ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৮, ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:১৭:৪০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘ভারতের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কে টানাপড়েন আছে’ বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানিয়েছে ভারত মা-মেয়ে হত্যা : সেই গৃহকর্মীর দোষ স্বীকার যুগ্ম সচিবকে জিম্মি করে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি চালকের অমর একুশে বইমেলা শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি

ডিমের দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড, ডজন ১৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ১ জুন ২০২২ বুধবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

দেশের বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ডিমও। দেশের বাজারে দুই সপ্তাহ থেকে ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এই সময়ে খামারি বা উৎপাদন পর্যায় থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা বাজারে একযোগে দাম বেড়েছে।

বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন দরে, যা সর্বোচ্চ রেকর্ড। এই ডিম দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি করা হয়েছে ১১০ টাকা ডজন দরে।

নিম্ন আয়ের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের অন্যতম উৎস ডিম। ক্রেতারা বলছে, মাছ ও মাংসের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় জায়গা নিয়েছিল ডিম। কিন্তু সেই ডিমের দামও এখন আকাশচুম্বী। তাই কেউ ডিম কম কিনছে, কেউ বা ক্ষোভে ডিম কেনা বন্ধই রেখেছে। 

খামারিরা বলছেন, পশুখাদ্যের দাম গত এক বছরে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে খামারিরা ক্ষতির মুখে আছেন। তাই ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে।

আজ বুধবার পোলট্রি খামারি, আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে এবং রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব পর্যায়েই ডিমের দাম বেড়েছে। তবে খামার থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজনে দামের পার্থক্য ২৫ টাকা, প্রতি হালিতে পার্থক্য ১০ টাকা।
 
গাজীপুরের শ্রীপুরের পোলট্রি খামারি ও উপজেলা পোলট্রি মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মতিন বলেন, ডিমের দাম বেড়েছে পশুখাদ্যের দাম বাড়ায়। গত বছর এই সময়ে প্রতি কেজি পশুখাদ্যের দাম ছিল ২৫ থেকে ২৮ টাকা, এখন তা ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এ কারণে আমাদের ডিম উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। 

তিনি আরো বলেন, এখন আমার খামারে ছয় হাজার ডিম পাড়া মুরগি রয়েছে। এসব মুরগি থেকে দৈনিক সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার ডিম পাচ্ছি। গতকাল প্রতিটি ডিম পাইকারি ৮ টাকা ৭০ পয়সা দরে বিক্রি করেছি। 

আব্দুল মতিন জানান, পোলট্রি খাদ্যের দাম বৃদ্ধির পর লোকসানের কারণে অনেকেই খামার করা ছেড়ে দিয়েছে। পাঁচ বছর আগে শ্রীপুর উপজেলায় পাঁচ হাজার খামার ছিল, কমতে কমতে বর্তমানে আছে মাত্র দেড় হাজার। তখন এই উপজেলায় দৈনিক ডিম উৎপাদন হতো ৩০ লাখ, খামার কমে যাওয়ায় এখন হচ্ছে মাত্র ১০ লাখ।

দাম বেড়ে যাওয়ায় কোনো কোনো ক্রেতা ডিম না কিনেই ফিরে যাচ্ছে বলে জানান রাজধানীর শান্তিনগর বাজারের খুচরা ডিম ব্যবসায়ী মালেক মিয়া। 

তিনি বলেন, এখন সর্বোচ্চ দামে ডিম কিনে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ডিম কিনতে এসে ১৩০/১৪০ টাকা ডজন শুনেই অনেক ক্রেতা চলে যাচ্ছে। ফলে বিক্রি কমে গেছে।

পুরান ঢাকার হোসেনি দালান এলাকার ঈসমাইল স্টোরের খুচরা ব্যবসায়ী ঈসমাইল হোসেন বললেন, ডিমের ডজন ১৪০ টাকার নিচে বিক্রি করলে লাভ হয় না। বাড়তি দামে কিনলে তো বাড়তি দামে বিক্রি করতে হবে।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, পশুখাদ্য তৈরির ৮০ শতাংশ উপাদান আমদানি করে আনতে হয়। বিশ্ববাজারে এসব উপাদানের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মনজুর মোরশেদ খান বলেন, পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধি, রানিক্ষেত রোগে মুরগি মারা যাওয়া এবং খামার বন্ধ হয়ে ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়া—এই তিন কারণে বাজারে ডিমের দাম বাড়ছে।