ঢাকা, মঙ্গলবার ১৬, এপ্রিল ২০২৪ ২৩:২০:৫৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
রাজধানীতে ফিরেছেন ২১ লাখেরও বেশি সিমধারী ভাসানটেকে আগুন: মায়ের পর মারা গেলেন মেয়েও ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১১ রাজধানীতে ফিরছে মানুষ লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১৫ জনের মৃত্যু

৮ আসামির ফাঁসি, রায় শুনে কাঁদলেন দীপনের স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:১৭ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আট আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় শোনার সঙ্গে সঙ্গেই কান্নায় ভেঙে পড়েন দীপনের স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান।

আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছেন।

এদিন রায়ের ঠিক আগে আদালতে হাজির হন ডা. রাজিয়া রহমান, তার সাথে আসেন আতিকা রুমা ও সৈয়দ হাসান ইমামের মেয়ে সৈয়দা তানজুমা ইমাম। তাদেরও কাঁদতে দেখা যায়।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাজিয়া রহমান বলেন, যারা এখন পর্যন্ত পলাতক, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে রায় যেন কার্যকর করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির, আবদুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল রিফাত, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব সাজিদ, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব।

আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের ৩য় তলায় ‘জাগৃতি’ প্রকাশনী অফিসে ঢুকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফয়সাল আরেফিন দীপনের ঘাড়ের পেছনে আঘাত করে হত্যা করে।

ঘটনাটি ঘটে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ৪টার মধ্যে। হত্যাকাণ্ড শেষে অফিসের অটোলক তালা লক করে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা।

সেদিন বিকালে দীপনের স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

এর পর ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আইটি এক্সপার্ট খায়রুল ইসলাম, সদস্য মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মাইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও মো. আব্দুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ ওরফে সুজন ওরফে সাজু ওরফে সাদ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।

-জেডসি