ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ৪:৫৩:৪৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পূর্বাচল ৩০০ ফিটে নেতাকর্মীদের ঢল মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত পোস্টাল ভোটে নিবন্ধনের সময় বাড়লো হাদি হত্যায় মোটরসাইকেল চালকের সহযোগী গ্রেপ্তার ইন্টারনেট শাটডাউন চিরতরে নিষিদ্ধ করল সরকার

গণপিটুনিতে মা’কে হত্যার বিচার চেয়ে রাজপথে শিশু তোবা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:১১ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে রাজপথে দাঁড়িয়েছে তার চার বছরের অবুঝ শিশু তাসনিম তোবা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর-ফরিদগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সে অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- রায়পুর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মারুফ বিন জাকারিয়া, পৌর যুবলীগ নেতা হোসেন সরদার, তানভীর কামাল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাকির হোসেন প্রমুখ। এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ।

বক্তারা বলেন, ছেলেধরা গুজবেই তাসলিমা বেগম রেনুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এটা কোনো সভ্য সমাজে হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান তারা।

এসময় পরিবারের লোকজন গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (২০ জুলাই) সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তসলিমা রেনু নামে এক নারীকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। পদ্মাসেতুতে মানুষের মাথা লাগবে এমন ছড়িয়ে পড়ার পরপরই এমন ঘটনা ঘটে। জানা যায়, নিহত রেনু তার চার বছর বয়সী সন্তানকে ভর্তি করাতে সেদিন ওই স্কুলে গিয়েছিলেন। আর এই হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যশে ভাইরাল হওয়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

স্কুলের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ছেলেধরা বলে বাইরে থেকে হট্টগোল শুরু হলে তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যেই স্কুলের কিছু অভিভাবক ও বাইরে থেকে আসা উচ্ছৃঙ্খল মানুষে ভরে যায় জায়গাটি। এর পর হাতে গোনা কয়েকজন যুবক মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে পেটায় রেনুকে। কেউ কেউ এলোপাতাড়ি লাথিও মারছিল। শত শত মানুষ দর্শকের ভূমিকায় তা দেখছিল, কেউ আবার সেই মারধর মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিল।

এ ঘটনায় নিহত রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু মামলা করার পর গত রোববার রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পালিয়ে গেছেন প্রধান সন্দেহভাজন হৃদয়। এই মামলার আসামি চার থেকে পাঁচশ।

নিহত রেনুর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর সোনাপুর গ্রামে। তার অবুঝ শিশু তোবা এখন খালাদের সঙ্গে রয়েছে।

-জেডসি