ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:১২:৪২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

দেশে শিশুদের অপুষ্টি সংকট এখনও প্রকট

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৫৭ পিএম, ১৭ জুন ২০২৫ মঙ্গলবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

দেশে শিশুদের অপুষ্টি সংকট এখনও প্রকট। দেশের অনেক শিশু তীব্রতম অপুষ্টিতে (সিভিয়ার অ্যাকিউট ম্যালনিউট্রিশন বা এসএএম) ভুগছে। বিশেষ করে গত এক বছরে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির তীব্রতম মাত্রার প্রকোপ বেড়েছে অনেক বেশি। স্বাভাবিক শিশুদের চেয়ে তীব্রতম অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুঝুঁকি ১২ গুণ বেশি হয়ে থাকে।

বর্তমানে বিশ্বে মারাত্মক তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ওপরের দিকে- এমনই তথ্য জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) ২০২৪-এর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। অপুষ্টিজনিত কারণে ২৩ দশমিক ৬ ভাগ শিশুর বৃদ্ধি ব্যহত হয় এবং শতকরা ৩ ভাগ শিশু জন্মের ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা যায়।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও ওয়েলথাঙ্গারহিলফ যৌথভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একই সঙ্গে বেড়েছে এতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুর সংখ্যাও।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে মাঝারি মাত্রার ক্ষুধাপীড়িত দেশের তালিকায় রাখা হয়েছে, যার জিএইচআই সূচক ১৯ দশমিক চার। বাংলাদেশের জিএইচআই সূচক গণনার সময় মূলত অপুষ্টি, শিশুমৃত্যু, শিশুর মৃত্যুঝুঁকি ও বৃদ্ধি হিসাব করা হয়।

চিকিৎসকদের মতে, অপুষ্টি প্রধানত তিন প্রকার। সাধারণ অপুষ্টি, অনুপুষ্টির (ভিটামিন, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফলিক এসিড ইত্যাদি) অভাবজনিত অপুষ্টি এবং পুষ্টির ভারসাম্যহীনতাজনিত স্থূলতা।

সাধারণত, অপুষ্টি বুঝতে বেশ কয়েক ধরনের পরীক্ষা করা হয়। তবে সহজ পরীক্ষার বিষয় হলো খর্বতা, কৃশতা ও অতিরিক্ত ওজন। অপুষ্টির দ্বিতীয় ধরনটি হলো মাঝারি তীব্রতার অপুষ্টি। চূড়ান্ত পর্যায়ের অপুষ্টিকে বলা হয় তীব্রতম অপুষ্টি। ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে তীব্রতম অপুষ্টি ও তীব্রতম অপুষ্টিজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে।

কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা বা শারীরিক জটিলতামুক্ত শিশুর যদি খাবারে রুচি থাকে, তাহলেও সে তীব্রতম অপুষ্টিতে আক্রান্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে খাবারে অরুচিসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা ও শারীরিক জটিলতাও দেখা দিতে পারে। এমন শিশুরা সাধারণত রোগা-পাতলা হয়।

এছাড়া একেবারে চুপচাপ হয়ে পড়া, দুর্বল হয়ে কান্নার শক্তিও হারিয়ে ফেলা, চামড়া ঝুলে পড়া এবং ঘাড়, বুকের পাঁজর ও শরীরের অন্যান্য হাড় সহজেই দৃশ্যমান হয়ে পড়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যানুযায়ী, মারাত্মক তীব্র অপুষ্টি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের অসুস্থতা ও মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। সারা বিশ্বে প্রায় ২ কোটি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়। আর ১০ লাখের মতো শিশুর মৃত্যু হয়। এসব শিশুর অধিকাংশই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাসিন্দা। 

বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রতি চারজনে একজনেরও বেশি শিশু পুষ্টিকর খাবারের অভাবে রয়েছে। শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবারের মারাত্মক ঘাটতি নিয়ে সতর্ক করছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

বিশ্বজুড়ে ১৮ কোটির বেশি শিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে ঠিকমতো বেড়ে না ওঠার ঝুঁকিতে রয়েছে। ইউনিসেফের সম্প্রতি ‘শৈশবকালীন খাদ্য সংকট: প্রারম্ভিক শৈশবে পুষ্টি বঞ্চনা’ শীর্ষক ইউনিসেফের একটি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ন্যূনতম যে পাঁচ ধরনের খাদ্য গ্রহণের সুপারিশ করেছে, প্রায় এক কোটি শিশু তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ইউনিসেফ বলছে, শৈশবকালীন পর্যাপ্ত সুষম খাবারের ঘাটতি সব শিশুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, তবে এর বিশেষ প্রভাব দেখা যায় শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশে।

