আর মনের আড়াল নয়। তাই প্রায় ৭ দশক পর ফের শেষ থেকেই ফের শুরু হল তাদের লাভ স্টোরি।

ফ্রেড পল এবং ফ্লোরেন্স হার্ভে। তাদের লাভ স্টোরি শুরু হয়েছিল ৬৮ বছর আগে। কানাডার ছোট শহর ওয়ান্ডসওয়ার্থে দুজনে পাশাপাশি বাড়িতে থাকতেন।

ছোট থেকেই একে-অপরের সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিলেন তারা। একসঙ্গে অবসর কাটানো, চার্চের পর হাতে হাত রেখে হেঁটে যাওয়া, স্কুলে ক্লাসের ফাঁকে দেখা করা এমনকি, প্রতি রাতে টর্চ জ্বালিয়ে ফ্লোরেন্সকে শুভরাত্রি বলা- এ ভাবেই দিন কাটত তাদের।

পল যখন ১৮ বছরে পা দিলেন ফ্লোরেন্স তখন ১৫ বছরের কিশোরী। কর্মসূত্রে পল টরোন্টোয় চলে যান।

তার এক বছর পর যখন ওয়ান্ডসওয়ার্থে ফেরেন তত দিনে শহর ছেড়েছেন ফ্লোরেন্স। কোথায় চলে গিয়েছিলেন সেই খোঁজ আর পাননি পল।

এর মাঝে অনেকটা সময় চলে গেছে। দু’জনেই বড় হয়েছেন। দু’জনেরই বিয়ে হয়েছে, পরিবার হয়েছে। দু’জনেই নিজেদের পরিবার নিয়ে সুখি ছিলেন। কিন্তু মনের মধ্যে কোথাও তারা একে অপরের জন্য ভালবাসাও লুকিয়ে রেখেছিলেন।

২০১৭ সালে ফ্লোরেন্সের জীবনে এক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তার স্বামী ক্যান্সারে মারা যান। তাদের ৫৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে ৫ সন্তান। ঠিক এর দু’বছর পর পলের স্ত্রীও মারা যান। পলের দুই সন্তান রয়েছে।

ফ্লোরেন্সের কানে পলের স্ত্রী বিয়োগের খবর পৌঁছে ছিল। ফোন নম্বর সংগ্রহ করে পলকে একদিন ফোন করেন ফ্লোরেন্স।

সেটা ছিল এক ভ্যালেন্টাইন ডে-র পরের দিন। সে দিন অনেকক্ষণ কথা হয়েছিল দুজনের। নিজেদের পরিবার, সন্তান, নাতি-নাতনি এ সব নিয়ে কথা হয়। শৈশবের সে সব সুখের স্মৃতিগুলোও নাড়াচাড়া করেন দুজনে।

প্রথম প্রথম সপ্তাহে একদিন করে ফোনে কথা হত তাদের। তারপর ক্রমশ সপ্তাহে ২ দিন, ৩ দিন, ৪ দিন এবং তারপর প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতে থাকে কথোপকথন।

পলের জন্মদিনের সবচেয়ে দামি উপহার ছিলেন ফ্লোরেন্স নিজেই। পলের সঙ্গে দেখা করতে তিনি টরোন্টোয় চলে আসেন। ফ্লোরেন্সকে দেখার আনন্দ চেপে রাখতে পারেননি পলও।

এর ৩ দিন পরই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২০ সালের ৮ আগস্ট সমস্ত রীতি মেনে তারা বিয়ে করেন।

তবে করোনা মহামারির জন্য খুব কম অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন চার্চে। পল নিজেও পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত।

পলের বয়স এখন ৮২ বছর এবং ফ্লোরেন্সের ৭৯ বছর। বাকি জীবনটা একসঙ্গেই কাটাতে চান তারা। প্রায় ৭ দশক আগের সেই শেষ দেখা হওয়ার দিন থেকেই শুরু করবেন নিজেদের জীবন।

পলের বয়স এখন ৮২ বছর এবং ফ্লোরেন্সের ৭৯ বছর। বাকি জীবনটা একসঙ্গেই কাটাতে চান তাঁরা। প্রায় ৭ দশক আগের সেই শেষ দেখা হওয়ার দিন থেকেই শুরু করবেন নিজেদের জীবন।