ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮, জুলাই ২০২৫ ১৬:৫৩:০৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেখবেন যেভাবে দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ১১ কুমিল্লার তিন মামলায় খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি সংবর্ধনা শেষে ভুটান গেলেন দুই নারী ফুটবলার

নববধূকে আত্মহত্যার প্ররোচণা, যুবকের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৯ পিএম, ৫ জুলাই ২০২৫ শনিবার

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। গত ৩ জুলাই রাতে তাহিরপুর থানায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে আসামি করা হয়েছে আকিব (২৫) নামের এক যুবককে।

এর আগে গত ২৬ জুন রাতে বাড়ির পাশের আমগাছে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা  করেন ওই নববধূ।

নিহত আছিয়া খাতুন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের হাওর-সীমান্ত গ্রাম (বাগলী) রতনপুরের আকবর আলীর মেয়ে। চলতি বছর জুন মাসে বিয়ে হয়েছিল তার। মামলায় একমাত্র আসামি আকিব একই ইউনিয়নের সীমান্তগ্রাম (বাগলী) রঙ্গাছড়ার মঞ্জুল মিয়ার ছেলে।

আজ শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জাকির হোসাইন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা ও নিহত নববধূর পারিবারিক সূত্র জানায়, জুন মাসের শুরুর দিকে মধ্যনগর উপজেলার সীমান্তগ্রাম মোহনপুরের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় আছিয়ার। গত ২২ জুন রতনপুরের বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন নববধূ। এর পরদিন ফের বিয়ের প্রলোভনে পড়ে আকিবের সঙ্গে পালিয়ে যান আছিয়া। পালানোর চারদিন পর গত ২৬ জুন আছিয়াকে বাবার বাড়ির সামনে রেখে আকিব সটকে পড়েন।

বিষয়টি স্বামীর বাড়ির লোকজন,পরিবার ও গ্রামবাসীর মধ্যে জানাজানি হয়। অপমান সইতে না পেরে গত ২৬ জুন রাতে বাড়ির পাশের আমগাছে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন আছিয়া।

আকবর আলী বলেন, ‘আমি শ্রমজীবি মানুষ। স্বজনদের সহযোগিতায় ধারদেনা করে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম। আত্মহত্যার ২০ দিন আগে মেয়ের বিয়ে দেই। কিন্তু প্রতিবেশী গ্রামের যুবক আকিব ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তা আমি জানতাম না। চারদিন একসঙ্গে থাকার পর আকিব আমার মেয়েকে বাড়ির সামনে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর মেয়ে আমার আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।

এ বিষয়ে জানতে আকিবের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন করা হলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। আকিবের বাবা মঞ্জুল মিয়া বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে আকিবের কোনো খোঁজ নেই। মামলার বিষয়টি জানার পর থেকে মীমাংসার চেষ্টা করছি।’

আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আবীর দাশ বললেন, ‘আসামি আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।’