উদ্বেগজনক ব্যাপার হলো, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন সুষম খাদ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে বাস করে, যারা দিনে মাত্র এক বা দুই ধরনের খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। যে সকল শিশুরা নিয়মিত এই পাঁচ ধরনের খাবার খেতে পারে না তাদের শীর্ণকায় হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ বেশি থাকে।

ইউনিসেফের সুপারিশ অনুযায়ী এ বয়সী শিশুদের দৈনিক আটটি উপাদানের খাবারের মধ্যে অন্তত পাঁচটি উপাদান খেতে হয়। এগুলো হলো- মায়ের বুকের দুধ, শস্য, মূলুজাতীয় খাবার, কন্দ এবং কলা; ডাল, বাদাম এবং বীজ-জাতীয় খাদ্য; মাংস, মুরগি ও মাছ; ডিম; ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার ও সবজি এবং অন্যান্য ফল ও সবজি।

কিন্তু বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের প্রায় ১০০টি দেশের ৪৪ কোটি শিশু দৈনিক এই আটটির মধ্যে পাঁচটি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার খেতে পারে না। তাদের মধ্যে আবার ১৮ কোটির বেশি শিশু মারাত্মক খাদ্যঘাটতির মধ্যে রয়েছে, যারা দিনে সর্বোচ্চ দুটি উপাদানসমৃদ্ধ খাবারও খেতে পারে না।

ডব্লিউএইচও’র গাইডলাইনের ভিত্তিতে বর্তমানে দেশে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের জন্য বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এসএএম কর্নার চালু হয়েছে। এসব কর্নারে এখন শিশুর অপুষ্টিজনিত সমস্যার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকরণ ও থেরাপিউটিক খাবার (এফ-৭৫ ও এফ-১০০) সরবরাহ করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ২০১২ সাল থেকে এসএএম কর্নারে শিশুর তীব্রতম অপুষ্টির চিকিৎসা শুরু করা হয়।

জাতীয় পুষ্টি সেবার (এনএনএস) ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. গাজী আহমদ হাসান জানান, সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোয় বর্তমানে ৪১০টি স্যাম কর্নার রয়েছে। এসব কর্নারে প্রশিক্ষিত নার্স ও চিকিৎসকের মাধ্যমে দুই-তিন সপ্তাহব্যাপী নিবিড় সেবার মাধ্যমে শিশুদের চিকিৎসা দেয়া হয়। সব কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সেবা দিয়ে শিশুদের চিকিৎসার জন্য এসব হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তবে এ কর্মসূচিও উপকরণের অভাবসহ নানা সংকটে ভুগছে। মাঝে মাঝে থেরাপিউটিস খাবার এফ-৭৫ ও এফ-১০০-এর সংকট থাকে। এ দুধজাত খাবার বাংলাদেশে তৈরি হয় না। এমনকি ভারতেও তৈরি হয় না। জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এ খাবার সরবরাহ করে। আমাদের আরও কিছু সংকট রয়েছে। সেসব সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।

তীব্রতম অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর পিতা-মাতার অসচেতনতাও সংকট মোকাবেলায় বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, এসএএম কর্নার মূলত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল। আমরা তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী মারাত্মক তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসায় কাজ করছি। সারা দেশে ধীরে ধীরে আমাদের কর্নার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু ভর্তিও বেড়েছে।

তিনি বলেন, এ কর্নারে ভর্তি শিশুর বেশির ভাগই দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত। শিশুর সঙ্গে মা অথবা বাবাকে থাকতে হয়। এতে তাদের আয় ওইসব দিন বন্ধ থাকে। তাই ভর্তি হওয়ার সপ্তাহের মাথায় যখন শিশুটি কিছুটা সুস্থ হয়, তখন তাকে জোর করে নিয়ে যায় অথবা না জানিয়ে চলে যায়।

বাংলাদেশের শিশুপুষ্টি পরিস্থিতি:বিদ্যমান অবস্থা ও উন্নয়নের পথ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এবং, স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন সদস্য ডা. আবু মুহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, বাংলাদেশে অপুষ্টির কারণে প্রতিবছর কমপক্ষে সাত হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। শিশুর অপুষ্টি দূর করতে বহু পক্ষের সমন্বয় প্রয়োজন।

