ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:১৭:০৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

কুমিল্লায় জমে উঠেছে গরম পোশাকের বাজার  

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:১৮ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লায় পুরানো  ও নতুন সংমিশ্রণে জমে উঠেছে গরম পোশাকের বাজার। দোকানে গরম পোশাকের যেন কমতি নেই। শীতকে কেন্দ্র করে নানা রঙ আর ঢঙ-এর পোশাক এসেছে বাজারে। 

শীত নিবারণের হাজারো পোশাকে বাজার এখন সরগরম। শীতের শুরুর দিকে এ সব শীতবস্ত্রের দাম তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে। সে কারণে অনেক ক্রেতাই সাধ্যের মধ্যে শীতবস্ত্রের বাজারে ভিড়ও করছেন। কুমিল্লার শপিং মলগুলোতে বা রাস্তার পাশে ফুটপাতগুলোতে সারি সারি পোশাকের দোকানগুলোর এখন গরম পোশাকে ভরপুর। 

কুমিল্লার রেইসকোর্স থেকে শুরু করে কান্দিরপাড়, টমছম ব্রীজ রোডের সব জায়গায় শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। রয়েছে ফুলপ্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি, জ্যাকেট, মাফলার, হাতমোজা, পা মোজা, টুপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ও দামের কম্বল। 

শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় শপিং মলগুলোতে দেখা যায় এসব পোশাক কিনতে সব ধরনের ক্রেতার ভিড়। 

কুমিল্লার রেইসকোর্স এলাকার ইর্ষ্টাণ ইয়াকুব প্লাজায় রয়েছে বিভিন্ন দামের শীতের পোশাক। সেখানকার ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বাসসকে বলেন, শীতের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পোশাক হুডিতে রয়েছে বিশেষ ছাড়। এছাড়াও অন্যান্য শীতপোশাকের পরও রয়েছে বিভিন্ন মাত্রায় মূল্যছাড়। 

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তাদের শোরুমে শীতকালীন পোশাক আসা শুরু হয়েছে বলে জানান। 

মঞ্জু আরো বলেন, গত কয়েকদিনে হাড় কাপানো শীত পড়ায়, ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হয়। বঙ্গবাজার ও গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার থেকে এ পোশাকের সংগ্রহ আসে বলে জানান তিনি। 

নানা ধরনের শীতবস্ত্রের পাশাপাশি শীতের আনুষঙ্গিক হিসেবে চাহিদা রয়েছে হাতমোজা, পা মোজাসহ বিভিন্ন ধরনের টুপির। 
মার্কেটঘুরে শীতের পোশাক কেনার পর টুপি-মোজার দোকানে এসেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী তাসপ্রিয়া। 

তিনি বলেন, ভাই-বোন আর নিজের জন্য শীতের কাপড় কিনলাম। কুমিল্লা খন্দকার ম্যানশনে শীতের নানা ধরনের পোশাক রয়েছে। ৩শ টাকা থেকে শুরু করে আট-নয় হাজার টাকা দামের পোশাকও পাওয়া যায় এখানে। 

এ দোকানে কর্মরত মনির হোসেন বলেন, শীত ছাড়া অন্য মৌসুমে যারা দেশের বাইরে যায়, তারা এখান থেকে গরম কাপড় কেনে। শীতকালে মোটামুটি সবাই ভিড় করে এখানে। 

এত সব দোকান ঘুরে দেখার পর চোখ যায় কুমিল্লা হকার্স মাকের্টে নিজের স্বল্প পুঁজি নিয়ে কামরুল ইসলাম নামের পঞ্চাশর্ধ্ব এক বৃদ্ধের মাফলারের দোকানে। 

প্রতিটি রুমাল কিংবা ছোট মাফলার ৩০ টাকা করে বিক্রি করছেন তিনি। নিম্নবিত্ত কিংবা দারিদ্র্যসীমারও নিচে বসবাস করছে এমন ক্রেতাদের জন্যই যে এ পসরা সাজানো হয়েছে তা স্বল্প দামে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এসব দোকান থেকে কেনাকাটা করছেন।