ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৪:০৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতি গর্ব করবে : প্রধান উপদেষ্টা তলবের ১০ মিনিটেই হাজির জেডআই খান পান্না, চাইলেন নিঃশর্ত ক্ষমা ‘পরিবেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার’

৬০ বছর পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ভারতের ‘পারসিয়ানা’ সাময়িকী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৫৩ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মুম্বাইয়ের ফোর্ট এলাকায় নতুন গথিক স্থাপত্যশৈলীর একটি ভবন। পুরোনো ভবনটির একটি ছোট্ট অফিস থেকে ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে বের হচ্ছে পারসি সম্প্রদায়ের সাময়িকী ‘পারসিয়ানা’। ঐতিহ্যবাহী সাময়িকীটি আগামী অক্টোবর মাস থেকে আর বের হবে না। গত আগস্টে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসক পেস্টনজি ওয়ার্ডেন ১৯৬৪ সালে ইংরেজি ভাষার সাময়িকীটি প্রকাশ করা শুরু করেছিলেন। মুম্বাইয়ের পারসি সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনযাত্রা ও ঘটনাবলি নথিবদ্ধ করাই ছিল প্রাথমিক উদ্দেশ্য। সপ্তম-অষ্টম শতকে ইরান বা পারস্য থেকে ভারতে আসা জরথুস্ত্র ধর্মাবলম্বীদের মানুষজন পারসি সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত।

১৯৭৩ সালে মাত্র এক রুপিতে সাময়িকীটি কিনে নেন সাংবাদিক জেহাঙ্গীর প্যাটেল। এর পর থেকে তিনিই এর সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর একটির বদলে মাসে দুটি করে সংখ্যা বের করা শুরু করেন তিনি। সাহসী প্রতিবেদন, ব্যঙ্গাত্মক কলাম ও চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে সাময়িকীটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৮৭ সালে আন্তধর্মীয় বিয়ের বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে সাময়িকীটি আলোড়ন তৈরি করেছিল।
ছয় দশকে পারসিয়ানা কেবল একটি সাময়িকী নয়; বরং সারা বিশ্বের জরথুস্ত্র ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সেতুবন্ধের মাধ্যম হয়ে উঠেছিল।

পাকিস্তানভিত্তিক এক পাঠক বলেন, ‘এটি শুধু প্রকাশনা ছিল না। ছিল আমাদের সঙ্গী ও সেতুবন্ধ।’ যুক্তরাষ্ট্রের এক পাঠক লিখেছেন, ‘এই সাময়িকী বিতর্কিত বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসত।’

আগস্টে পারসিয়ানার এক সম্পাদকীয়তে সাময়িকীটি বন্ধের কারণ হিসেবে বলা হয়, গ্রাহকসংখ্যা কমেছে, তহবিলের সংকট বেড়েছে ও প্রকাশনার কাজ চালিয়ে যাওয়ার মতো উত্তরসূরি পাওয়া যায়নি।

৮০ বছর বয়সী জেহাঙ্গীর ১৫ সদস্যের একটি দল নিয়ে পারসিয়ানা বের করতেন। তাঁর সহকর্মীদের প্রায় সবার বয়স ৬০ ও ৭০–এর মধ্যে। পারসিয়ানা বন্ধ হয়ে যাওয়াকে ‘কষ্টের’ উল্লেখ করে জেহাঙ্গীর বলেন, ‘শেষ দিনে কোনো কেক বা উৎসব থাকবে না। এটা দুঃখের সময়।’