তিনি বলেন, অনেক অর্থ খরচ করার পরও এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিডিংয়ের হার এখনও ৫০ শতাংশে আটকে আছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন বেশ কিছু সুপারিশ নিয়ে কাজ করছে।

মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতে কমিউনিটি পর্যায়ে এখনও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য খাতের অনেকগুলো জরিপের উপাত্ত পুরোপুরি সঠিক নয়। স্বাস্থ্য ও পুষ্টির প্রশিক্ষণও অর্থবহ নয়। অর্থবহ প্রশিক্ষণ ও যথাযথ উপাত্ত না পেলে ভালো পরিকল্পনা করা সম্ভব নয়, বাস্তবায়নও সম্ভব হবে না।

সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচারণার উপকরণে যেসব বার্তা থাকে, তা সহজ ভাষায় সবার বোঝার উপযোগী করে তৈরি করা জরুরি। আমাদের চিকিৎসক বা প্রান্তিক পর্যায়ে যে কর্মীরা আছেন, তাদেরকে গণযোগাযোগের কৌশলের ওপর জোর দিতে হবে।

বাংলাদেশে কমিউনিটি পর্যায়ে যারা আছেন, তারা সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করেন। ফলে সব ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সেবা প্রদান সম্ভব হয় না। তাদের ভূমিকা নির্দিষ্ট করে আরও সুনির্দিষ্টভাবে সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি একটি সমাধান পাওয়া যাবে বলেও মনে করেন তিনি।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) অন্যতম একটি লক্ষ্য হচ্ছে পুষ্টি। আমাদের শিশুদের খর্বাকৃতি ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে। পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের মধ্যে কৃশকায় হওয়ার হার ৫ শতাংশের কম হতে হবে।

বাংলাদেশে এটি এখন আছে ১১ শতাংশ। আর ১৫ শতাংশ হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থার কথা বলেছে। আমরা তা থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই। শিশুর জন্মের পর থেকে তিন মাসের মধ্যে খর্বাকৃতির প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমাইয়া মামুন সিমরান বলেন, শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে হলে আগে মায়ের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে হবে।

মা নিজে অপুষ্টির শিকার হলে তার গর্ভের সন্তানের ওপরও সে প্রভাব পড়বে। সুতরাং মা শুধু নিজের জন্য খাচ্ছেন না, তিনি তার শিশুর জন্য খাচ্ছেন এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। শুধু গর্ভাবস্থায় নয়, শিশুকে স্তন্যপান করানোর সময়ও মায়ের পুষ্টির প্রয়োজন আছে। সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব।

আমাদের দেশে দারিদ্র্য অপুষ্টির অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এটিই একমাত্র কারণ নয়। অনেক ক্ষেত্রে মা জানেনই না কোন খাবারে কোন উপাদান রয়েছে।

অনেক বিত্তবান পরিবারের নারীরাও অপুষ্টিতে ভোগেন। কারণ, তারা সুষম খাদ্যের বিষয়ে জানেন না। আবার খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু কুসংস্কারও রয়েছে। মায়েরা কেউ মাছ খান না, আবার কেউ মাংস বা ডাল খান না। এসব কারণে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হয়।

মা অপুষ্টিতে ভুগলে প্রথমত তার নিজেরই কিছু সমস্যা তৈরি হয়। আর শিশুর ক্ষেত্রে খর্বকায় ও কৃশকায় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে গর্ভপাতও হতে পারে।

শিশুদের নিয়ম মেনে সুষম খাদ্য দিতে পারলে পুষ্টি নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে এ ক্ষেত্রে যিনি মা হতে যাচ্ছেন, তার পুষ্টির জ্ঞান থাকা জরুরি। কারণ, শিশুর অপুষ্টি শুরু হয় মায়ের গর্ভাবস্থা থেকেই।

তিনি আরো বলেন, শিশুর জীবনের প্রথম ২৪ মাসে পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশু প্রথমত মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে পুষ্টি পায়। শিশুর জন্মের পর প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধই শিশুর একমাত্র খাবার। একে এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিডিং (ইবিএফ) বলা হয়।

মা সঠিকভাবে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করালে শিশু অনেক ঝুঁকি থেকে রক্ষা পায়। মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে অ্যান্টিবডি প্রবেশ করে। পাশাপাশি সব খাদ্য উপাদান এর মাধ্যমেই পাওয়া যায়।