ঢাকা, বুধবার ০৮, মে ২০২৪ ৭:১৯:৫৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ জিম্মি মুক্তিতে হামাসের সম্মতির পরও গাজায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস শুরু আজ হজের ফ্লাইট শুরু ৯ মে পুলিৎজার পেল রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস

স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:২৩ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২১ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

স্বামীর দাবীকৃত দুই লাখ টাকা স্ত্রী যৌতুক দিতে না পারায় ঘুমন্ত স্ত্রী মোর্শেদা বেগমকে বুকে মুখে আঘাত করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করার অভিযোগে স্বামীকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার দুপুরে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হল বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার বড় আমখোলা গ্রামের মোতাহার গাজীর ছেলে মোস্তফা গাজী। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন।

জানা যায়, মামলার বাদী বরগুনা সদর উপজেলার জাকিরতবক গ্রামের মোতাহার বিশ্বাস তালতলী থানায় ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তার তার মেয়ে মোর্শেদা বেগমকে মোস্তফা গাজীর সঙ্গে ৯ বছর পূর্বে বিয়ে দেয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে মোস্তফা গাজী ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে বাদীর মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে। সর্ব শেষ ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা হতে ভোর ৫টার মধ্যে মোর্শেদার বুকে মুখে আঘাত করে। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে।

বাদী মোতাহার বিশ্বাস বলেন, আমার কন্যা এর আগে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল যৌতুক দাবির মামলা করে। সেই মামলায় আপোষের শর্তে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামিনে গিয়ে আবার আমার মেয়ের কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে ফাঁস লাগিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে। পরে মোস্তফা গাজী আমার মেয়ের লাশ তার ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৪ মার্চ আসামি মোস্তফা গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের মতো নয়। একবার যৌতুক চেয়ে নির্যাতন করেছে। আপোষে জামিনে গিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঠাণ্ডা মাখায় মোর্শেদাকে হত্যা করে। বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছে।