চীনের চিঠি: চাংশায় তরুণ মাও সে তুং-এর ভাস্কর্য
আইরীন নিয়াজী মান্না | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রবিবার

চীনের হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশার অরেঞ্জ আইল্যান্ড পার্কে মাও সে তুংয়ের তরুণ বয়সের ভাস্কর্য। ছবি: লেখক।
মাও সে তুং; আধুনিক চীনের অবিসংবাদিত নেতা। চীনের জাতির জনক এবং আধুনিক চীনের রূপকার। চীনের হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশার অরেঞ্জ আইল্যান্ড পার্কে মাও সে তুংয়ের একটি বিশাল ভাস্কর্য রয়েছে। ভাস্কর্যটি তার তরুণ বয়সের।
২০১৫ সালের কথা। আমি তখন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের (সিআরআই) বাংলা বিভাগে ফরেন এক্সপার্ট হিসেবে চাকরি করি। রাজধানী বেইজিংয়ে আমার অফিস। জুলাই মাসের শেষ দিকে কিছু ডেলিগেটস নিয়ে গেলাম হুনান প্রদেশে টুরে। সে সময় ২৯ জুলাই এই চাংশার অরেঞ্জ আইল্যান্ড পার্কে ঘুরতে গেলাম। দেখলাম সেই বিশাল ভাস্কর্য! সে কি অপরূপ পার্ক। সে কি বিশাল তার আয়তন।
পুরো অরেঞ্জ আইল্যান্ড পার্কটি চারদিকে একটি হ্রদ দিয়ে ঘেরা দ্বীপের মতো। পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কৃত্রিম এই লেকটি খনন করা হয়েছে। আকাশের গভীর নীল এসে মিশেছে লেকে। পার্কে ঢুকতেই মহান নেতা কমরেড মাও সে তুং-এর বিশাল আকৃতির অবক্ষ মূর্তিটি চোখে পড়ে। এতো বিশাল মূর্তি যেন আকাশ ছুঁয়েছে।
প্রিয় এই নেতার সাথে ছবি তুলতে আমরা সবাই মত্ত হয়ে গেলাম। ক্ষতিয়ে ক্ষতিয়ে দেখলাম ভাস্কর্যটির নির্মাণশৈলী। বিশাল ভাস্কর্যটির সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। পুরো ভাস্কর্যটি গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি।
জানা গেলো, ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে মাওয়ের ১১৬তম জন্মদিনে এটি উন্মোচন করা হয়। ১৯২৫ সালে মাও সে তুংয়ের যুবক বয়সে লেখা একটি কবিতার কারণে ভাস্কর্যটির জন্য এ জায়গাটি বেছে নেওয়া হয়। মাও ছিলেন হুনান প্রদেশের সন্তান। ‘চাংশা’ শিরোনামে তাঁর একটি ব্যাপক জনপ্রিয় কবিতা রয়েছে।
ভাস্কর্যটি নির্মাণ করতে ২ বছর সময় লেগেছে। ২০০৭ সালে কাজ শুরু হয়। আর শেষ হয় ২০০৯ সালে। ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মার্কিন ডলার। ভাস্কর্যটি ৩২ মিটার বা ১০৫ ফুট উঁচু। এর দৈর্ঘ্য ৮৩ মিটার (২৭২ ফুট) এবং প্রস্থ ৪১ মিটার (১৩৫ ফুট)। এটি নির্মাণের জন্য ফুজিয়ান প্রদেশ থেকে আট হাজার দৈত্যাকার গ্রানাইট পাথর চাংশায় আনা হয়।
মাও চীনের হুনান প্রদেশের শাং তান জেলার শাউ শাং চুং গ্রামের কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর তার জন্ম। তার বাবার নাম ছিল মাও জেন শেং। শুন সেন নামেও তিনি পরিচিত ছিলেন। তার মা ওয়েন কুইমেই ছিলেন সরল ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারি।
১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মাও সে তুং চীন শাসন করেন। তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। মাও ১৯৪৩ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত দলের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বিবেচিত হন একজন বিশিষ্ট কমিউনিস্ট তাত্ত্বিক হিসেবেও।
এছাড়া তিনি বেশ কিছু বইয়ের লেখক ও কবি হিসেবেও বিখ্যাত ছিলেন। মার্কসবাদ-লেনিনবাদে তার তাত্ত্বিক অবদান, সমর কৌশল এবং তার কমিউনিজমের নীতি এখন একসঙ্গে মাওবাদ নামে পরিচিত।
১৯৭৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ে এই মহান নেতা মারা যান। তিয়েন আনমেন স্কয়ারের চেয়ারম্যান মাও স্মৃতি হলে তার দেহ আজও সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
লেখক: সাবেক ফরেন এক্সপার্ট, বাংলা বিভাগ, চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই), বেইজিং, চীন। সম্পাদক-উইমেননিউজ২৪.কম।
- দেশের ৫ জেলা ভারি বর্ষণসহ ঝড়ের পূর্বাভাস
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
- দাফনের ৫ দিন পর জীবিত ফিরলেন হাসি বেগম
- ইরাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে আগুন, নিহতের বেড়ে ৪৫০
- নিখোঁজের পর মা ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি দিচ্ছে স্যামসাং
- ডিমের দাম পাইকারিতে কমলেও খুচরায় কমেনি
- বিশ্বকাপ খেলতে আজ ভারত যাচ্ছে টিম টাইগার্স
- আজও বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ দশে ঢাকা
- সৈয়দ শামসুল হকের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- কুমার নদে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ
- কুড়িগ্রামে ২ দিনেই শতাধিক বিঘা জমি-বসতভিটা নদীগর্ভে
- বিদেশি পর্যটক টানতে কক্সবাজারে চলছে মহাকর্মযজ্ঞ
- বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ
- ৩দিনের সফরে পাবনায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
- জেসিআই ঢাকার ‘ডিজিটাল এনলাইটেনমেন্ট’ অনুষ্ঠিত
- তিন নারী খেলোয়াড়ের উপর হামলা, শাস্তির দাবি
- বর্ষার মৌসুমেও কাউয়াদীঘি হাওর পানিশূন্য
- খুলনায় নারী ফুটবল খেলোয়াড়দের ওপর হামলায় যা ঘটেছিল
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা ‘বেদনায় ভরা দিন’
- কাগজি লেবু চাষে সফলতা
- ভাই-বোনকে বাঁচিয়ে নিজে প্রাণ দিলেন সৌদি তরুণী
- প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এ চাকরির সুযোগ
- বন্ধু তোমার পথের সাথিকে চিনে নিও, বন্ধু দিবস আজ
- ওটিটিতে মুক্তি পেল ‘হাসিনা: আ ডটারস টেল’
- ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা স্বামী, বরখাস্ত মেয়র
- ওমানে বাংলাদেশী এমপি আটক, পরে মুক্ত
- কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস আজ
- প্রার্থীকে হতে হবে নিরামিষভোজী
- শহীদ কবি মেহেরুন্নেসার জন্মদিন আজ