ঢাকা, সোমবার ২৯, এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৭:২২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন রিতু আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে হিটস্ট্রোকে একদিনে ১৭ মৃত্যুর রেকর্ড ঢাকাসহ ৫ জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ আজ, প্রাথমিক খোলা বিপজ্জনক দাবদাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে ফিলিপিন্সে সরকারি স্কুলে সশরীরে পাঠদান স্থগিত

স্বরূপে ফিরেছে ঐতিহাসিক ‘ঢাকা গেইট’

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

অবশেষে স্বরূপে ফিরেছে ‘ঢাকা গেইট’। বহু বছর অযত্ন ও অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছিল ঐতিহাসিক ‘ঢাকা গেইট’। সংস্কারের পর স্বরূপে ফিরেছে এই ঐতিহাসিক স্থাপনা।

জনসাধারণের জন্য এ স্থাপনাটি আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, পুরনো আদলে নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে ফটকটি। এর আশেপাশে দর্শনার্থীদের জন্য বসার জায়গা করা হয়েছে।

তবে মীর জুমলার আসাম অভিযানের ‘বিবি মরিয়ম’ কামানটি ওসমানী উদ্যান থেকে এনে ঢাকা গেইটের পাশে স্থাপন করা হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা মো. আবু নাছের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবার বিকাল ৪টায় ফটকটি উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন ও ফটকের নতুন নকশাকার অধ্যাপক আবু সাঈদ উপস্থিত থাকবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরের কাছে এর অবস্থান। কালের স্রোতে হারিয়ে যেতে বসা জরাজীর্ণ ‘ঢাকা গেইট’র নান্দনিকতা ফেরাতে ২০২২ সালে সংস্কারের উদ্যোগ নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

গত বছরের মে মাসে সংস্কার শুরু হয়ে সম্প্রতি কাজ শেষ হয়েছে। প্রায় ৮২ লাখ টাকা খরচ করে এ গেইট সংস্কার করেছে ঠিকাদার কোম্পানি আহনাফ ট্রেডিংস।

প্রত্নতত্ব বিশেষজ্ঞ ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের অধ্যাপক আবু সাঈদের নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞ ফটকটির নতুন নকশা তৈরি করেন। সেই নকশার আদলেই নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে।

ঐতিহাসিক ঢাকা গেইট তিনটি অংশে বিভক্ত। পশ্চিমাংশ পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ভবনের পাশ, পূর্বের অংশ পড়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তিন নেতার সমাধির প্রবেশপথের সামনে এবং মাঝের অংশ পড়েছে দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসিগামী সড়ক দ্বীপে। বর্তমানে ফটকটির উপর দিয়ে মেট্রোরেল চলাচল করে।

কখন এবং কেন রমনার এই ফটকটি নির্মাণ হয়েছিল তা নিয়ে অবশ্য ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিকদের মধ্যে বিতর্ক আছে। তবে এটি মুঘল আমলেই নির্মাণ করা হয়েছিল বলে মনে করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত ঢাকা কোষে বলা হয়েছে, ঢাকার সীমানা চিহ্নিত করতে এবং স্থলপথে শত্রুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ১৬৬০ থেকে ১৬৬৩ সালের মধ্যে ফটকটি নির্মাণ করেছিলেন মীর জুমলা।