আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১২:৩৯ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ট্রাইব্যুনালে এই পরোয়ানা পাঠানো হয়।
এর আগে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গত ১৪ জানুয়ারি সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি সৈয়দ কায়সারকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে সাতটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড, চারটিতে যাবজ্জীবন ও তিনটিতে মোট ২২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সৈয়দ কায়সার। পরে আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনটি অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আদালত। এছাড়া চারটি অভিযোগ থেকে খালাস পান তিনি।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ৫০০ থেকে ৭০০ ‘স্বাধীনতাবিরোধীকে’ নিয়ে ‘কায়সার বাহিনী’ ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে জেলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের নেতৃত্ব দেন তৎকালীন মুসলিম লীগের এ নেতা। এই দুই জেলায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সৈয়দ কায়সারকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
হবিগঞ্জের মাধবপুরের ইটাখোলা গ্রামের সৈয়দ সঈদউদ্দিন ও বেগম হামিদা বানুর ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের জন্ম ১৯৪০ সালের ১৯ জুন। কায়সারের বাবা সৈয়দ সঈদউদ্দিন ১৯৬২ সালে সিলেট-৭ আসন থেকে কনভেনশন মুসলিম লীগের এমএলএ নির্বাচিত হন। ওই বছরই মুসলিম লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন কায়সার। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত কায়সার মুসলিম লীগ সিলেট জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পরাজিত হন।
১৯৭১ সালে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় ৫০০ থেকে ৭০০ ‘স্বাধীনতাবিরোধীকে’ নিয়ে ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করেন এই মুসলিম লীগ নেতা। তিনি নিজে ছিলেন ওই বাহিনীর প্রধান। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করার ঠিক আগে কায়সার পালিয়ে লন্ডনে চলে যান। দেশে ফেরেন ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর।
এরপর জিয়াউর রহমানের সময় ১৯৭৮ সালে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হন কায়সার। ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন কায়সার।
তবে পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং হবিগঞ্জ বিএনপির সভাপতি হন। একপর্যায়ে সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ে কায়সার জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং হবিগঞ্জ শাখার সভাপতির দায়িত্ব পান। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করে দুই দফা তিনি সংসদ সদস্য হন। ওই সময় তাকে কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন এরশাদ। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন কায়সার।
-জেডসি
- মেক্সিকোর সংসদে নারীদের চুলোচুলি-মারামারি
- ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারো আগুন-ভাঙচুর
- প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন
- ঝিগাতলায় হোস্টেল থেকে এনসিপি নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার
- ‘শর্টকাট দিয়ে টেকসই গণতন্ত্র পাওয়া যায় না’
- শাড়িতে নজর কাড়লেন স্বস্তিকা
- বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি, মুকুট হারালেন মিস ফিনল্যান্ড
- মেসিকে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি বার্সার নতুন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর
- খুনের ৭ মামলায় ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর জামিন স্থগিত
- এমবিবিএস–বিডিএস ভর্তি শুরু ৩০ ডিসেম্বর
- ছাপানো শেষ হলো প্রাথমিক স্তরের শতভাগ পাঠ্যপুস্তক
- এআই ছবিতে গতি বাড়াল ওপেনএআই
- কলার থোড় খেলে যেসব উপকার হয়
- ‘ভারতের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কে টানাপড়েন আছে’
- বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানিয়েছে ভারত
- ঝিগাতলায় হোস্টেল থেকে এনসিপি নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার
- এআই ছবিতে গতি বাড়াল ওপেনএআই
- কলার থোড় খেলে যেসব উপকার হয়
- শাড়িতে নজর কাড়লেন স্বস্তিকা
- যুগ্ম সচিবকে জিম্মি করে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি চালকের
- এমবিবিএস–বিডিএস ভর্তি শুরু ৩০ ডিসেম্বর
- বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানিয়েছে ভারত
- ‘ভারতের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কে টানাপড়েন আছে’
- ‘শর্টকাট দিয়ে টেকসই গণতন্ত্র পাওয়া যায় না’
- মা-মেয়ে হত্যা : সেই গৃহকর্মীর দোষ স্বীকার
- ছাপানো শেষ হলো প্রাথমিক স্তরের শতভাগ পাঠ্যপুস্তক
- অমর একুশে বইমেলা শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি
- মেসিকে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি বার্সার নতুন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর
- বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি, মুকুট হারালেন মিস ফিনল্যান্ড
- খুনের ৭ মামলায় ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর জামিন স্থগিত



